হামলার প্রতিবাদে ইয়েমেনে ব্যাপক বিক্ষোভ

ইয়েমেনের রাজধানী সানায় একটি জানাজার নামাজে বিমান হামলায় ১৪০ জন মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনায় দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। সানায় অবস্থিত জাতিসংঘ দপ্তরের সামনে অনুষ্ঠিত হওয়া এই বিক্ষোভে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়।

এর আগে ইয়েমেনের রাজধানী সানায় একটি জানাজার নামাজে বিমান হামলায় ১৪০ জন মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে পাঁচ শতাধিক। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।

বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা ইয়েমেনের ওপর যৌথ বাহিনীর হামলা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জাতিসংঘকে আহ্বান জানায়।

ইয়েমেনের বিদ্রোহী হুতি গোষ্ঠী-নিয়ন্ত্রিত সরকার বিমান হামলার দায় সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীর ওপর চাপিয়েছে। তবে এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে সৌদি আরব।

হুতি গোষ্ঠী-নিয়ন্ত্রিত সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গালাল আল-রাবিশানের বাবার জানাজার নামাজে এই বিমান হামলা চালানো হয়। হামলায় এখন পর্যন্ত ৫২৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে আরও অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

ইয়েমেনে নিযুক্ত জাতিসংঘের মানবিক কার্যক্রমের সমন্বয়কারী জেমি ম্যাকগোল্ডরিক জানাজার নামাজে এই হামলাকে ‘লোমহর্ষক’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের কর্মীরা এই হামলায় স্তম্ভিত হয়েছে। এই হামলার দ্রুত তদন্ত হওয়া উচিত।

এদিকে সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল আহমেদ আল-আসিরি বলেছেন, এই হামলার জন্য সৌদি আরব কোনোভাবেই দায়ী নয়। কারন তারা কখনোই বেসামরিক জনগণকে টার্গেট করেন না। হামলায় নিরীহ লোকজন মারা যাবে না –এই ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পরই প্রত্যেকটি হামলা চালানো হয় বলে তিনি দাবি করেন। আরব নিউজ।

ইতোমধ্যেই হামলার স্থানে আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি (আইসিআরসি) পৌঁছেছে। মরদেহ সরানোর কাজও শুরু করেছে তারা। এই হামলায় হুতি বিদ্রোহীদের বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

রিপাবলিকান নেতারাই ট্রাম্পকে ভোট দেবেন না

এক-চতুর্থাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে আইএস

ইয়েমেনে বিমান হামলায় নিহত ১৪০, আহত পাঁচ শতাধিক

নির্বাচন থেকে কখনোই সরে যাবেন না ট্রাম্প

সালমান খানকে দেশ ছাড়ার হুমকি