আরাধ্য মেসিই এখন পিএসজির ‘বিপদ’

বার্সেলোনা ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার পর ২০১৯-২০ মৌসুমে লিওনেল মেসিকে পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছিল প্যারিস সেন্ট জার্মেই, পিএসজি। সেই সময় সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীকে বুঝিয়ে-সুজিয়ে রেখে দেয় কাতালানরা। তবে গত গ্রীষ্মে শেষ রক্ষা হয়নি। লা লিগার নিয়মের সাথে সামঞ্জস্য না হওয়ায় তারকা ফরোয়ার্ডকে ধরে রাখতে পারেনি রেকর্ড দুইবারের হেক্সাজয়ীরা।।

লিওনেল মেসি

দীর্ঘ ২১ বছরের বন্ধন বার্সা ছাড়ার পর ক্লাব ক্যারিয়ারে মেসির দ্বিতীয় ঠিকানা হয়েছে পিএসজি। তার সাথে দুই বছরের চুক্তি করেছে ফরাসি লিগ ওয়ানের জায়ান্টরা। তবে অনেক সখ করে নিজেদের ডেরায় ভেড়ানো আর্জেন্টিনার অধিনায়কই এখন পিএসজির জন্য বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিততে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেনি পিএসজি। সবশেষ ট্রান্সফার উইন্ডোতে মেসি ছাড়াও সার্জিও রামোস, জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা, আশরাফ হাকিমি, জর্জিনিয়ো উইনালডামদের মতো বেশ কয়েকজন তারকাকে নিজেদের করে নিয়েছে প্যারিসের ক্লাবটি। এজন্য তাদের গুনতে হচ্ছে মোটা অংকের অর্থ।

গত গ্রীষ্মে মেসির সাথে চুক্তি করেছে পিএসজি

ইংল্যান্ডের প্রথম সারির প্রচারমাধ্যম মিরর জানিয়েছে, খেলোয়াড়দের বেতন বাবদ বাৎসরিক প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ইউরো খরচ হচ্ছে পিএসজির। জানা গেছে, এর উল্লেখযোগ্য অংশ যাচ্ছে মেসির অ্যাকাউন্টে। সবশেষ কোপা আমেরিকার সেরা খেলোয়াড় একাই নিচ্ছেন ৪১ মিলিয়ন ইউরোর বেশি।

মিরর আরও জানিয়েছে, বেতনের বিল কমাতে চায় পিএসজি। এজন্য খেলোয়াড় বিক্রির দিকে মনোযোগ দিয়েছে তারা। তালিকায় আছেন সাতজন। এরা হলেন- মাউরো ইকার্দি, সার্জিও রিকো, রাফিনহা, কলিন ডগবা, লেভিন কুরজাওয়া, আবদে দিয়ালো ও এরিক জুনিয়র ডিনা এভিমভে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী জানুয়ারিতেই এদের যে কোনো ক্লাবের জন্য উন্মুক্ত করে দেবে পিএসজি।