ট্রাম্পের পথেই হাঁটছেন ইলন মাস্ক!

বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক নিজের একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম তৈরির ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছেন। বাক স্বাধীনতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং সবচেয়ে কম অপপ্রচার চলবে এমন এক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম খোলার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছেন তিনি। খবর রয়টার্স।

ইলন মাস্ক

সম্প্রতি টুইটারের কিছু বিষয়ে বিরক্ত হয়ে টুইটার ইউজারদের কাছে এ ব্যাপারে মতামত জানতে চেয়েছিলেন তিনি। জিজ্ঞাসা করেছিলেন, টুইটারে কি বাকস্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে? উত্তরে নানাজন নানা রকম মত দেয়। অধিকাংশ অবশ্য টুইটারের পক্ষেই কথা বলেন।

এদের মধ্যে একজন জানতে চান, মাস্ক নতুন কোনো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম তৈরির কথা ভাবছেন কি না। উত্তরে মাস্ক বলেন, বাক-স্বাধীনতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং সবচেয়ে কম অপপ্রচার চলবে এমন একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম খোলার ব্যাপারে তিনি সিরিয়াসভাবে চিন্তাভাবনা করছেন।

ট্রাম্প ও ট্রুথ সোশ্যাল

জানা গেছে, টুইটারের কিছু নীতি নিয়ে অনেকদিন ধরেই সরব ইলন মাস্ক। টুইটে বাকস্বাধীনতা নিয়ে তার লেখাটি ছিল এমন, টুইটারই এখন পাবলিক টাউন স্কয়ারের কাজ করে, তাই এখানে বাকস্বাধীনতা খর্ব হলে তা গণতন্ত্রের পরিপন্থী হয়ে দাঁড়ায়। কী করা উচিত? নতুন প্ল্যাটফর্মের দরকার?’ এ ব্যাপারে তিনি সবাইকে অত্যন্ত বুঝেশুনে মন্তব্য করতে অনুরোধ করেন।

তবে ইলন মাস্ক ঠিক যেরকম ফল প্রত্যাশা করেছিলেন, পুরোপুরি সে পথে হাঁটেনি জরিপের ফল। কারণ অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষ বলেছেন, টুইটারে বাক স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে না।

প্রসঙ্গত, নির্বাচন ও তার পরবর্তী কিছু বিতর্কিত বিষয়ের কারণে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট বাতিল হয়ে যায়। এরপর নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ লঞ্চ করেন ট্রাম্প। প্রথমদিনেই তা আইফোন ক্লাউডের ডাউনলোড লিস্টে এক নম্বরে চলে আসে। এবার হয়তো ইলন মাস্কের পালা।