প্রথম পর্ব: নিশ্চিত জাহান্নামী যারা
- Details
- by এহসানুল কবীর
আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’লা বলেন, “আর যার আমলনামা তার বাঁ হাতে দেয়া হবে সে বলবে: হায়-আমার আমলনামা যদি আমাকে দেয়াই না হতো, এবং যদি আমি নাই জানতাম আমার হিসাব! হায়! মৃত্যুতেই যদি আমার শেষ হতো! আমার ধন-সম্পদ আমার কোন কাজেই আসল না।
আমার ক্ষমতাও বিনষ্ট হয়েছে। ফিরিস্তাদের কে বলা হবে, ধর ওকে, আর ওর গলায় বেঁড়ি পরিয়ে দাও। অতঃপর ওকে নিক্ষেপ করো জাহান্নামে। আবার তাকে বাঁধ সত্তর হাত দীর্ঘ এক শিকলে। সে মহান আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল না, এবং অভাবগ্রস্তকে খাদ্য দিতে উৎসাহিত করতো না, অতএব আজকের এই দিনে তার নেই কোন সমব্যথী বন্ধু, আর কোন খাদ্যও নেই ক্ষত নিঃসৃত পুঁজ-রক্ত ছাড়া, যা পাপী ছাড়া কেউ খাবে না।” (সূরা হাক্কা ৬৯: ২৫ - ৩৭)
দুনিয়ার জীবনে শান্তি-সুখ আর পরকালীন জীবনে অনন্ত জান্নাতের প্রত্যাশী কে নয়? কিন্তু শুধু প্রত্যাশা মানুষকে কল্যাণ দেয় না। আল্লাহ্ তা’লাও এ বিষয়ে আলোচনার অবতারণা করে বলেন-
“মানুষ যা চায়, তা-ই কি সে পায়?” (সূরা নাজম ৫৩: ২৫)
অতঃপর তিনি নিজেই জবাব দিয়েছেন-
“মানুষ তা-ই পায় যা সে করে।” (সূরা নাজম ৫৩: ৩৯)
জান্নাত কোন লটারীর টিকেট নয়। নয় কোন ধর্মীয় গোষ্ঠীর উত্তরাধিকার, যেমন দাবী কারো কারো- আমি ইহুদী তাই আমি জান্নাতী। যেমন আমাদের মধ্যেও কেউ কেউ করেন - আমরা উম্মতে মুহাম্মদী তাই আমরা নিশ্চিত জান্নাতী। এ সবই মিথ্যা আশা, জান্নাত হোক বা জাহান্নাম সবই মূলতঃ কর্মফল। আমি-আপনি যা করেছি, করছি বা করবো, তারই বিনিময় পরকালে অপেক্ষা করছে।
জীবন একবারই। এর অবসানে অপেক্ষা করবে চিরস্থায়ী শান্তি-সুখ-জান্নাত অথবা চিরস্থায়ী অশান্তি লাঞ্ছনা-কষ্ট-বেদনা-জাহান্নাম। দুনিয়ার জীবনের বিশ্বাস ও কর্মের পরিণতি। এ জীবন দুনিয়ার কোন পরীক্ষার মতো নয় যে একবার অকৃতকার্য হলাম তো পরেরবার আবার সুযোগ আছে-
“হে মুমিনগণ! তোমাদের ঐশ্বর্য ও সন্তান-সন্ততি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণে বিমুখ না করে, যারা উদাসীন হবে তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত, আমি তোমাদেরকে যে রিয্ক দিয়েছি তোমরা তা থেকে ব্যয় করবে তোমাদের কারো মৃত্যু আসার আগেই। অন্যথায় মৃত্যু আসলে সে বলবে, হে আমার রব ‘আমাকে আরো কিছুকালের জন্য অবকাশ দিলে আমি সাদাকা দিতাম এবং নেককার লোকদের সামিল হতাম,’ কিন্তু যখন কারো নির্ধারিত কাল উপস্থিত হবে, তখন আল্লাহ্ তাকে কিছুতেই অবকাশ দিবেন না। তোমরা যা কর আল্লাহ্ সে বিষয়ে বিশেষভাবে খবর রাখেন।” (সূরা মুনাফিকূন ৬৩: ৯ - ১১)
অতএব, দুনিয়ার জীবন আবার ফিরে পাওয়া যাবে না। না মেয়াদ শেষ হলে এক্সটেনশন পাওয়া যাবে - One time deal. সুযোগ আছে প্রত্যাবর্তনের, মৃত্যু যন্ত্রণা প্রকাশের আগ পর্যন্ত। যা কখন কেউই জানি না। তাই সুযোগ এখনই তওবার। সুযোগ এখনই আত্মসংশোধনের।
জান্নাতী কে, কেই বা হতভাগ্য জাহান্নামী এ আলোচনা চলছিল। আজ নিশ্চিত জাহান্নামী হওয়ার বিষয়ে সংক্ষেপে দৃষ্টি দিব আমরা।
* মুশরিক অবস্থায় মৃত্যুবরণকারীর জন্য জান্নাত নয়
শিরক জঘন্যতম অন্যায়, জুলুম (লুকমান: ১৩)। মহান আল্লাহ্ তা’লার প্রতি অংশী স্থাপন করা; যার বাস্তবে কোন অস্তিত্ব নেই। শিরক অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে আল্লাহ্ কোন অবস্থায় মাফ করবেন না -
“নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাঁর সাথে শরীক করাকে ক্ষমা করেন না; তা ছাড়া সব কিছু যাকে ইচ্ছা (অর্থাৎ তাঁর বিধান অনুযায়ী) ক্ষমা করেন, আর কেউ আল্লাহর শরীক করলে সে তো ভীষণভাবে পথভ্রষ্ট হয়।” (সূরা নিসা ৪: ৪৮, ১১৬)
কেউ আল্লাহর শরীক করলে তার জন্য জান্নাত হারাম এবং তার স্থায়ী ঠিকানা জাহান্নাম। (মায়িদা ৫: ৭২)
কেউ ধারণা করেন আমরা তো মূর্তি পূজা করি না তাই আমরা এ কঠিন গুনাহ ও তার পরিণাম থেকে মুক্ত। বস্তুতঃ শিরক কিভাবে হয় আসুন দেখি। সাধারণভাবে শিরক ২ প্রকার:
(১) বড় শিরক বা শিরকে আকবর এবং
(২) ছোট শিরক বা শিরকে আসগার।
ছোট শিরকের মধ্যে মূল হল নিয়তের বিশুদ্ধতা না থাকা, অর্থাৎ রিয়া বা লোক দেখানো কাজ।
বড় শিরকের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আল্লাহর সত্ত্বা ও অধিকারের কাউকে শরীক করা। এর মধ্যে রয়েছে:
(১) আল্লাহর জাতের সাথে শিরক: যেমন- কাউকে আল্লাহর পুত্র-কন্যা সাব্যস্ত করা যেমন-খৃষ্টানরা ঈসা (আ.) কে আল্লাহর পুত্র বলে বিশ্বাস করে। তিন খোদায় বিশ্বাস করে (মায়িদা ৩: ৭৩)
-যারা মনগড়া কাল্পনিক দেব-দেবী, বা পূর্ববর্তী নবী-রসূল, সজ্জন ব্যক্তিদের পূজা করে। যেমন: ইহুদীধর্ম, হিন্দু ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্ম, জরুস্ত্রিয়ান ধর্ম ইত্যাদি।
- কেউ পূর্ব পুরুষদের পূজা করে। যেমন - সিন্টো ধর্ম।
এখন প্রশ্ন হল, ঈসা (আ.) কে যারা আল্লাহ্ বলে বিশ্বাস করে তারা যদি শিরক করে তবে যারা মুহাম্মদ (স.) কে আল্লাহর নূরের সৃষ্ট এমনকি জাতি নূরে সৃষ্ট বলে অথবা বলে মুহাম্মদ (স.)-ই আল্লাহ। তিনি মানুষের রূপ ধরে নবী হয়ে এসেছেন (নাউযুবিল্লাহ)। যারা এমন বিশ্বাস করছেন তারাও কি একই অপরাধ করছেন না। একই কাজ করে ইহুদী-খৃষ্টান মুশরেক হল। আর আমরা হলাম জান্নাতী। এরকম চিন্তা ভিত্তিহীন। আল্লাহর দরবারে মানুষের অবস্থান সমান। একই বিধানে ইহুদী-খৃষ্টান-হিন্দু-মুসলিম সবার ফয়সালা হবে। আল্লাহ্ আমাদের ভাইদের সবাইকে এহেন শিরক থেকে রক্ষা করুন।
(২) আল্লাহর গুণাবলীর সাথে শিরক:
যেমন গায়েবের জ্ঞান রয়েছে শুধু আল্লাহ্ তা’লার নিকট (আনআম ৬: ৫৯)। এমনকি নবী (স.)ও আল্লাহ্ তাকে যা জানিয়েছেন তার বাইরে গায়েবের বা অদৃশ্য জগতের, ভূত-ভবিষ্যতের জ্ঞান রাখতেন না। (আরাফ ৭: ১৮৮) এখন কেউ যদি বিশ্বাস করেন পাদ্রী, পুরোহিত বা পীর-দরবেশও গায়েবের খরব রাখেন তাহলে তা শিরকী বিশ্বাস হবে। গাউস অর্থ ত্রাণকর্তা। গাউসুল আযম অর্থ সর্বশ্রেষ্ঠ ত্রাণকর্তা - যা একমাত্র আল্লাহ্ তা’লার সিফাত বা গুণ। তা কোন মানুষের উপর আরোপ করা মুশরেকী চিন্তা-বিশ্বাসের অন্তর্ভুক্ত। দুর্ভাগ্যজনক বহু মুসলিম এমনটাই বিশ্বাস করছে।
(৩) আল্লাহর হক বা অধিকারে শিরক:
রুকু-সিজদা-মানত-দোয়াসহ সব ধরনের ইবাদাত শুধুমাত্র আল্লাহ্ তা’লার জন্য - এটাই তাওহীদ বিশ্বাসের দাবী। কিন্তু আল্লাহ্ তা’লাকে বাদ দিয়ে মানুষ আজ অপর মানুষকে, দেব-দেবী, নেতা-নেত্রী বা তাদের মূর্তি-ছবির প্রতি একই রকমভাবে আনুগত্যের প্রকাশ ঘটাচ্ছে। মাথা নত করছে, রুকুর মতো করে Bow করছে, তাদের কাছে কল্যাণের জন্য প্রার্থনা করছে, তাদের কল্যাণ- অকল্যাণের উৎস মনে করে মান্য করছে। কেউ পীর, ওলী বা মনগড়া কবরে সিজদা করছে। তাদের উদ্দেশ্যে মানত করছে, কেউবা জীবিত পীরকে সিজদা করছে। এ সবই শিরকী আমলের অন্তর্ভুক্ত।
(৪) আল্লাহর ইখতিয়ারে শিরক:
মানুষের স্র্রষ্টা আল্লাহ্ তা’লা। তাই মানুষের বিষয়ে সব জ্ঞান এবং সঠিক জ্ঞান শুধু আছে মহান আল্লাহরই। এজন্য মানুষের দুনিয়ার জীবন পরিচালনার নিয়ম-কানুন, আইন-বিধান, বৈধ-অবৈধের সীমানা নির্ধারণের সঠিক ও পূর্ণ জ্ঞান আছে তাঁরই। সৃষ্টিকর্তা হিসেবে এ সব নির্ধারণের অধিকারও শুধুই তাঁর। এটি তাওহীদ বিশ্বাসের অন্যতম দাবী। আল্লাহপাক বলেন-
“জেনে রাখ, সৃষ্টি যাঁর, বিধানও তাঁরই।” (আরাফ ৭: ৫৪)
আল্লাহ সুবহানু ওয়া তা’লা আরও বলেন-
“ইনিল হুকমু ইল্লা-লিল্লাহ।”
অর্থাৎ “বিধান দেয়ার অধিকার কেবল আল্লাহরই।” (ইউসুফ ১২: ৪০, ৬৭; কাহাফ ১৮: ২৬)
আল্লাহ্ ছাড়া অপর কেউ স্বাধীনভাবে মানুষের জন্য বিধান রচনার অধিকার রাখে বিশ্বাস করা তাওহীদের সুস্পষ্ট বরখেলাফ। এটিকে কুরআন মজীদে কুফরী হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। (মায়িদা ৫: ৪৪)
এমন হতে পারে, কেউ তাওহীদে আন্তরিক বিশ্বাসী কিন্তু সমাজ-পরস্থিতির চাপে তিনি অন্য কোন বিধান মানছেন বা মানতে বাধ্য হচ্ছেন। কিন্তু বিশ্বাসের ক্ষেত্রে তাওহীদের সাথে আপোষ করেননি। তিনি ইনশাল্লাহ্, এ গুনাহ থেকে সুরক্ষিত থাকবেন। কিন্তু কেউ যদি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে আল্লাহর বিধানে কল্যাণ নেই, তা বর্তমান যুগে অচল বা শরীয়ত মানার প্রয়োজন নেই অথবা ইসলাম ছাড়া অন্য কোন মত-পথ-নিয়ম-কানুন বা বিধানে কল্যাণ রয়েছে তাহলে সে কার্যত: শিরকের গুণাহ হয় লিপ্ত হল। কুরআন মজীদে বলা হয়েছে-
“তারা (অর্থাৎ আহলে কিতাব ইহুদী নাসারা) আল্লাহকে ছেড়ে তাদের পন্ডিত ও সন্ন্যাসীদের রব হিসেবে গ্রহণ করেছে এবং মরিয়ম তনয় ঈসাকেও। অথচ তারা এক ইলাহের ইবাদাত করার জন্যই আদিষ্ট হয়েছিল। তিনি ছাড়া অন্য কোন ইলাহ নেই। তারা তাঁর যে শরীক সাব্যস্ত করে, তা থেকে তিনি পবিত্র।” (তওবা ৯: ৩১)
হযরত আদি ইবনে হাতিম (রা.) পূর্বে খৃষ্টান ছিলেন। তিনি এ আয়াত শুনে বললেন, রসূলুল্লাহ্ (স.) এর নিকট এর তাৎপর্য জানতে চান। তিনি (স.) বললেন, তারা যেগুলোকে হারাম বলতো, তোমরা সেগুলোকে হারাম বলে মেনে নিতে একথা কি সত্য নয়? জবাবে আদি ইবনে হাতিম (রা.) বলেন, হ্যাঁ তা ঠিক। রসূল (স.) বলেন, এটিই হচ্ছে তাদের রব বানিয়ে নেয়া। অর্থাৎ ইহুদী-খৃষ্টান পাদ্রী-দরবেশরা আল্লাহর কিতাবের বিপরীত হালাল-হারাম বিধান রচনা করতো এবং জনগণ তা মেনে নিত। বস্তুত: আল্লাহকে বাদ দিয়ে কাউকে স্বাধীনভাবে বিধান-নিয়ম রচনার অধিকারী মনে করলে কার্যত: তাকে রব হিসেবে গ্রহণ করা হয়। এটি কেবলমাত্র আল্লাহ্ পাকেরই ইখতিয়ার। এর অন্যথা শিরক। (দ্রষ্টব্য: ড. সালেহ আল ফাওযান কৃত আকীদা আত-তাওহীদ, সিয়ান পাবলিকেশন, পৃ ১৫৬-১৮০)
তাওহীদ বিশ্বাস ইসলামে ঈমানের ভিত্তি। ঈমান ছাড়া নেক আমল অর্থহীন। তা কবুল হবে না। দুঃখজনকভাবে কুরআন-সুন্নাহ্ ভিত্তিক ঈমানের বিষয়ে আলোচনা বর্তমান মুসলিম সমাজে কার্যত: খুবই কম। অথচ এটি সব আমলের ভিত্তি জান্নাতী হওয়ার মূল ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। তাই আমাদের সকলেরই এ ব্যাপারে জ্ঞান অর্জন করা খুবই জরুরি। সমস্ত ইসলামী দল-সংগঠন তাদেরও শিক্ষা কার্যক্রমে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা এবং তা গুরুত্ব সহকারে পাঠ ও পর্যালোচনা নিশ্চিত করা দরকার। জুমুআ’র খুতবায় উদ্দেশ্যহীন রাজনীতি বা খুঁটিনাটি মাসলা ও ফযীলতের বয়ান রেখে ঈমান-আকীদার উপর কুরআন-সুন্নাহভিত্তিক ধারাবাহিক আলোচনা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।
রমজান তার শেষ ও সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ দশকে পদার্পণ করেছে। এক হাদীসে এসেছে, রসূলুল্লাহ (স.) এ কদিন রাতগুলোকে ইবাদাত-বন্দেগীর মাধ্যমে জীবন্ত করে তুলতেন। পরিবার-পরিজনদের ইবাদাতের জন্য তাগিদ দিতেন। আমাদেরও তাগিদ দিয়েছেন। শবে কদরের তালাস-গুনাহ মাফির সুনিশ্চিত সুযোগ। পরবর্তী সময়ের ভাগ্য নির্ধারণের মহান সম্ভাবনা। হেলায় না হারাই। মার্কেটে ঘুরে নিজের ক্ষতি না করি। TV - নেট বন্ধ করে দেই। নামায, যিকির-আযকার, কুরআন অধ্যয়ন, দোয়া-ইস্তেগফারে সময় বাড়াই। সাদাকা করি বেশী বেশী।
মনে রাখি, একটা রাত্রি এসেছে যার নেক আমল হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। সারাটা রাত, এর প্রতিটি ঘন্টা, প্রতিটি মিনিট, সেকেন্ড- হাজার মাসের পরিমাণের সাথে মিলিয়ে বুঝি সবাই। কেউ কেউ নানাভাবে নিধারণের চেষ্টা করেন এটা কোন রাত , তারিখ আবহাওয়া ইত্যাদি মিলিয়ে। কি প্রয়োজন বুঝি না। সবার জন্য অবারিত সুযোগ দশ দশটা দিনের। বললাম ঐ রাতটা শবে কদর। তো তারপর কেউ ব্যস্ততা বা গাফলতিতে তা হারালাম। তখন মনে হতে পারে বাকী রাতগুলোতে তাহলে আর ইবাদাত করে লাভ কি? একথা মনে না করি। আল্লাহ তা’লা নবীকে জানিয়েছিলেন কোনটা কদরের রাত। তারপর সে জ্ঞান তিনি উঠিয়ে নিলেন। নিশ্চিতভাবে তাতে কল্যাণ আছে।
সবার জন্য সুযোগ আছে। দশ রাত, বেজোর রাত, ২৭ শে’র রাত। কত মানুষ, কত অবস্থা, আল্লাহ্ কাউকে বঞ্চিত করবেন না। নিজের জন্য, সন্তানদের জন্য সবার ঈমানী জিন্দেগীর জন্য, রিজিকের জন্য, রোগমুক্তির জন্য, মরহুম-মরহুমাদের নাজাতের জন্য দেশের জন্য মানুষের জন্য, নেতৃবৃন্দের জন্য- সবার জন্য কল্যাণ চাই। বেশী বেশী চাই, অন্তর খুলে চাই। নবী (স.)-এর শেখানো দোয়া করি বেশী বেশী: “আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফ্যুউন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফা’ফুআন্নি।” অর্থাৎ “হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করতে আপনি ভালবাসেন, আমাকে ক্ষমা করে দিন।” আল্লাহ্ আমাদের সবার নেক দোয়াগুলি আপনি কবুল করুন। আমাদের মাফ করে দিন। আমীন।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.
Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.