চট্টগ্রামে গৃহদাহ: দুই পক্ষকেই ডেকেছে বিসিবি

মেহেদী হাসান মিরাজের অধিনায়কত্ব কেড়ে নেয়ার ইস্যুতে বড়সড় নাটক হয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স শিবিরে। ঘটনার উপর নজর রেখেছে বিসিবি। সমস্যা সমাধানে দুই পক্ষকেই শুনানিতে ডেকেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। দোষ পেলে ফ্র্যাঞ্চাইজি বাতিলের সিদ্ধান্তও নেওয়া হতে পারে। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই বলেছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের কর্তারা।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স

গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শেখ সোহেল বলেছেন, ‘সবার সঙ্গে কথা বলার পরে আমরা যেটা দেখেছি মিরাজেরও এখানে ভুল আছে, ম্যানেজমেন্টেরও ভুল আছে। দুজনই কিন্তু হিসেবে দোষী সাব্যস্ত হয়। মিরাজের মতো জাতীয় এবং উঁচু মানের ক্রিকেটার হয়ে টুর্নামেন্ট চলাকালীন এই ভূমিকাটা রাখা ঠিক হয়নি। তার আরও অপেক্ষা করা উচিত ছিল। এখানে ফ্র্যাঞ্চাইজিরও সমস্যা আছে, আমি তাদেরও ছাড় দেবো না। তাদের শুনানি হবে কয়েকদিনের মাঝে। দুই পক্ষ নিয়েই আমরা শুনানি করবো। এখানে ফ্র্যাঞ্চাইজিরও ধৈর্য্য ধরা উচিত ছিল।’

দায়িত্বশীল আচরণ পাওয়া যায়নি মিরাজ ও দল মালিকদের পক্ষ থেকে। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, ‘প্রত্যেককেই দায়িত্বশীল হতে হবে। মিরাজ একজন জাতীয় ক্রিকেটার, তাকে নেতৃত্ব থেকে সরানোর একটা প্রসেস আছে। আবার কোচ বলছেন তিনি নেতৃত্ব বদলের ব্যাপারে কিছু জানেন না। এখন যেটা হয়েছে যে দল যখন ঢাকায় আসবে আমরা প্রপার একটা হেয়ারিং করবো। জুমেও করতে পারতাম, কিন্তু না আমরা সামনাসামনি মিরাজের কথাও শুনবো এবং মালিকপক্ষের কথাও শুনবো। তবে মিরাজের উচিত ছিল এভাবে বায়োবাবল না ভাঙ্গা। এখানে আমরা ঘটনা তদন্ত করে দোষী মালিকপক্ষকে ভবিষ্যতে নাও রাখতে পারি।’

বিসিবির লোগো

তবে এখনই ফিক্সিংয়ের সন্দেহ করছে না বিসিবি। মল্লিক বলেন, ‘বিসিবি অ্যান্টি করাপশন না, আইসিসিও করছে। প্রতি ম্যাচ তারা ফলো করছে। প্রতি দলের সঙ্গে আমাদের একজন করে লোক আছে। এটা যেহেতু নেগেটিভ ভাবে প্রচার হয়েছে এটা নিয়ে অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে দেখবো।’

চট্টগ্রামের সিইও ইয়াসির আলমের বিষয়েই বেশি অভিযোগ ছিল মিরাজের। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বিসিবি। মল্লিক বলেন, ‘তার ব্যাপারে না শুধু, আমাদের প্রতি দলের সঙ্গেই তো লোক আছে। আমরা আগে হেয়ারিং করি, এরপর দেখবো। কিন্তু নির্দিষ্ট কোন লোককে ধরে আমরা কিছু করতে চাই না। এখন মিরাজের প্রতি যদি সম্মানহানীর কিছু হয় তবে সেটা আমরা কথা বলে জানব।’