ম্যানইউকে ডাচ তারকার ‘না’

খেলোয়াড়ি ভূমিকায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে নিজেকে অনেক আগেই প্রমাণ করেছেন রবিন ফন পার্সি। ডাচ তারকার সুযোগ এসেছিল কোচ হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করার। রেড ডেভিলসদের সহকারী কোচের ভূমিকায় ওল্ড ট্রাফোর্ডে ফেরার সুযোগ পেয়েও তা ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। আপাতত ম্যানইউর কোচিং প্যানেলে কাজ করার ইচ্ছে নেই তার।

পার্সি

নতুন মৌসুম শুরুর আগেই নতুন কোচ হিসেবে এরিক টেন হাগকে নিয়োগ দিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ডাচ ফুটবলের সফল কোচ অপেক্ষায় আছেন কাজ শুরুর করার। আপাতত কোচিং প্যানেল গোছানোর কাজ করছেন তিনি। সাবেক ফুটবলারকে পার্সিকে আনার জন্য ক্লাব কর্তৃপক্ষকে রাজিও করিয়েছেন টেন হাগ। কিন্তু তাকে নিরাশ করছেন সাবেক ডাচ স্ট্রাইকার।

তিন বছর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলে ২০১৫ সালে তুর্কি ক্লাব ফেনারব্যাচে যোগ দেন পার্সি। এখানেও তিন বছর সময় কেটেছে তার। ডাচ স্ট্রাইকার খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ারের ইতি টানেন ফেনুর্ডের জার্সিতে। ডাচ এই ক্লাবটিতেই কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। ২০২০ সাল থেকে ক্লাবটির সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করে আসছেন পার্সি। পাশাপাশি ক্লাবের যুবদলও দেখভাল করছেন তিনি।

আগামী মৌসুমে আরো বড় পরিসরে, বড় ক্লাবে কাজ করার সুযোগ এলেও তা হাতছাড়া করছেন ৩৮ বছর বয়সী এই তারকা। কিন্তু কেনো সুযোগটা কাজে লাগাচ্ছেন না পার্সি? কারণটা অবশ্য পারিবারিক। সন্তানদের পরাশোনার কারণেই নেদারল্যান্ডসের বাইরে যেতে চাচ্ছেন না তিনি। তবে পুরনো ক্লাবের প্রতি তার সম্মান এবং ভালোবাসা আছে ঠিক আগের জায়গাতেই।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত লাইফ আফটার ফুটবলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেদারল্যান্ডসের সর্বোচ্চ গোলদাতা বলেছেন, ‘(ম্যানচেস্টার ইউনাটেডের) ভক্তদের কাছ থেকে আমি অনেক সম্মান পেয়েছি। যখন আমি পেছনে তাকাই তখন মনে পরে ডিক অ্যাভোকেট (তৎকালীন ফেনারব্যাচ কোচ) আমাকে বলেছিলেন, তুমি আজীবন ওখান (ম্যানইউ) থেকে প্রশংসা পাবে। তিনি ঠিকই বলেছেন।’

এর নেপথ্য কারণ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সোনালি দিনগুলোর শেষের সঙ্গী ছিলেন পার্সি। ২০১৫ সালে ক্লাবটির শেষবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জয়ে অনেক অবদান আছে তার। দলকে কক্ষপথে রেখে নির্বাসনে চলে যান প্রধান কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন। দলবদল করেন পার্সিও। এরপর থেকে হারিয়ে যাওয়ার শুরু ইংলিশ ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে সফল দলটির।

সুদিন ফেরাতে কয়েকজন কোচ পাল্টেছে রেড ডেভিলসরা। কিন্তু তাদের ভাগ্য বদলায়নি। আগামী মৌসুম থেকে শুরু হবে টেন হাগ যুগ। তার সঙ্গী হতে পারতেন পার্সি। কিন্তু ফেনুর্ডেই থাকার ইচ্ছে পার্সির, ‘এই মুহূর্তে আমার ছেলে এবং মেয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। লন্ডনে থাকতে আমি আর্সেনালে খেলেছি। আমরা ম্যানচেস্টার এবং ইস্তাম্বুলেও থেকেছি। এ সময় আমরা পাঁচবার (বাসস্থান) বদল করেছি। সবমিলিয়ে প্রায় ১৪ বছর আমরা (দেশের) বাইরে ছিলাম। এখন একটু থিতু হতে পারলে ভালো লাগতো।’