জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী

জাতিসংঘের ৭১তম অধিবেশনে অংশ নিতে কানাডা থেকে নিউইয়র্ক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমেরিকার স্থানীয় সময় রোববার বেলা ৩টার দিকে লাগোর্ডিয়া বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।

প্রধানমন্ত্রীকে বিমান বন্দরের বাইরে থেকে সারিবদ্ধভাবে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান প্রবাসের বিভিন্ন নেতাকর্মী। এরপর গাড়ি বহরে বসে হাজারো নেতাকর্মীর উষ্ণ অভ্যর্থনা গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। বিমানবন্দরে নেমেই সোজা চলে যান ম্যানহাটনের হোটেল ওয়ার্ল্ডোফ এস্টোরিয়ায়। নিউ ইয়র্ক সফরকালীন সময়ে তিনি সেখানেই থাকবেন।

জানা যায়, রোববার বিশ্রামে থাকলেও সোমবার থেকে বিভিন্ন কর্মসূচিতে ব্যস্ত সময় পার করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিউইয়র্কে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রীকে সব ধরণের সহযোগিতা করবেন বলে জানান যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিকলীগ ও ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়ো হন। বিভিন্ন ব্যানার আর শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো টার্মিনাল এলাকা। বিমান বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহর যাত্রা শুরু করে।

সফর সূচি অনুযায়ী, ১৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সদর দপ্তরে উদ্বাস্তু ও অভিবাসনের ওপর সাধারণ পরিষদের উচ্চপর্যায়ের প্লেনারি বৈঠকে ভাষণ দেবেন। তিনি যৌথভাবে সভাপতিত্ব করবেন গ্লোবাল কমপেক্ট ফর সেফ, রেগুলার অ্যান্ড ওর্ডালি মাইগ্রেশন: টেকসই উন্নয়নবিষয়ক এজেন্ডা-২০৩০ বাস্তবায়ন এবং অভিবাসীদের মানবাধিকারের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা অর্জনবিষয়ক রাউন্ড টেবিল ৫-এ।

এরপর ২০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশনের সাধারণ আলোচনার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদর দপ্তরের কনফারেন্স রুম ২-তে সাউথ-সাউথ বিষয়ক জাতিসংঘ অফিসে বাংলাদেশ আয়োজিত পাবলিক সার্ভিস ডেলিভারিতে স্কেলিং আপ ইনোভেশনে সাউথ সাউথ অ্যান্ড ট্রিয়াঙ্গুলার কো-অপারেশনবিষয়ক এক বৈঠকে যোগ দেবেন। জানা যায়, ওই দিনই শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আয়োজিত উদ্বাস্তুবিষয়ক এক বৈঠকে যোগ দেবেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বারাক ওবামা আয়োজিত সংবর্ধনায়ও অংশ নেয়ার কথা।

২১ সেপ্টেম্বর সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন লো ফেভেন আয়োজিত এক গ্লোবাল ডিলের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার। এছাড়াও ২২ সেপ্টেম্বর হোটেল গ্র্যান্ড হায়াতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন।

প্রধানমন্ত্রী তার সফরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেওয়া ছাড়াও মায়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সু চি, সুইস প্রেসিডেন্ট জোহান চেনিডার আম্মান এবং কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া জ্যানেট স্কটল্যান্ড ও ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের নির্বাহী চেয়ারম্যান ক্লস শোয়াব এবং বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিমসহ বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।

আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর এমিরেট্স এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ডিসির ডুলেস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৬ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

আপনি আরো পড়তে পারেন

রাসূল (সা.) এর রওজায় খালেদা জিয়া

হাছান মাহমুদ: সব যুদ্ধাপরাধীকে ক্ষমা করেননি বঙ্গবন্ধু

পানিতে 'ডুবে মরে' সন্তানের জীবন বাঁচালেন মা

সড়কপথে লাশের মিছিল, রোববার নিহত ২০

২২ সেপ্টেম্বর রিজার্ভ চুরির চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ