ম্যানইউর থ্রিলার জয়, নিষ্প্রভ রোনালদো

দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জয় নিয়ে সংশয়ে পড়ে গিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পরপর দুই গোল করে সমতায় ফেরে স্বাগতিক লিড ইউনাইটেড। শেষ পর্যন্ত দুই ইউনাইটেডের লড়াই উপহার দিয়েছে থ্রিলার। ছয় গোলের নাটুকে ম্যাচে লিডসের মাঠ থেকে ৪-২ গোলের জয় নিয়ে ঘরে ফিরেছে ম্যানইউ। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে টানা দুই ড্রয়ের পর পরপর দুই ম্যাচ জিতল রেড ডেভিলসরা।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের উদযাপন

অথচ এমন গোলবন্যার ম্যাচে জালের নাগাল পাননি ম্যানইউর সেরা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। কোনো গোলে সহায়তাও করতে পারেননি। পুরো ম্যাচে পর্তুগিজ যুবরাজের নীরব উপস্থিতিই বড় হয়ে উঠল। তাতে অবশ্য জয় আটকায়নি ইংলিশ লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দলটির। ম্যাচের শেষ দিকে দুই গোল করে নাটুকে জয় নিয়ে লিডসের মাঠ ছাড়েন রাংনিকের শিষ্যরা।

দুর্দান্ত এই জয়ে লিগ টেবিলের চতুর্থস্থান ধরে রাখল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ২৬ ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট রেড ডেভিলসদের। তাদের ওপরে আছে যথাক্রমে চেলসি (২৫ ম্যাচে ৫০ পয়েন্ট), লিভারপুল (২৫ ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট) ও ম্যানচেস্টার সিটি (২৬ ম্যাচে ৬৩ পয়েন্ট)। সমান ২৬ পয়েন্ট পাঁচ ও ছয়ে থাকা ওয়েস্টহাম ইউনাইটেড ও আর্সেনালের। তবে প্রথম দলটি ২৬ ম্যাচ খেললেও তিনটি কম খেলেছে দ্বিতীয় দল।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড

ম্যাচের প্রথম গোল হয়েছে ৩৪ মিনিটে। ম্যানইউকে লিড এনে দেন হ্যারি ম্যাগুইরে। যার অধিনায়কত্ব ও রোনালদোর নেতৃত্ব প্রসঙ্গ নিয়ে দলে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল তা অনেকটাই কেটে গেছে দলের প্রথম গোলের উদযাপনে। ম্যাচজুড়ে দুজনের দারুণ বোঝাপড়া দেখে কে বলবে তাদের মধ্যে নেতৃত্ব নিয়ে গণমাধ্যম গুঞ্জণের বিষ্ফোরণ ছড়িয়েছিল! বিরতির আগেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ।

৫৩ মিনিটে ম্যানইউকে একটি গোল ফিরিয়ে দেয় লিডস; গোল করেন রদ্রিগো। এক মিনিট পর স্কোর লাইন ২-২ করেন রাফিনহা। ম্যাচের রোমাঞ্চ তখন তুঙ্গে। আবারো পয়েন্ট খোয়ানোর দুশ্চিন্তায় পড়েছিল ম্যানইউ। ৭০ মিনিটে আশঙ্কা উড়িয়ে দেন ফ্রেড। ফের এগিয়ে যায় রেড ডেভিলসরা। ৮৮ মিনিটে লিডসের ফেরার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন ইলাঙ্গা। অতিথিদের হয়ে শেষ গোলটি করেন তিনি।