ফাইনালে এক পা লিভারপুলের

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের চলতি মৌসুমে ভিয়ারিয়ালকে দুই রকম কৌশলের আশ্রয় নিতে দেখা গেছে। এই কৌশলেই তারা পেয়েছে সাফল্য, ১৬ বছর পর উঠেছে প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে। ঘরের মাঠে দলটি যতটা আক্রমণাত্মক ফুটবলে খেলে, ততটাই রক্ষণাত্মক দেখা যায় অ্যাওয়ে ম্যাচগুলোতে। শেষ চারের প্রথম লেগটা প্রতিপক্ষের মাঠে, ভিয়ারিয়ালও তাই রক্ষণাত্মক মেজাজে হাজির হলো।

লিভারপুল খেলোয়াড়দের বাঁধভাঙা উল্লাস

লিভারপুল মাঠ অ্যানফিল্ড স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে উনাই এমেরির রক্ষণাত্মক কৌশলটা কাজে লেগেছে। ম্যাচের প্রথম ভাগে স্বাগতিকদের গোলই করতে দেয়নি জমাটবাঁধা ভিয়ারিয়াল। কিন্তু লিভারপুলের মাঠে আক্রমণ কতক্ষণই বা ঠেকিয়ে রাখা যায়! স্প্যানিশ ক্লাবটি শেষ অবধি দেয়ালটা অটুট রাখতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে দুই মিনিটের ব্যবধান দুবার তা গুড়িয়ে দেন ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা।

বুধবার রাতে সেমিফাইনালের অসম লড়াইয়ের প্রথম লেগে ভিয়ারিয়ালকে ২-০ গোলে হারিয়েছে লিভারপুল। এই জয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনালের টিকিট অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেল ইংলিশ জায়ান্টদের। ফিরতে লেগে বড় কোনো বিপদ না এলে শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে দেখা যাবে অল রেডদের। আর স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে আগামী মঙ্গলবার ঘরের মাঠে রূপকথার প্রত্যাবর্তন করতে হবে ভিয়ারিয়ালকে। জিততে হবে অন্তত তিন গোলের ব্যবধানে।

অ্যানফিল্ড স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৫৩ মিনিটে গোলমুখ খোলে লিভারপুল। স্বাগতিকদের আক্রমণের তোপে আত্মঘাতী গোল করে বসেন ভিয়ারিয়াল ডিফেন্ডার পারভিস ইস্টোপিনান। দুই মিনিটের মধ্যে দ্বিতীয়বার কেঁপে ওঠে অতিথিদের জাল। মোহাম্মদ সালাহর সহায়তায় গোল করেন সাদিও মানে। চ্যাম্পিয়নস লিগ নক অউট পর্বে এটা তার ১৪তম গোল।

এই গোলেই মানে ভাগ বসালেন পূর্বসুরি দিদিয়ের দ্রগবার রেকর্ডে। আফ্রিকান ফুটবলারদের মধ্যে এই দুজন এখন চ্যাম্পিয়নস লিগ নক আউট পর্বে সর্বোচ্চ গোলদাতা। মানের জন্য দ্রগবাকে ছাড়িয়ে যাওয়াটা এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। সেনোলিজ ফরওয়ার্ডের এই গোলেই লিভারপুলের ফাইনালের রাস্তাটা প্রায় পরিষ্কার হয়ে গেল মার্সিসাইড ক্লাবটির। অপেক্ষা এখন ফিরতি লেগের।

লিভারপুল ম্যাচের প্রথম গোলটা পেতে পারতো বিরতির বাঁশির আগেই। কিন্তু সালাহর ক্রস থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন মানে। প্রথমার্ধের শেষ দিকে ভাগ্যদেবী হতাশ করে অল রেডদের। থিয়াগো আলকান্তার বুলেট গতির দূরপাল্লার শট ফিরে আসে ভিয়ারিয়ালের পোস্টে লেগে। সেই হতাশা অবশ্য ম্যাচের দ্বিতীয় ভাগেই দূর হয়ে গেছে পরপর দুই গোলে।