রান্নাঘরেই আছে কান ব্যথার দাওয়াই

অনেক সময়ই অসাবধানতাবশত কানে পানি ঢুকে গিয়ে কানে ব্যথা হয়। পানি ঢোকা ছাড়াও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ, ঠাণ্ডা, অ্যালার্জি, কানে ব্যথা পাওয়া, ফাঙ্গাস, কানের রোগ এবং নানা কারণে কানে যন্ত্রণাদায়ক ব্যথা হতে পারে। দাঁত বা চোয়ালের সমস্যা থেকেও কানে ব্যথা হতে দেখা যায় অনেক সময়। এ সময় কানে আঙুল বা কটন বাড না দিয়ে বরং কিছু ঘরোয়া চিকিৎসায় চটজলদি ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে, কানব্যথার সমাধান আপনার রান্নাঘরেই রয়েছে। রান্নাঘরের বেশকিছু উপাদান আপনার কান ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।

• কানের ব্যথা বা সংক্রমণে রোধে পেঁয়াজ দারুণ উপকারী। একটি-দু’টি পেঁয়াজ ছোট করে কেটে একেবারে মৃদু গরম করে একটি পরিষ্কার কাপড়ে পুটলি বেঁধে ব্যথা বা ফোলা স্থানে আধঘণ্টা ধরে রাখুন। ব্যথা কমে যাবে।
• আরেকটি উপায় হল, গরম অলিভ ওয়েলে ছোট একটি নরম কাপড় ভিজিয়ে কানের ঠিক পেছন দিকে কয়েক মিনিট চেপে ধরুন। এতে আরাম পাবেন এবং ব্যথাও কমবে। যুগে যুগে কানের ব্যথা সারাতে পেপারমিন্ট বা মেন্থল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু কানব্যথার সাথে জ্বর থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
• নিজে নিজে কান পরিষ্কার না করাই ভালো। দিনে ২-৩ লিটার পানি পান করুন এতে কানের ভিতরে লুকিয়ে থাকা জীবাণুগুলো বের হয়ে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
• একটি পাতলা সুতি কাপড় গরম পানিতে ভিজিয়ে কানের কাছে চেপে গরম ভাপ দিন। ভাপ কানের ভেতরে গেলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। এতে ব্যথা উপশম হবে।
• কানে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে সৃষ্ট ব্যথা উপশমে রসুন দারুণ কাজ করে। দুই টেবিল চামচ তিলের তেল এবং এক চা চামচ রসুন কুচি ফুটিয়ে ছেঁকে ঠাণ্ডা করে দু’ফোঁটা তেল কানে দিয়ে দিন। ব্যথা কমবে। এছাড়া রসুনের বদলে আদাও দিতে পারেন।
• নিমের অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান কানে সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে। তাই নিম পাতা বেটে রস বের করে কানে লাগালে ব্যথা কমে যাবে অনেকখানি। এছাড়াও তুলসী পাতার রস দিলেও উপকার পাবেন। দিনে তিনবার ব্যবহার করতে হবে।

সতর্কতা

ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ইয়ারড্রপ ব্যবহার করা যাবে না। কী কারণে ব্যথা হচ্ছে তা ডাক্তারের কাছ থেকেই জেনে নেওয়া উচিত। বিশেষজ্ঞেরা পরামর্শ দেন, গাড়ি, বাস বা ট্রেনে চড়ার সময় অবশ্যই মাথা-কান ঢেকে রাখুন এবং জানালা বন্ধ করে দিন। কারণ জানালা খোলা থাকলে ঠাণ্ডা বাতাস ও ধুলোবালি কানে লেগে বেশিরভাগ সময় কান ব্যথা বা সংক্রমণের সৃষ্টি করে। এছাড়াও সাঁতার কাটার সময় বাথক্যাপ ব্যবহার করুন। তা না হলে গোসল বা সাঁতার কাটার সময় কানে পানি ঢুকলে কানে সংক্রমণ হতে পারে। সাঁতার বা গোসলের পর হেয়ায়ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকিয়ে নিন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

হঠাৎ পা ফুলে 'কলাগাছ'?

পায়ের রগে বা পেশীতে হঠাৎ টান?

জাদুকরী উপায়ে দুই মিনিটেই ব্যথার উপশম

মাইগ্রেনের ব্যথা কেনো হয়

কী কী কারণে পেটে ব্যথা হতে পারে