সাত ফুটবলারকে বিক্রি করছে পিএসজি

নিজেদের ইতিহাসে সর্বপ্রথম ২০১৯-২০ মৌসুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠে প্যারিস সেন্ট জার্মেই, পিএসজি। এরপরও স্বপ্ন পূরণ হয়নি তাদের। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় লিগ ওয়ানের ক্লাবটিকে।

প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠে হারলেও দমে যায়নি পিএসজি। নতুন উদ্দীপনা নিয়ে দল গঠন শুরু করে দেয় প্যারিসের প্রতিনিধিরা। ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরতে চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞায় দলে ভেড়াতে থাকে নামিদামি সব তারকাদের। তবে বেতনের বিল কমাতে এবার সাত ফুটবলারকে বিক্রি করে দিচ্ছে লিগ ওয়ানের গত আসরের রানার্সআপরা।

অপ্রতিরোধ্য একটি দল গঠনের অংশ হিসেবে সবশেষ ট্রান্সফার উইন্ডোতে লিওনেল মেসি, সার্জিও রামোস, জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা, আশরাফ হাকিমি, জর্জিনিয়ো উইনালডামদের মতো বেশ কয়েকজন তারকাকে নিজেদের করে নিয়েছে প্যারিসের ক্লাবটি। এজন্য তাদের গুনতে হচ্ছে মোটা অংকের অর্থ।

লিওনেল মেসি, ফাইল ছবি

ইংল্যান্ডের প্রথম সারির প্রচারমাধ্যম মিরর জানিয়েছে, খেলোয়াড়দের বেতন বাবদ বাৎসরিক প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ইউরো খরচ হচ্ছে পিএসজির। খরচ কমাতে আসন্ন দলবদলে মাউরো ইকার্দি, সার্জিও রিকো, রাফিনহা, কলিন ডগবা, লেভিন কুরজাওয়া, আবদে দিয়ালো ও এরিক জুনিয়র ডিনা এভিমভেকে মুক্ত করে দেবে শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানির মালিকানাধীন দলটি।

জানা গেছে, বাৎসরিক মোট বেতনের বিলের উল্লেখযোগ্য অংশ পান মেসি। সবশেষ কোপা আমেরিকার সেরা খেলোয়াড় একাই নিচ্ছেন ৪১ মিলিয়ন ইউরোর বেশি। তাই দল হারানোর শঙ্কায় বার্সেলোনার সাবেক অধিনায়ককে দোষারোপ করতেই পারে বিক্রির তালিকায় থাকা ওই সাত খেলোয়াড়।