তামিমের কাছে ইংল্যান্ড যা, আফগানিস্তানও তাই

খেলাটা যখন সীমিত ওভারের, যে কোনো দলই তখন সমান হুমকি। এই কথার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তান- ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচটার কথা বলা যায়। ওই ম্যাচে আফগানদের কাছে হারতে হয় ক্যারিবীয়দের। পরে কিন্তু ক্যারিবিয়ানরাই ঘরে তুলে বিশ্বকাপ।

বাংলাদেশের এক নম্বর ওপেনার তামিম ইকবাল তাই খাটো করে দেখতে রাজি নন কোনো দলকেই। তার কাছে ইংল্যান্ড যতো বড় দল, সীমিত ওভারের ক্রিকেটের আফগানিস্তানও ঠিক তাই। প্রতিপক্ষকে হালকাভাবে নেয়া মানেই, আত্মপ্রসাদে ভুগে মাঠে সব তালগুলিয়ে ফেলার সমুহু আশঙ্কা।

বাংলাদেশ জেনেশুনে সেই আশঙ্কাময় পথে পা বাড়াবে না, এটা নিশ্চিত। আফগানিস্তান বাংলাদেশে আসার আগে মাশরাফি বলে রেখেছেন যে, আফগানিস্তানকে হালকাভাবে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। কথাটা আফগানিস্তান প্রমাণ করে দিয়েছে গতকাল ফতুল্লায় অনুষ্ঠেয় প্রস্তুতি ম্যাচে ছায়া জাতীয় দলকে ৬৬ রানে হারিয়ে।

গতকাল তামিম ইকবালের কণ্ঠেও শোনা গেছে সতর্ক পদক্ষেপের কথা। তামিম বলেন, ‘যদি আলসেমি বা অবহেলা থাকে, তবে আফগানিস্তানও আমাদের কামড় দিতে পারে। আমরা তাদের সেই সুযোগ দিবো না।’

২০১৪ সালের এশিয়া কাপে প্রথমবার আফগানিস্তানকে ওয়ানডের প্রতিপক্ষ হিসেবে পায় বাংলাদেশ। সেবার বাংলাদেশকে চমকে ফতুল্লায় জয় ছিনিয়ে নেয় আফগানরা। সেই আফগানিস্তান এক জুজুর নাম হয়ে ছিলো বাংলাদেশের কাছে।

কিন্তু ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে আফগানিস্তানকে সহজেই হারান মাশরাফিরা। ওই ম্যাচের আগেও বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনে কান পাতলেই শোনা যেতে আফগানিস্তানের কাছে পা হড়কানোর শঙ্কার কথা। কিন্তু পরিস্থিতি বদলে গেছে।

বিশ্বকাপের পর বেশ কয়েকটি বড় দলের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। আত্মবিশ্বাসের পারদ তাই স্বাভাবিকভাবেই উঁচুতে। তবে সেটা কোনোভাবেই অতি-আত্মবিশ্বাসে পরিণত হোক, তা চান না তামিম। দলের প্রতি তার বার্তা হলো, প্রথম ম্যাচে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে জেতা। তারপর তাকানো যাবে সামনে।

আপনি আরো পড়তে পারেন

এবার জ্বলে উঠার পালা তাসকিনের

বোলিং পরীক্ষায় সফল তাসকিন- সানি

নিজেকে প্রমাণ করারই ইচ্ছে ছিলো মোসাদ্দেকের

জয় দিয়েই বাংলাদেশ সফর শুরু আফগানদের

অবিশ্বাস্য এক বিশ্বরেকর্ডের পথে সাকিব