বিপিএলের হ্যাটট্রিক কথন

চট্টগ্রামে দুই দিনের মাঝেই সেঞ্চুরি ও হ্যাটট্রিকের রোমাঞ্চ দেখে ফেললো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসর। গতকাল শনিবার এবারের আসরের প্রথম হ্যাটট্রিক করেছেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।

বিপিএলের হ্যাটট্রিক কথন

বিপিএলের ইতিহাসে এটি ষষ্ঠ হ্যাটট্রিক। ছয়জন ভিন্ন ভিন্ন বোলারই হ্যাটট্রিকের গৌরব অর্জন করেছেন। যার মধ্যে ৫ জনই পেসার, একজন স্পিনার। একমাত্র স্পিনার হয়ে হ্যাটট্রিক করেছিলেন আলিস আল ইসলাম। ছয় হ্যাটট্রিক ম্যানের তিনজন বাংলাদেশি।

২০১২ সালে বিপিএলের প্রথম হ্যাটট্রিক করেছিলেন মোহাম্মদ সামি। তার হাত ধরে টুর্নামেন্টের প্রথম আসরেই আসে হ্যাটট্রিক। দুরন্ত রাজশাহীর হয়ে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে ড্যারেন স্টিভেন্স, আফতাব আহমেদ ও রানা নাভিদকে আউট করেন সামি।

মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী

২০১৫ সালে হ্যাটট্রিকের তালিকায় নাম লেখান আল-আমিন হোসেন। বরিশাল বুলসের হয়ে সিলেট সুপার স্টারসের বিরুদ্ধে প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করেন তিনি। তার শিকার ছিলেন মুমিনুল হক, রবি বোপারা ও নুরুল হাসান সোহান।

২০১৯ সালে বিপিএল অভিষেকেই হ্যাটট্রিক করে বসেন আলিস আল ইসলাম। অখ্যাত এই অফস্পিনার নেট বোলার থেকে ঢাকা ডায়নামাইটস দলে সুযোগ পেয়েছিলেন। তিন বলে রংপুর রাইডার্সের মোহাম্মদ মিঠুন, মাশরাফি বিন মুর্তজা ও ফরহাদ রেজাকে ফেরান আলিস।

ওয়াহাব রিয়াজের হাত ধরে ২০১৯ সালে আরেকটি হ্যাটট্রিক দেখে বিপিএল। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন ওয়াহাব। তিন বলে ফেরান ডেভিড ভিসা, তাইজুল ইসলাম ও সাদ্দাম হোসেনকে।

২০১৯ সালে আন্দ্রে রাসেল বিপিএলের পঞ্চম হ্যাটট্রিক উপহার দেন। ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে চিটাগং ভাইকিংসের বিরুদ্ধে এই কীর্তি গড়েন তিনি। তার শিকার হন মুশফিকুর রহিম, ক্যামেরন ডেলপোর্ট ও দাসুন শানাকা।

সর্বশেষ ষষ্ঠ হ্যাটট্রিকটা আসলো গতকাল মৃত্যুঞ্জয়ের মাধ্যমে। সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে ইনিংসের ১৮তম ওভারে হ্যাটট্রিক করেন চট্টগ্রামের এই পেসার। তার শিকার হন এনামুল হক বিজয়, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও রবি বোপারা।

টি-২০ তে বাংলাদেশি বোলারদের হ্যাটট্রিক রয়েছে সাতটি। সর্বোচ্চ ২ বার হ্যাটট্রিক করেছেন আল-আমিন হোসেন। হ্যাটট্রিক রয়েছে আল-আমিন হোসেন, আলিস আল ইসলাম, মানিক খান, কামরুল ইসলাম রাব্বি, আলাউদ্দিন বাবু ও মৃত্যুঞ্জয়ের।