ইসলামের আলোয় সুখী জীবনের রেসিপি
- Details
- by এহসানুল কবীর
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’লা বলেন, “মুমিন হয়ে পুরুষ ও নারীর মধ্যে যে কেউই সৎকাজ করবে তাকে আমি নিশ্চয়ই পবিত্র জীবন দান করবো এবং তাদেরকে তাদের কাজের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার দিব।” (সূরা নাহল ১৬:৯৭)।
ঈদ সামনে। চারিদিকে নানা রেসিপি। পত্র-পত্রিকা, টেলিভিশন সর্বত্র ঈদের রেসিপিতে মজাদার ও নতুন নতুন খানা-খাদ্যের প্রস্তুত প্রণালী। বলা হয়, আপনি বাজারে গিয়ে পছন্দের জিনিস কিনতে পারবেন কিন্তু সুখ কিনতে পারবেন না। সুখ নামক পণ্যটি কোথাও বিক্রি হয় না। কেউ বলবেন নতুন নতুন পণ্য কিনি এতেই আমার সুখ। তাহলে স্ক্যান্ডেনেভিয়ার সুখী লোকেরা আত্মহত্যা করে কেন। প্রতি বছর বিশ্বে-ধনী দেশগুলোতে এত লোক আত্মহত্যা করে কেন? এত বেশী মানসিক রোগী ও মাদকাসক্তই বা কেন সেখানে?
সুখের মত ঘুমও আপনি কিনতে পারবেন না। বাজারে গিয়ে দামী খাট কিনতে পারবেন কিন্তু ঘুম কিনতে পারবেন না। একই রকম মজাদার খাবার বা ব্যায়ামের দামী উপকরণ কিনতে পারবেন কিন্তু স্বাস্থ্য কিনতে পারবেন না। সর্বোপরি আপনি যত রকম বিলাস বা আরামের উপায় উপকরণ কিনুন যৌবন কিনতে পারবেন না। যৌবন না থাকলে বার্ধক্যের নিষেধাজ্ঞার ভিড়ে সব বিলাস দ্রব্যই পানসে।
বন্ধুবর সেদিন দোয়া চাইলেন, রমজান চলে যাচ্ছে কিন্তু ইবাদতে কাঙ্ক্ষিত স্বাদ পাচ্ছেন না। প্রকৃত মুমিনের মত চিন্তা। কোভিড আর ইউক্রেনে সাম্রাজ্যবাদীদের সংঘাত বহুজনের আয়-ব্যয়ে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করেছে। অনেকে শহর ছেড়ে গ্রামে চলে গেছেন। আমার ভাইটার উপর আল্লাহ্ রহম করুন। মুসিবতগুলি আসান করে দিন। কিন্তু শহর কিংবা গ্রাম যেখানেই থাকি সুখ আমাদের সবারই জীবনে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত বিষয়। যা ক্রমেই যেন অনেক দূরের বিষয়ে পরিণত হচ্ছে। সুখী হওয়ার জন্য কি করতে হবে? আয়াতে বলা হচ্ছে, মুমিন হও আর সৎকাজ কর। এটিই আজকে আমাদের দৃষ্টিপাতের বিষয়। সংক্ষিপ্ত পরিসরে এ বিষয়ে নিচের ক’টি পয়েন্টে আলোচনা করা হল।
(১) বিশ্বাসী হোন: সুখী হওয়ার সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান উপায় হল বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরা। মানুষের গোটা সত্ত্বা ও বিশ্ব প্রকৃতি আল্লাহ্ তা’লা সত্যের উপর সৃষ্টি করেছেন। (সূরা তাগাবুন ৬৪:৩) তাওহীদের সত্যের উপর। তাই তাওহীদ থেকে মানুষ যত দূরে থাকে ততই তার ভিতর শূন্যতা ও অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। যা সে পণ্য দিয়ে, ফূর্তি দিয়ে ভরতে চায়। কিন্তু আত্মার শূণ্যতা সম্পদে ভরে না। ফলে সৃষ্টি হয় হতাশা। হতাশা থেকে মাদকাসক্তি বা মানসিক রোগ। কাউকে কাউকে তা ঠেলে দেয় আত্মহত্যার দিকে।
তাই সুখী হওয়ার প্রথম শর্ত সৃষ্টিকর্তার এককত্বে বিশ্বাস। শুধু সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসই মানুষের চিন্তার জগতে ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসে। মানুষকে দেয় আস্থা ও নির্ভরতার স্থান, অন্তরে সৃষ্টি করে কৃতজ্ঞতার অনুভূতি, নেয়ামত না পাওয়ার গ্রহণযোগ্য কারণ। এসবই সুখের প্রাথমিক রেসিপি। Pew Research Centre-এর গবেষণা অনুযায়ী ধার্মিক মানুষেরা অধার্মিক লোকদের চেয়ে বেশী সুখী। আরেক গবেষণা অনুযায়ী তারা বাঁচেনও বেশী দিন। অতএব, বিশ্বাসী হই, সুখী হই।
(২) সৎকর্ম সম্পাদন: সুখী জীবনের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ভাল কাজ করা, সৎকর্ম করা। যেকোন মানুষ এ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন একটা সৎকাজ করা মাত্র আপনার- আমার অন্তরটা প্রশান্তিতে ভরে যায়। কাউকে কিছু দান করলে, কারো উপকার করলে, আব্বা-আম্মার খেদমত করতে পারলে, অভাবী মানুষের হাসি দেখলে, অসুস্থ মানুষের দোয়া পেলে অন্তরে যে প্রশান্তি আসে তা পৃথিবীর কোন দামী জিনিষের সাথে তুলনীয় নয়। আল্লাহ্ও তা-ই বলেন “যে নিজ সম্পদ দান করে আত্মশুদ্ধির জন্য, এবং তার প্রতি কারো অনুগ্রহের প্রত্যাশায় নয়, কেবল তার মহান প্রতিপালকের সন্তুষ্টির প্রত্যাশায়, সে তো অচিরেই সন্তোষ লাভ করবে।” (সূরা লায়ল ৯২: ১৮-২১)
অতএব, নেক কাজ করি। সুখী হই। ইবাদাত বন্দেগী, দান-সাদাকা, কাউকে ভাল কাজে নসীহত, সদাচারণ-ভাল ভাল কাজ করি, ঘরে-বাইরে সর্বত্র করি। যেখানেই থাকি না কেন বরকতময় হই।
(৩) আল্লাহর স্মরণ: আল্লাহ্ বলেন, “জেনে রাখ আল্লাহর স্মরণেই অন্তর প্রশান্ত হয়।” (সূরা রাদ ১৩:২৮)। সাম্প্রতিক সময় একজন পাশ্চাত্য মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বিষয়টি লক্ষ্য করেছেন তার রোগীদের মধ্যে আল্লাহর নামসমূহের যিকির ও কুরআন তেলাওয়াত ইতিবাচক ফলাফল দিচ্ছে। সেসময় তাদের মধ্যে অস্থিরতা ও উত্তেজনা কমে যায়। অথচ তারা এর অর্থ কিছুই বুঝে না। সুবহানাল্লাহ্!
মহান আল্লাহ্ তা’লা বলেন-
“আমি নাযিল করেছি কুরআন, যা মুমিনদের জন্য আরোগ্য ও রহমত।” (সূরা বনী ইসরাঈল ১৭: ৮২)
বস্তুত: কুরআন হলো হৃদয়ের চিকিৎসা। আর অন্তরই সমস্ত রোগের উৎস। তবে যিকির বলতে আমরা যেমন না বুঝে কিছু কথা উচ্চারণ করি, তা বুঝায় না। যদিও না বুঝে আল্লাহর নাম উচ্চারণ, আল্লাহর কালাম পাঠেও কল্যাণ আছে। তবে যিকির বা স্মরণের পূর্ণতা আসে তিনটি বিষয়ের সমন্বয় হলে-
১. অন্তরে উপলব্ধি,
২. মুখে স্বীকৃতি এবং
৩. বাস্তবে কাজে পরিণতি।
বিষয়টি দীর্ঘ আলোচনার দাবী রাখে। তবে সংক্ষিপ্ত কথা হল: যেমন “আলহামদুলিল্লাহ’’ - সমস্ত প্রশংসার মালিক একমাত্র আল্লাহ্ তা’লা। এটি মূলত: একটি উপলব্ধি। আমার জীবন, আমার বেঁচে থাকার যাবতীয় উপায়-উপকরণ, এ বিশ্বের যাবতীয় সকল কিছু তো কেবল তাঁরই দান- এই উপলব্ধি, কৃতজ্ঞতার উপলব্ধি। যা মুখে উচ্চারণ এর পক্ষে ঘোষণা। অতঃপর এই মহান দাতার নির্দেশ, তাঁর কথা বাস্তব জীবনে মেনে চলার মাধ্যমে কার্যতঃ যিকির পূর্ণতা পেল। আর এটাই প্রকৃত যিকির।
নামায একটা যিকির-
“আর আমার স্মরণে নামায কায়েম কর।” (তোহা ২০: ১৪)
নামাযে পঠিত জিনিষগুলো বুঝে বুঝে উপলব্ধি সহকারে পাঠ, রুকু সিজদা আন্তরিক উপলব্ধি সহকারে আদায় এক অনুপম যিকির, যা অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে। নবী (সা.) ৫ ওয়াক্ত নামাযকে ৫ বার বিশুদ্ধ ঝরণার পানিতে গোসল করার সাথে তুলনা করেছেন।
অতএব, আল্লাহর যিকিরকে জীবনের অবলম্বনে পরিণত করি। অন্তরে প্রশান্তি লাভ করি।
(৪) পাপ বর্জন: আল্লাহ্ বলেন “মানুষের কৃতকর্মের ফলে জলে ও স্থলে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়ে।” (সূরা রুম ৩০: ৪১)
বস্তুত: মানবজীবনের যাবতীয় অশান্তির উৎস পাপ কাজ। পাপ আমাদের জীবনগুলি একেবারে বিষিয়ে তুলছে। আল্লাহর অধিকার ও মানুষের অধিকারগুলো লংঘনই পাপ। আল্লাহর অধিকার লংঘন সৃষ্টিকর্তার সাথে দূরত্ব তৈরী করে। ফলে অন্তরের প্রশান্তি দূর হয়ে যায়। আর মানুষের অধিকার লংঘন করে সাময়িক কিছু হাসিল হলেও দীর্ঘ মেয়াদে তা নানা পেরেসানী জন্ম দেয়। পাপ কাজ বর্জন সুখী জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মসলা।
(৫) যার যা আছে তাতে তুষ্ট হই:
আল্লাহ্ বলেন,
“যা দিয়ে আল্লাহ্ তোমাদের কাউকে কারো উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন তার লালসা করো না। পুরুষ যা অর্জন করে তা তার প্রাপ্য এবং নারী যা অর্জন করে তা তার প্রাপ্য অংশ। আল্লাহর নিকট তাঁর অনুগ্রহ প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞ।” (নিসা ৪: ৩২)
“ওপারেই যত সুখ আমার বিশ্বাস”- এ মনোভাব শান্তি কেড়ে নিবে। যা আল্লাহ্ আমাকে দিয়েছেন সন্তুষ্ট হই। যদি কিছু চাওয়ার হয় তাঁর কাছেই চাই-টাকা-পয়সা, সম্পদ, সুখ, ভালবাসা, বাড়ি-গাড়ি। অন্যকে হিংসা না করি। মনে রাখবেন হিংসুক দু’টি কবর খুঁড়ে। একটা যাকে হিংসা করে তার জন্য, আরেকটা নিজের জন্য। অর্থাৎ হিংসা করে কোন ফায়দা হয় না, নিজের ধ্বংস ডেকে আনা ছাড়া। হাদীসে এসেছে, তা নেক আমলকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে বিনষ্ট করে দেয়। হিংসা, পরশ্রীকাতরতা বর্জন করে সন্তুষ্ট থাকি, সুখ মিলবে।
(৬) নিজের প্রাপ্ত নেয়ামতগুলি মূল্যায়ন:
সৃষ্টিকর্তা আমাকে যা দিয়েছেন বুঝে-শুনেই দিয়েছেন। ওর মধ্যেই আমার কল্যাণ আছে বলে দিয়েছেন। দম্পতিদের সম্পর্কে আল্লাহর নসিহত হল-
“তাদের (স্ত্রীদের) সাথে সৎভাবে জীবনযাপন করবে। তোমরা যদি তাদেরকে অপছন্দ কর তবে এমন হতে পারে যে, আল্লাহ্ যাতে প্রভূত কল্যাণ রেখেছেন তোমরা তাকেই অপছন্দ করছো।” (নিসা ৪: ১৯)
এমন কতই না হচ্ছে। অপরের সুন্দরী ধনাঢ্য বংশীয় স্ত্রীর প্রতি মানুষ আকৃষ্ট। অথচ সে মহিলা হয়তো তাকে ও সন্তানদের রেখে অন্যের সাথে চলে গেছে। অথবা তার অহংকারের চোটে সংসারে শান্তি নেই। ওই লোকের হয়তো আশা এর চেয়ে আমার কালো মেয়ে ভাল ছিল। রসূল বলেন: তোমাদের মধ্যে যে লোক পরিবার পরিজনসহ নিরাপদে সকালে উপনীত হয়, সুস্থ শরীরে দিন কাটায় এবং তার কাছে যার দিনের খোরাকী থাকে তবে তার জন্য গোটা দুনিয়াটাই একত্র করা হল।” (তিরমিযী)
অতএব, নিজের যা আছে তা মূল্যায়ন করি, শান্তিতে থাকতে পারবো।
(৭) অতীত নিয়ে দুঃখ করবেন না ভবিষ্যত নিয়েও দুশ্চিন্তা নয়: মানুষের যাবতীয় দুঃখের উৎস অতীতের কোন ঘটনা আর তার দুশ্চিন্তার কেন্দ্রে আছে ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তা। এ করে করে বর্তমানকে সে হারিয়ে ফেলে অতীতের গহবরে অথবা ভবিষ্যতের অজানায়। অথচ অতীতকে ফিরিয়ে আনা যাবে না দুনিয়া জোড়া সবাই মিলে। আর ভবিষ্যত তো এখনো আসেইনি। অতএব, অতীত থেকে শিক্ষা নিন। ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নিন। বর্তমানকে কাজে লাগান, ভাল কাজ করুন, অতীতের গুনাহর জন্য তাওবা, ভবিষ্যতের জন্য সুন্দর পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা। দুশ্চিন্তা করে তো তা দূর হবে না। শুধুই পেরেসানী ও রোগের কারণ।
ইউসুফ (আ.)-এর জীবনে ভবিষ্যত নিয়ে সুন্দর পরিকল্পনার একটা নমুনা পাই আমরা। সূরা ইউসুফে এসেছে বিষয়টা। ৭ বছর ভাল ফসল হবে। পরবর্তী ৭ বছর চরম দুর্ভিক্ষ। তো উনি কি করলেন? ৭ বছর কিছু কিছু খাদ্যশস্য আলাদা করে রাখলেন। রেশনিং করলেন, ফলে দুর্ভিক্ষের বছরগুলিতে শুধু মিশর না সুদূর ফিলিস্তীন পর্যন্ত সাহায্যের হাত বাড়াতে পারলেন। ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তা করি আবার একই সাথে চলছে অপব্যয়, অতিভোজন, অপ্রয়োজনীয় খরচ, আনন্দ ফূর্তি, লোক দেখানি কাজ। খালি মেহমানদারী। আর খালি কি মেহমানদারী! দুর্মূল্যেও সবার মনগড়া খায়েশাত পূরণ করতে হবে। মেয়েরা জামাই নিয়ে আসবে তাই সামর্থের বাইরে হলেও বড় বাসা লাগবে। এগুলোর লাগাম টেনে ধরি। ঋণ-কর্য করে ফূর্তি বন্ধ করি। প্রয়োজনে অপেক্ষাকৃত ছোট বাসায় থাকি। কিছু কিছু করে জমাই। লোন শোধ অথবা অন্যান্য প্রয়োজন মেটানোর জন্য। কাজ শিখি নতুন নতুন। দুশ্চিন্তা করে এগুলোর কিছুই মিলবে না। শুধুই সুখ নষ্ট করা।
(৮) সময়ের সুষ্ঠু ব্যবহার:
সময় অপচয় করবেন না। অবসর আছে তো কাজে লাগান। Kill Spare time with work। সময়ই জীবন। অলসতা ও অপ্রয়োজনীয় কাজ বর্জন করি-
“কোন ব্যক্তির ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্য হল অনর্থক আচরণ বর্জন করা।” (তিরমিযী)
সময়ের অপচয় আফসোসের কারণ হয়। সময়কে ভাগ করে ব্যবহার করি। প্রতিদিন দরকারি কাজগুলি শেষ করি। ভাল কাজ করি, ইলম অর্জন করি - কুরআন-হাদীস-উপকারী বই পড়ি, অন্যকে সাহায্য করি, পরিবারকে সময় দেই, দাওয়াত দেই আত্মীয়-স্বজনদের, নতুন কিছু শিখি, নতুন কিছু করি।
রসূল বলেন-
“যার দু’টি দিন সমান গেল সে ক্ষতিগ্রস্ত।” (দায়লামী)
(৯) আল্লাহকে অবলম্বন: আল্লাহ্ বলেন,
“যে কেউ আল্লাহকে ভয় করে আল্লাহ্ তার পথ করে দিবেন, এবং তাকে ধারণাতীত উৎস হতে রিযিক দান করবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর নির্ভর করে তার জন্য আল্লাহ্ই যথেষ্ট।” (সূরা তালাক ৬৫: ২-৩)
আরো বলেন-
“যে আল্লাহকে ভয় করে আল্লাহ্ তার সমস্যা সমাধান সহজ করে দিবেন।” (সূরা তালাক ৬৫ : ৪) বিপদ মুসিবত জীবনের বাস্তবতা, অযথা পেরেসান না হই। সব কিছুর চাবি-কাঠি যাঁর হাতে তাঁর দিকেই রজু হই। তাঁকে ভয় করি। তাঁর শাস্তিকে ও পাকড়াওকে পরোয়া করি। তিনি সব কিছু আসান করে দিবেন, সহজ করে দিবেন। ইনশা-আল্লাহ।
(১০) দোয়া: রসূল (সা.) আমাদের দুঃখ দুশ্চিন্তায় দোয়া করতে শিখিয়েছেন:
“হে আল্লাহ্ আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের বোঝা ও মানুষের অত্যাচার থেকে।” (বুখারী)
এছাড়া বিভিন্ন সমস্যার জন্য তিনি বিভিন্ন দোয়া শিক্ষা দিয়েছেন। যেমন- জীবিকা, রোগ বালাই, মানুষের দেয়া কষ্ট ইত্যাদি। সেগুলো শিখে নিয়ে নিয়মিত আমল করি। দুঃখ-দুশ্চিন্তা তাঁর পরীক্ষা অথবা নিজেদের ভুল সিদ্ধান্ত বা পাপের কামাই। এগুলো দূর করার ব্যবস্থা তাঁরই হাতে। অতএব, তাঁর কাছে বেশী বেশী চাই। নিজের ভুলের সংশোধনগুলি করি ও দায়িত্বগুলি পালন করি। অতঃপর দোয়া করি বেশী বেশী। দোয়া কবুলের সময়গুলোতে এবং সব হালতে।
চলমান সময় রমজানের শেষ ক’দিন। দোয়া কবুলের সময়। সাদকা করি। সাদকা গুনাহকে মিটিয়ে দেয়। দোয়া করি। দোয়া তাকদীরকে বদলে দেয়ার হাতিয়ার। আল্লাহপাক সবার সহায় হোন।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.
Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.