অসাধারণ বার্সার দুর্দান্ত জয়

উয়েফা ইউরোপা লিগে আগের ম্যাচে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে গালাতাসারাইয়ের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে বার্সেলোনা। সেই হতাশা স্প্যানিশ লা লিগায় কাটিয়ে উঠল কাতালান জায়ান্টরা। ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে অসাধারণ এক জয় তুলে নিল জাভি হার্নান্দেজের দল। শনিবার রাতে ওসাসুনাকে ডেকে এনে বার্সা বিধ্বস্ত করল ৪-০ গোলে।

বার্সার দুর্দান্ত জয়

পরিচিত দর্শকদের সামনে জাভির শিষ্যরা বড় জয় নিশ্চিত করে ফেলে ম্যাচের প্রথম ভাগেই। এই অর্ধে তিন গোল করে স্বাগতিক শিবির। দ্বিতীয়ার্ধে আরো একটি। ম্যাচে জোড়া গোল করেন ফেরান তোরেস। অন্য গোল দুটি পিয়েরে-এমেরিক আউবামেয়াং ও রিকি পুজের। তবে জালের নাগাল না পেলেও দুর্দান্ত খেলেছেন বহুদিন ধরে আলোচিত-সমালোচিত উসমান ডেম্বেলে।

বার্সার চার গোলের দুটিতেই জড়িয়ে আছে তার নাম। ২১ মিনিটে তোরেস এবং ছয় মিনিট পর আউবামেয়াংকে দিয়ে গোল করান ডেম্বেলে। যদিও বার্সা লিড নিয়েছিল ম্যাচের ১৪ মিনিটেই। তোরেসের পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। কয়েক মিনিট বাদেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন স্প্যানিশ এই তারকা। ২৭ মিনিটে স্কোর লাইন ৩-০ হয় আউবামেয়াংয়ের নিশানা ভেদে।

ম্যাচের শেষ দিকে ৭৫ মিনিটে ওসাসুনার কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন পুজ। বার্সা হয়তো আরো গোল পেতে পারতো। সেটা অবশ্য হয়নি ফরওয়ার্ডদের ব্যর্থতার কারণেই। ম্যাচে গোলের উদ্দেশ্যে ২৪টি শট নেয় বার্সা। যার নয়টিই ছিল গোলমুখে। বিপরীতে চার শটের তিনটি লক্ষ্যে রেখেছে ওসাসুনা। জাভির দল কতটা দাপুটে ফুটবল খেলেছে তা বোঝাতে আর কোনো তথ্যের প্রয়োজন পড়ে না।

লা লিগায় এনিয়ে টানা চার ম্যাচ জিতল বার্সেলোনা। যা এই মৌসুমে প্রথমবার দেখা গেল। দুর্দান্ত এই জয়ে লিগ টেবিলের তিন নম্বরেও উঠে এলো তারা। ২৭ ম্যাচে ৫১ পয়েন্ট তাদের। এক ম্যাচ বেশি খেলে সমান পয়েন্ট থাকলেও গোলগড়ে পিছিয়ে চারে নেমে যেতে হয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে। ২৮ ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট দুইয়ে থাকা সেভিয়ার। ২৭ ম্যাচে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে যথারীতি শীর্ষে আছে রিয়াল মাদ্রিদ।

তবে এক গোল করলেও আলাদাভাবে নজরে ছিলেন আউবামেয়াং। গেল জানুয়ারিতে আর্সেনাল ছেড়ে বার্সায় আসার পর লা লিগায় ছয় ম্যাচে পাঁচ গোল করে ফেললেন তিনি। এই শতাব্দীতে যা বার্সার পক্ষে দ্বিতীয় দ্রুততম পাঁচ গোলের নজির। ২০০৪ সালে সামুয়েল ইতো এবং ২০০৯ সালে জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ প্রথম পাঁচ ম্যাচে করেন পাঁচ গোল।

পাঁচ সংখ্যাটা গতকাল ডেম্বেলের জন্যও ছিল গুরুত্বপূর্ণ। লিগে নিজের শেষ চার ম্যাচে বার্সার পাঁচটি গোলে অবদান রেখেছেন তিনি। অবাক করা তথ্য হচ্ছে, লিগে তার আগের ৪৫ ম্যাচে অ্যাসিস্ট ছিল পাঁচটি! তবে গোলবার আটকে রেখে ভালোই প্রশংসা কুড়িয়েছেন জেরার্ড পিকে। ক্লাবের হয়ে ৬০০তম ম্যাচের মাইলফলকের আনন্দটা রঙিন করে রাখলেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার।

৫৫ মিনিটে অবশ্য ওসাসুনার জালে বল পাঠিয়েছিলেন পিকে। কিন্তু তার গোলটা বাতিল হয়ে যায় অফসাইডের কারণে। তাতে বয়েই গেছে বার্সার। পুজের গোলে দারুণ একটা রেকর্ডও হয়ে গেল বার্সার। এই মৌসুমে দলটির ২২ জন খেলোয়াড় গোল করেছেন। ২০১৯-২০ মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের ২১ জন ফুটবলারা নাম তুলেছিলেন স্কোরার শিটে।