অনিশ্চিত ১০ তারকা ফুটবলারের ভবিষ্যত

গত মৌসুম অবধি যাদের চুক্তি ছিল তা এক অর্থে শেষ হয়ে গেছে। তবে কাগজে-কলমে ও আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৩০ জুন। এরপরই ক্লাবহীন হয়ে পড়ছেন বিশ্বের নামকরা ১০ ফুটবলার। নতুন ঠিকানা খুঁজে নিতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন তারা। কেউবা পুরোনো ক্লাবে থাকতে চান। এজেন্ট ফ্রি এসব ফুটবলারকে লুফে নিতে উন্মুখ ক্লাবগুলো। দেখে নেওয়া যাক তাদের কার কী পরিস্থিতি।

অনিশ্চিত ১০ তারকা ফুটবলারের ভবিষ্যত

গ্যারেথ বেল: কদিন পরই শেষ হচ্ছে গ্যারেথ বেলের সঙ্গে রিয়াল মাদ্রিদের চুক্তি। নয় বছর পর তাকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্প্যানিশ ক্লাবটি। তার সঙ্গে যোগাযোগ চলছে ডিসি ইউনাইটেড, কার্ডিফ সিটি, নিউক্যাসল ইউনাইটেড, নটিংহাম ফরেস্ট, এসি মিলান ও টটেনহাম হটস্পারের।

পল পগবা: অনেক জল্পনা-কল্পনার পর তাকে ছেড়ে দিচ্ছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। পুরোনো ঠিকানা জুভেন্টাসে তার ফিরে যাওয়ার গুঞ্জন আছে। তাকে দলে টানতে চাইছে রিয়াল মাদ্রিদ, প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) ও ম্যানচেস্টার সিটি। ক্লাবগুলোর নামই বলে দিচ্ছে ফরাসি মিডফিল্ডারকে নিয়ে ভালোরকম যুদ্ধ হবে।

ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন: ডেনমার্ক জাতীয় দলের মূল স্তম্ভ হয়ে উঠেছিলেন ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন। গত বছর ইউরোতে মাঠে হার্ট অ্যাটাকের পর নির্বাসনে চলে যান তিনি। সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরলেও এরিকসেনের বাজার মূল্য অনেকটাই কমে গেছে। তার সঙ্গে চুক্তি নবায়ন ইস্যুতে কথা চলছে ব্রেন্টফোর্ডের। এরিকেসন যোগাযোগ করছেন সাবেক ক্লাব টটেনহাম হটস্পার ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে।

জেসে লিংগার্ড: গত মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে মাত্র দুই ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের শুরুর একাদশে খেলেছেন জেসে লিংগার্ড। তাকে নিয়ে যে ক্লাবের আর আগ্রহ নেই সেটা পরিষ্কার হয়ে গেছে তাতে। লিংগার্ডের পরবর্তী ঠিকানা হতে পারে ওয়েস্টহাম ইউনাইটেড, নিউক্যাসল ইউনাইটেড, টটেনহাম হটস্পার, এএস রোমা কিংবা এসি মিলান।

উসমান ডেম্বেলে: গত মৌসুমজুড়ে নাটক হয়েছে উসমান ডেম্বেলেকে নিয়ে। ন্যু ক্যাম্প ছাড়তে চান তিনি। আর বার্সেলোনার চাওয়া নতুন চুক্তি। শেষ অবধি ঠিকানা বদল হতে পারে ফরাসি উইঙ্গারের। ২০১৭ সালে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড থেবে বার্সায় এসেছিলেন তিনি। ডেম্বেলেকে চাইছে ইংলিশ ক্লাব চেলসি ও ফরাসি জায়ান্ট প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)।

এডিনসন কাভানি: ইনজুরি আর ফর্মহীনতার কারণে গত মৌসুমজুড়ে ভুগেছেন এডিনসন কাভানি। পুরো মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে মোটে দুই গোল করেছেন তিনি। দুই বছরের অম্লমধুর অভিজ্ঞতার পর ওল্ড ট্রাফোর্ড ছাড়ছেন উরুগুয়েন স্ট্রাইকার। কাভানি যোগাযোগ করছেন রিয়াল মাদ্রিদ, আর্সেনাল, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও জুভেন্টাসের সঙ্গে।

ফার্নান্দিনহো: এক সময় ম্যানচেস্টার সিটির একাদশের মূল খেলোয়াড় হয়ে উঠেছিলেন ফার্নান্দিনহো। ২০১৩ সালে তাকে ইউক্রেনের ক্লাব শাখতার দানেৎস্কর কাছ থেকে তাকে কিনে নেয় সিটি। অবশেষে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলে ফিরে যাচ্ছেন এই মিডফিল্ডার। তার নতুন ঠিকানা হতে পারে বোটাফোগো, ফ্ল্যামেঙ্গো, করিন্থিয়ানস কিংবা অ্যাথলেটিকো প্যারানেসে।

লুইস সুয়ারেজ: বার্সেলোনা ছেড়ে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে আসার পর ভালোই পারফর্ম করেছেন লুইস সুয়ারেজ। গত মৌসুমেও ১৩ গোল করেছেন উরুগুয়েন স্ট্রাইকার। তবু তাকে হাতছাড়া করছে স্প্যানিশ ক্লাবটি। ৩৫ বছর বয়সী স্ট্রাইকারের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে জুভেন্টাস, অ্যাস্টন ভিলা, সেভিয়া ও ইন্টার মিয়ামির।

ইস্কো: রিয়াল মাদ্রিদের পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যত ভাবা হয়েছিল ইস্কোকে। প্রতিভাবান সেই ফুটবলারই হারিয়ে গেলেন। এই জুনেই তার সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে রিয়ালের। ইস্কোকে দলে টানতে চাইছে সেভিয়া, আর্সেনাল ও টটেনহাম। তবে স্প্যানিশ মিডফিল্ডার থাকতে চাইছেন সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতেই।

অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া: রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে দেওয়া ফুটবলারদের জন্য বাস্তবতা খুব কঠিন হয়ে থাকে। অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া সেই ধারাটা ভেঙেছেন। আলো ছড়িয়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও পিএসজিতে। নতুন মৌসুমে তাকে দেখা যাবে না প্যারিসে। পিএসজির আর্জেন্টাইন উইঙ্গার যোগাযোগ করছেন জুভেন্টাস ও বার্সেলোনার সঙ্গে।