ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশ করেই ছাড়লো পাকিস্তান

কদিন আগেও টেস্টের এক নম্বর ছিলো পাকিস্তান। ওয়ানডেতে নয় নম্বর। তখন বলা হচ্ছিলো, টেস্টে যারা এক নম্বর ওয়ানডেতে তারা নয় নম্বর হয়ে যায় কী করে! পাকিস্তানের সাবেকরাও কঠোর সমালোচনা করছিলেন বর্তমান দলের। অবশেষে সেই সমালোচনার উত্তর দেয়া শুরু করলেন আজহার আলিরা। সেটা ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশ করেই।

ওয়ানডে সিরিজের আগে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাকিস্তানের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ক্যারিবীয়রা। এরপর ওয়ানডে সিরিজেও একই পরিণতি বরণ করতে হলো তাদের।

প্রথম দুই ম্যাচে টানা জয়ের পর প্রাথমিক কাজটা আগেই সেরে রেখেছিলো পাকিস্তান। তৃতীয় ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৩০৮ রান করে, বাকি কাজও মোটামুটি শেষ করেই রাখে তারা। পরে এর জবাব দিতে নেমে ক্যারিবীয়রা ১৭২ রানে। ফলে শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের জয় আসে ১৩৬ রানের বিশাল ব্যাবধানে।

টানা তিন জয়ে পাকিস্তানের মূল নায়ক বাবর আজম। শেষ ম্যাচে তার সঙ্গে সেঞ্চুরি করেছেন আজহার আলিও। যার ব্যাটিং নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তাতেই ছিলো পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্ট।

এদিকে এই সিরিজের আগে বাবর আজমের কোনো ওয়ানডে সেঞ্চুরি ছিলো না। সিরিজ শেষে তার নামের পাশে তিন তিনটি সেঞ্চুরি! অর্থাৎ প্রতিটি ম্যাচেই সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। পরের সিরিজের প্রথম ম্যাচেও যদি সেঞ্চুরি করতে পারেন, তবে বিশ্বরেকর্ডেরই মালিক হয়ে যাবেন তিনি।

এক সিরিজের তিন ম্যাচে টানা তিন সেঞ্চুরি করার কীর্তি বাবর বাদে আছে কেবল কুইনটন ডি ককের। তবে কককে বাবর ছাড়িয়ে গেছেন মোট রানে। এই সিরিজের ম্যাচে বাবর তিনটি সেঞ্চুরি হলো ১২০, ১২৩ ও ১১৭ রানের। অর্থাৎ তিন ম্যাচে তিনি করেছেন ৩৬০ রান।

কুইনটন ডি কক ২০১৩ সালে ভারতের বিপক্ষে হোম সিরিজে করেছিলেন ১৩৫, ১০৬ ও ১০১ রান, মোট ৩৪২। অর্থাৎ ১৮ রান বেশি করে তিন ম্যাচে সবচেয়ে বেশি রান করার বিশ্বরেকর্ডটা এখন বাবর আজমেরই।

আপনি আরো পড়তে পারেন

সাব্বির: আমাদেরও ৩০০ চেজ করার ক্ষমতা আছে

ইংল্যান্ড সিরিজেও সহজ ডটকমে টিকিট

মেয়ে আইসিইউতে, বাবা খেললেন টেস্ট

আরেকটা হোয়াইটওয়াশের স্বপ্ন পাকিস্তানের

বিশাল রান তাড়া করে জিতলো ইংলিশরা