নতুন বছরে অতীত ভুলতে চায় বাংলাদেশ দল

কালের গর্ভে হারাচ্ছে আরও একটি বছর। ২০২১ সাল স্মৃতির পাতায় ঠাঁই নেয়ার মঞ্চে উঠতে উঠতেই নতুন বছরে প্রথম সূর্য উদয়ের সঙ্গে নতুন মিশনে নেমে পড়বে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। নতুনের আবাহনে রোমাঞ্চিত দলটা ভুলতে চায় তিক্ত অতীত। অধিনায়ক মুমিনুল হক পুরাতনের জরা-জীর্ণতা ভুলে সামনে এগিয়ে যেতে চান।

টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক

নিউজিল্যান্ডের কঠিন কন্ডিশনে বাংলাদেশের সুখস্মৃতি নেই বললেই চলে। নিজেদের ইতিহাসে এই দেশটিতে এসে তিন ফরম্যাটে টানা ৩২ ম্যাচ হেরেছে টাইগাররা। সবশেষ সফরেও ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি মিলে ছয় ম্যাচেই হেরেছিল বাংলাদেশ।

নতুন বছরে দুই টেস্টের সিরিজের আগে অতীত নিয়ে ঘাটাঘাটি করার ইচ্ছা নেই মুমিনুল হকের। নিউজিল্যান্ডে নিজেদের পুরাতন রেকর্ড ভুলে ইতিবাচক চিন্তা নিয়ে মাঠে নামতে চান তিনি।

শুক্রবার ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে নিউজিল্যান্ড সফরের অতীত রেকর্ড নিয়ে মুমিনুল বলেছেন, ‘যে কয়দিন অনুশীলন করেছি, অনুশীলনে ভালো অবস্থায় আছি। পুরনো রেকর্ড তো অতীত হয়ে গেছে। ওটা ঘাটাঘাটি করে, চিন্তা-ভাবনা করে কোনো লাভ হবে না। আমার মনে হয়, সামনে যে জিনিসটা আছে সেটা নিয়ে চিন্তা করাটাই ভালো। সবসময় ইতিবাচক চিন্তা করাই ভালো।’

বিরুদ্ধ কন্ডিশন, চ্যালেঞ্জ যতই থাকুক, সেসব মোকাবেলা করতে মুখিয়ে মুমিনুল। তিনি বলেছেন, ‘আমরা জানি, নিউজিল্যান্ড আমাদের জন্য অনেক বেশি চ্যালেঞ্জ থাকবে। কিন্তু আগে থেকেই যদি ব্যাকফুটে কিংবা নেতিবাচক চিন্তা থাকে তাহলে ভালো ফল আসবে। যতোই চ্যালেঞ্জ থাকুক আপনাকে সেটা নিতে হবে।’

অধিনায়কের চোখে, দলীয় পারফরম্যান্স সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ভালো কিছু করতে হলে দলগত প্রচেষ্টাই মূল অস্ত্র। মুমিনুল আজ বলেছেন, ‘দেশে কিংবা দেশের বাইরে আমরা যতগুলো টেস্ট ম্যাচ জিতেছিলাম, সবগুলোই কিন্তু দলীয় পারফরম্যান্সের কারণে। আমার কাছে মনে হয়, দুইজন একশো মারলো, বোলাররা যদি একজন ৫ উইকেট কিংবা আরেকজন যদি ৩ বা ৪ উইকেট না পায় তাহলে দলের ফল পাওয়াটা কঠিন। তখন হয়তো ব্যক্তিগত ফল হবে, কিন্তু দলীয় ফল ভালো হবে না। একজন দুইশো করলো, একজন একশো করলো। সাথে বোলরারা কেউ একজন পাঁচ উইকেট নিলো। কিংবা ২০ উইকেট নেওয়ার মতো পারফরম্যান্স বোলারদের কাছ থেকে আসা উচিত।’