খেলা বাংলাদেশে বলেই স্বপ্নটা বড় সোয়েপসনের

মিচেল সোয়েপসন, বাংলাদেশ সফরের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ঘোষিত স্কোয়াডের তরুণতম সদস্য। লেগ স্পিনার। অস্ট্রেলিয়ান দলে ডাক পাওয়ায় এমনিতেই তার আনন্দে ভেসে যাবার কথা। যাচ্ছেনও হয়তো। কিন্তু সেটা কেবল দলে ডাক পাওয়ার কারণে নয়, কারণ টেস্ট দলের হয়ে বিদেশ সফরটা তিনি আগেও করেছেন, বরং খেলাটা বাংলাদেশে বলেই আনন্দটা তার বেশি। সঙ্গে আছে টেস্টের মূল একাদশে ঢুকে যাওয়ার দারুণ সম্ভাবনাও।

এ বছর অস্ট্রেলিয়ার ভারত সফরের সময়ই সোয়েপশনের টেস্ট অভিষেকের দারুণ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিলো। তখনই প্রথমবার টেস্ট দলের সঙ্গে বিদেশ সফরের অভিজ্ঞতা হয় তার। কিন্তু একাদশে ঢোকা হয়নি তার। নাথান লিয়ন এবং স্টিভ ওকিফের দারুণ পারফর্মের কারণে অস্ট্রেলিয়ান ম্যানেজমেন্ট আর তার দিকে মনোযোগ দেয়ার সময়ই পায়নি।

এবার, বাংলাদেশ সফরে সোয়েপশনের সঙ্গে আছেন নাথান লিয়ন এবং অ্যাস্টন অ্যাগার। এই তিন স্পিনারই হতে পারেন অস্ট্রেলিয়ার মূল অস্ত্র। সোয়েপশনের মতো অ্যাগারও ভারত সফরে কিছু করার সুযোগ পাননি। ভারত সফরের চার টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার স্পিন আক্রমণে ছিলেন কেবল লিয়ন ও ওকিফেই।

বাংলাদেশ সফরে থাকার কথা ছিলো অ্যাগারেরই। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তাকে নয়, অস্ট্রেলিয়ান নির্বাচকরা বিবেচনা করেছেন সোয়েপশনকেই। এই ঘটনাটাই মূলত সোয়েপশনকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে যে স্বপ্নটা পূরণ হয়েও হয়নি, সেটা এবার বাংলাদেশে আর হাতছাড়া হবে না বলেই নিশ্চয় বিশ্বাস করা শুরু করেছেন ২৩ বছর বয়সী এই তরুণ।

এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে স্থানীয় এক সংবাদ মাধ্যমকে সোয়েপসন বলেন, ‘এটা সত্য যে সর্বশেষ সদস্য হিসেবে আমি দলে ঢুকেছি। সুতরাং স্কোয়াডের অন্য দুই স্পিনার আমার চেয়ে এগিয়ে আছেন। কিন্তু বলা যায় না সামনে কী হবে বা উইকেট কেমন হবে। সব কিছু নির্ভর করছে নির্বাচক এবং অধিনায়ক-কোচের উপর। তারা যেভাবে সামনে যেতে চান, সেভাবেই যাবেন।’

বাংলাদেশের কারণে সোয়েপশনের খুশি হওয়ার কারণ এ দেশের কন্ডিশন। একজন তরুণ স্পিনারের, সে যে দেশেরই হোক না কেনো, অভিষেক-স্বপ্নে বাংলাদেশ বা উপমহাদেশের কন্ডিশন থাকা খুবই আনন্দের ব্যাপার। এটা তো আর অজানা নয় যে, বাংলাদেশের উইকেট অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় স্পিন সহায়ক। সোয়েপসন যদি ব্যাগি গ্রিনের স্বপ্নে আরো বিভোর হন, তাহলে অবাক হওয়ার কী আছে!