পরীক্ষায় জালিয়াতি: আটক ১৩ শিক্ষার্থীকে দুই বছর জেল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে আটক ১৩ শিক্ষার্থীকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল ২১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার পরীক্ষা চলাকালে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়।

১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা আইনের আওতায় ৯ (খ) বিধি অনুযায়ী আটক শিক্ষার্থীদের ওই শাস্তি প্রদান করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর আগে কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদভুক্ত ‘গ’ ও চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলও ‘ক’ ইউনিটের মত এত বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী আটক হওয়ার ঘটনা ঘটে নি।

পরীক্ষার পূর্বেই হলে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন বা টেলিযোগাযোগ করা যায় এরূপ কোনো ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস বা যন্ত্র বহন করার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এমনকি পরীক্ষা শুরু হওয়ার পূর্বেও কেউ যদি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে এসে থাকে তবে তা জমা দেয়ার শেষ সুযোগ দেয় দায়িত্বরত শিক্ষকরা। এরপরেও ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস জমা না দিয়ে আইন অমান্য করায় ওই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিল ঢাবি প্রশাসন।

গতকাল সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা চলাকালে ওই শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে জালিয়াতির প্রমাণ হাতেনাতে জব্দ করে পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত শিক্ষকরা। পরে পরীক্ষা শেষে তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে হাজির করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আমজাদ আলী বলেছেন, আটককৃত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্লুটুথ ও মুঠোফোন জব্দ করা হয়েছে। এগুলো ব্যবহার করে তারা বাইরে থেকে উত্তর জানার চেষ্টা করছিল। যা পাবলিক পরীক্ষা আইনের আওতায় অপরাধ বলে গণ্য করা হয়।

শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) ভবন থেকে আটক আল ইমরান, ইডেন কলেজ কেন্দ্র থেকে শোভন ও নওরীন জাহান, ধানমন্ডি আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে সাদিক আহমেদ, ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজ কেন্দ্র থেকে অবনী রায়, নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজ থেকে জাহিদ খান, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ কেন্দ্র থেকে আকাশ খন্দকার।

এছাড়া বদরুন্নেছা মহিলা কলেজ থেকে আটক মাহমুদুল হাসান তারেক, ভবানি স্কুল থেকে আল আমিন, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে সাদমান ইয়াসির, মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজ থেকে জুলকার নায়েন ও ইসতিয়াক আহমেদ এবং মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল থেকে সঞ্চিতা রানী দাস।

এ বছর ‘ক’ ইউনিটে মোট এক হাজার ৭৪৫টি আসনের বিপরীতে আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ৯০ হাজার ৪২৭ জন। অর্থাৎ প্রতি এক আসনের জন্য লড়ছে প্রায় ৫২ জন শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ৫৮টি ও ক্যাম্পাসের বাইরে ২৯টিসহ মোট ৮৭টি কেন্দ্রে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

আপনি আরো পড়তে পারেন

বেনজীর: নব্য জেএমবির বর্তমান সদস্য ২১ জন

ট্রাম্প: নির্বাচনে জিতলেই কেবল ফলাফল মেনে নেব

আ’লীগের সম্মেলন: রাজধানীর ১৪ পয়েন্টে যান চলাচল বন্ধ

বিএসএফের গুলিতে সাত পাকসেনা নিহত হওয়ার দাবি

সম্মেলনে বিএনপিকে দাওয়াত, যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা

আইজিপি: আ.লীগের সম্মেলনে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দেওয়া হবে

চলে যেতে চায় বিদেশী বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান শেভরন