পুরো প্রদেশকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করল চীন

২০১৯-এর শেষদিকে চীনে প্রথমবারের মতো শনাক্ত হয় করোনাভাইরাস। তখন লকডাউনসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছিল চীন। ফলে পুরো বিশ্বে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লেও চীনের পরিস্থিতি ছিল তুলনামূলক ভালো। সেই চীনে গত কয়েকদিনে আবারও বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ। সতর্কতার স্বার্থে পুরো প্রদেশকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে চীন। খবর আনাদোলু।

জিলিন প্রদেশে করোনা টেস্টের জন্য লাইন

সম্প্রতি উত্তর-পূর্ব চীনের জিলিন প্রদেশে সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়তে থাকে দ্রুতহারে। গত দুই বছরে চীনে করোনা পরিস্থিতির এমন অবনতি আর হয়নি। ফলে প্রশ্ন উঠতে থাকে জিনপিং সরকারের ‘কোভিড-শূন্য’ রণকৌশল নিয়ে। এ পরিস্থিতিতে সোমবার জিলিন প্রদেশকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সেখানকার ২ কোটি ৪০ লক্ষ বাসিন্দাকে কার্যত গৃহবন্দি হয়ে কাটাতে হবে আগামী ২০ মার্চ পর্যন্ত।

এ পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঠেকাতে এই প্রথম চীনের কোনো প্রদেশ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করা হল। ২০১৯-এর শেষ পর্বে হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মেলার পর পুরো প্রদেশে লকডাউন জারি হয়েছিল। কিন্তু প্রদেশকে বিচ্ছিন্ন করার ঘটনা তখনও ঘটেনি।

শেনজেনেও চলছে কড়া লকডাউন

এদিকে, গতকাল সোমবার দক্ষিণ চীনের শেনঝেন শহরের ১ কোটি ৭৫ লাখ বাসিন্দাকেও গৃহবন্দি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দেশটির অন্যতম প্রধান প্রযুক্তি ও বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত এ এলাকায় আগামী এক সপ্তাহের জন্য জারি করা হয়েছে লকডাউন। রাজধানী বেইজিংয়ের পাশাপাশি শাংহাইয়ের মতো শহরের বিভিন্ন এলাকায় জারি হয়েছে নানা বিধিনিষেধ।

জানা গেছে, সম্প্রতি চীনের অন্তত ১৮টি প্রদেশে এরই মধ্যে ডেল্টা ও ওমিক্রন স্ট্রেনের দাপটে সংক্রমণের ‘ক্লাস্টার’ ধরা পড়েছে। উত্তর কোরিয়ার সীমান্তবর্তী ইয়ানজি প্রদেশের প্রায় সাত লক্ষ নাগরিককে গত রোববার থেকেই ঘরবন্দি করা হয়েছে। গত কয়েকদিনে দেশটিতে নয় হাজারের বেশি সংক্রমণ চিহ্নিত হয়, অথচ পুরো ২০২১ সালে দেশটিতে সংক্রমণের সংখ্যা ছিল আট হাজার ৩৭৮।