অনূর্ধ্ব-১৬ দলের মেয়েদের অসম্মান কেনো, বাফুফের জবাব কী?

এএফসি আয়োজিত কোনো আসরের মূল পর্বে খেলা হয়নি বাংলাদেশের কোনো দলের। অনূর্ধ্ব- ১৬ দলের মেয়েদের দারুণ পারফর্ম্যান্স বদলে দিয়েছে সে ইতিহাস। তারা উঠে গেছে আগামী বছর থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলের মূলপর্বে। দেশকে এমন সম্মান এনে দেয়ার দুদিনের মধ্যেই নানাভাবে অসম্মানিত হয়েছে এই মেয়েরা। তাদের এমন অসম্মানের হেতু হিসেবে বাফুফে দাঁড় করিয়েছে খোঁড়া যুক্তি।

বাংলাদেশকে এএফসির মূল পর্বে উঠিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তাদের উঠতে হয়েছে জানলা- দরজা ভাঙা লোকাল বাসে। বাফুফের পক্ষ থেকে কোনো গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়নি। এমন কি তাদেরকে স্বাচ্ছন্দে বাড়ি ফেরার কোনো ব্যবস্থাও নেয়া হয়নি।

নিজস্ব উদ্যোগে বাড়ি যাওয়ার পথে বাসে যৌন হয়রানির শিকারও হন তারা। এই রকম অসম্মানের হেতু কী কিংবা বাফুফে কেনো তাদের নিরাপদে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করেনি, এ সব নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বাফুফের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে খোঁড়া সব যুক্তি।

এএফসির মূল পর্বে উঠার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়াসহ আরো অনেক জাতীয় ব্যক্তিবর্গ অভিনন্দন জানিয়েছেন। বাফুফের ‘তারকা’ সভাপতি সালাহউদ্দিনও তার ‘সভাপতি হিসেবে গর্বিত’ বলে মন্তব্য করেছেন। কিন্তু মেয়েদের নিরাপত্তার প্রশ্নটা তার মাথায় আসেনি।

রাস্তার দুর্ভোগ পোহানের পর বাড়ি গিয়ে আরেক বিপদে পড়েন মেয়েরা। স্কুলের হয়ে না খেলে দেশের হয়ে খেলার ‘অপরাধে’ তাদেরকে টিসি দেয়ার হুমকি দেয়া হয় স্কুল থেকে। এক মেয়ে ফুটবলারের বাবাকে নাকি এক শিক্ষক কর্তৃক লাঞ্ছিতও হতে হয়।

জাতিকে বিরল সম্মান এনে দেয়ার পর অনূর্ধ্ব-১৬ দলের মেয়েরা যে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন, তাতে স্পষ্ট হয়েছে যে, বাফুফে এমন সফলতা পাওয়ার জন্য যোগ্য এবং পরিপক্ক সংগঠন এখনো হয়ে উঠেনি। জাতীয় পর্যায়ের ফুটবলের দৈন্যদশার মূল কারণ কি তাহলে বাফুফের এই রকম অপরিপক্কতাই? এমন প্রশ্ন উঠে যাওয়াটা এখন খুবই স্বাভাবিক।

আপনি আরো পড়তে পারেন

‘আগামী বিশ্বকাপ জিততে পারে ব্রাজিল’

বার্সেলোনায় যোগ দিচ্ছে মেসির ছেলে থিয়াগো

নেইমারের গোলে দারুণ জয় ব্রাজিলের

মেসি ছিলেন না, আর্জেন্টিনাও ছিলো না!

মেসির চুলের রঙ বদলানোর রহস্য জানেন কি?