তামিমদের চমকে দিয়েছে অসমান বাউন্স

ওয়ান্ডরার্সের উইকেটে সকালের প্রথম ঘণ্টায় ম্যাচটা বাংলাদেশের হাত থেকে ফসকে গেছে। ৩৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে টাইগাররা। সাকিব, তামিম, মুশফিক, লিটন, ইয়াসির দ্রুত ফিরে গেছেন। রাবাদা-লুঙ্গিদের গতিময় ফাস্ট বোলিংয়ের সঙ্গে উইকেটের বাড়তি বাউন্সে নাকাল হয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। অসমান বাউন্সই চমকে দিয়েছে তামিম-সাকিবদের।

উইকেটের আচরণই ভড়কে দিয়েছে তামিমদের

ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশের পুঁজিই বড় হয়নি। ৯ উইকেটে ১৯৪ রান করেছিল তামিম বাহিনী। ডি কক, ভেরেইন্নের হাফ সেঞ্চুরিতে ৩৭.২ ওভারে যা টপকে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। রোববার ৭ উইকেটের জয়ে সিরিজে সমতা (১-১) ফেরে স্বাগতিকরা।

ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবালও স্বীকার করেছেন, উইকেটের এমন আচরণ আশা করেননি। তবে ম্যাচ হেরে যাওয়ায় নিজেদেরই দুষেছেন তিনি।

ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীতে তামিম আজ ওয়ান্ডারার্সের উইকেট নিয়ে বলেন, ‘আমরা যেটা প্রত্যাশা করেছিলাম উইকেট তেমন ছিল না। পেস, বাউন্স থাকবে, এটা মানা যায়। কিন্তু আন-ইভেন (অসমান বাউন্স) আপনি নিতে পারবেন না, বর্ণনা করা কঠিন। আমরা নিজেদের আরও ভালো প্রয়োগ করতে পারতাম। হয়তো ২৩০-২৪০ করতাম, দেখা যেত কি হয়। দ্বিতীয় ইনিংসেও বল উঠা-নামা করছিল, বিশেষ করে নতুন বলে। এখান উইকেটে খুব বেশি খেলার অভিজ্ঞতা আমাদের নেই।’

টস জিতে ব্যাটিং করা নিয়েও হয়েছে অনেক সমালোচনা। এ সম্পর্কে বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা অনেক পরিসংখ্যান দেখেছি, পরিসংখ্যান বলছে আগে ব্যাটিং করলে এখানে ম্যাচ জেতা যায়। টস জিতে ব্যাটিং, বোলিং নিয়ে অনেক মন্তব্য করা যাবে। আমার মনে হয় এখানেই ম্যাচটা শেষ হয়ে যায় না।’

ব্যাটিংয়ের ভুলই পোড়াচ্ছে তামিমকে। বাংলাদেশের অধিনায়ক বলছেন, ‘আমরা ভুল করেছি, ওরা দারুণ বোলিং করেছে। আমরা জানতাম প্রথম ১০ ওভারে ওরা চাপ দিবে। তারা মানসম্পন্ন বোলার। প্রথম ম্যাচের মতোই তাদের সামাল দেওয়া উচিত ছিল। স্কোর করার অনেক সময় ছিল। মাঝের ওভারগুলোতে রান করে তাদের চাপে ফেলতে পারতাম। কিন্তু প্রথম ১০ ওভারই মূল।’

আফিফ, মিরাজ ৮৬ রানের জুটি গড়েছেন সপ্তম উইকেটে। তাতেই মানরক্ষা হয়েছে। তামিম বলেন, ‘আমরা খুব সংগ্রাম করছিলাম। একটা সময় তো ১০০ কঠিন মনে হচ্ছিল। আমরা ১৯৪ করেছি। আফিফ দারুণ ইনিংস খেলেছে, মিরাজও। ইতিবাচক অনেক কিছু আছে কিন্তু এমন ম্যাচ বর্ণনা করা কঠিন। আমি উইকেট, এটা-সেটাকে দুষতে পারবো, দিন শেষে আমাদেরই দায় নিতে হবে।’

রান তাড়া করতে নেমে ডি কক আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। ৪১ বলে ৬২ রান (৯ চার, ২ ছয়) করেন। যা চাপটা কমিয়ে দেয় প্রোটিয়াদের ওপর থেকে।

ডি ককের আক্রমণ নিয়ে তামিম বলেন, ‘আমরা জানতাম সে (ডি কক) আসবে এবং সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে। কিছুদিনে সব তার পক্ষে যাবে।’