কক্সবাজারে বিনামূল্যে উচ্চগতির ওয়াইফাই

ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল কর্তৃক চলমান ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার জেলার ৩৫টি স্থানে ৭৪টি ফ্রি ওয়াইফাই এক্সেস পয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে। করোনার কারণে কিছুটা বিলম্ব হলেও ফ্রি ওয়াইফাই সিস্টেমটি কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

কক্সবাজারে বিনামূল্যে উচ্চগতির ওয়াইফাই

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নবনির্মিত ভবনের সম্মেলন কক্ষে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হস্তান্তর আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য লে. কর্নেল মো. খিজির খান। ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মধুসূদন চন্দ ফ্রি ওয়াইফাই সিস্টেম হস্তান্তর দলিলে স্বাক্ষর করেন।

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উপ-নগর পরিকল্পনাবিধ মো. তানভীর হাসান রেজাউল সিস্টেমটি বুঝে নেন। অনুষ্ঠানে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা, ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্পের সল্যুশন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান আমরা নেটওয়ার্কস এবং হুয়াওয়ে টেকনোলজিস লিমিটেডের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, ফাইল ছবি

ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মধুসূদন চন্দ বলেন, বর্তমানে ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া আমাদের জীবন ভাবতে পারি না। অনেক মানুষ কক্সবাজারে আসেন, যাদের নির্বিঘ্ন সংযোগ প্রয়োজন। প্রকল্পটি প্রায় দুই বছর ধরে চালু রয়েছে এবং অসংখ্য মানুষকে সেবা দিয়ে আসছে।

মো. তানভীর হাসান রেজাউল বলেন, এখন পর্যন্ত প্রকল্পটি পরিচালনা করার জন্য এবং আমাদের হাতে এর দায়িত্ব তুলে দেওয়ার জন্য দেওয়ার জন্য আমি বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, বিসিসিকে ধন্যবাদ জানাই। এর কার্যকারিতা নিশ্চিতে আমরা যথাসাধ্য কাজ করে যাব।

প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন সম্পর্কে হুয়াওয়ে বাংলাদেশ (টেকনোলজিস) লিমিটেডের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কমিউনিকেশনস ডিরেক্টর ইউইং কার্ল বলেন, সরকারের ডিজিটালাইজেশন উদ্যোগকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে এই প্রকল্পের সহযোগী হতে পেরে হুয়াওয়ে খুবই আনন্দিত। আগামীতেও এভাবে বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকবে হুয়াওয়ে।

এই প্রকল্পের আওতায় লাবনি সমুদ্র সৈকত, কলাতোলি সৈকত, সালশা বিচ-এর মতো পর্যটন স্পটগুলো কক্সবাজার নগরের গুরুত্বপূর্ণ ৩৫টি এলাকার ৭৪টি পয়েন্টে ফ্রি ওয়াইফাই জোন তৈরি করা হয়েছে। এগুলোতে দেশি ও বিদেশি পর্যটকসহ স্থানীয় নাগরিকগণ বিনামূল্যে ১০০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট ব্যবহার করে ই-সরকারি পরিষেবা গ্রহণ করতে পারবে।