শান্ত: অনেক বেশি আগ্রাসী খেলেছি তা কিন্তু না

শিরোনামে বলা কথাটি নাজমুল হোসেন শান্তর। মিরপুর টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনটা বলেছেন তিনি। মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশের ব্যাটিং দেখার পর শান্ত’র কথাকে বিশ্বাস করবেন নাকি নিজের চোখকে ভুল বলবেন, সেটার ভার পাঠক আপনার উপরই থাকলো।

নাজমুল হোসেন শান্ত

আগের বলটাতেই সাজিদ খানকে কাভার অঞ্চল দিয়ে চার মারলেন মুশফিকুর রহিম। দেশের হয়ে সবচেয়ে টেস্ট খেলা অভিজ্ঞ এ ব্যাটসম্যান পরের বলেই খেললেন স্লগ সুইপ। বল গিয়ে শর্ট মিড উইকেটে ফাওয়াদ আলমের হাতে জমা পড়ল।

টপাটপ উইকেট পড়ছে। লিটন দাস এগিয়ে রির্টান ক্যাচ দিলেন। মিরাজ সুইপ খেলতে গিয়ে বোল্ড হলেন। মুমিনুল হক রানের তাড়ায় থাকলেন, সিঙ্গেল নিতে গিয়ে রান আউট হলেন। টেস্টে রান আউটের ঘটনা খুব কমই দেখা যায়। জীবন পাওয়া শান্ত উইকেটে টিকে থাকতে পারলেন না। ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে এলবির ফাঁদে পড়েন।

বাংলাদেশ-পাকিস্তান টেস্ট, ফাইল ছবি

ছাতার মতো ঘিরে ধরা পাকিস্তানের ফিল্ডারদের সরানোর চেষ্টায় সবাই আক্রমণাত্মক হয়ে ব্যাট চালালেন। কেউই উইকেটে থেকে ধৈর্য্য ধরে প্রতিপক্ষের কৌশলকে নসাৎ করার চেষ্টাও করলেন না। দিন শেষে তাই ৭৬ রানে নেই ৭ উইকেট। যেখানে কিছু সময় আগেই পাকিস্তান পঞ্চম উইকেটে ১০৩ রানের জুটি গড়ল।

পাকিস্তানের অফস্পিনার সাজিদ খান একাই নিলেন ৬ উইকেট। তাকে খেলার ভয় তাড়াতে সবাই ব্যস্ত। আক্রমণেই সমাধান খুঁজে নিলেন, যেন সবাই থরহরি কম্প অবস্থা। অথচ শান্ত বললেন, পাকিস্তানের স্পিনাররা ভয়ঙ্কর না। এমনকি তারাও নাকি আগ্রাসী ব্যাটিং করেননি!

শান্ত বলেছেন, ‘না, এতটা ভয়ংকর না। আর সবাই অনেক বেশি আগ্রাসী খেলেছি তা কিন্তু না। যে যে শট পারে সেটা খেলতে গিয়ে হয়তো বাস্তবায়ন হয়নি। এমন নয় যে, সবাই অনেক বেশি আগ্রাসী খেলেছে।’

ফাওয়াদ আলম, রিজওয়ানদের নাড়াতেই পারছিল না বাংলাদেশের বোলাররা। সেই উইকেটই মিনিট বিশেকের ব্যবধানে ব্যাটসম্যানদের মৃত্যুকূপ হয়ে গেল। শান্ত’র মতে, উইকেট খুব কঠিন ছিল। সেখানে টিকে থাকা কঠিন। তিনি বলেন, ‘উইকেট আসলেই এত সহজ ছিল না। ডিফেন্সের ওপর আস্থা সবারই আছে। শুধু ডিফেন্স করে করে সারাদিন পার করা কঠিন। সাথে শট খেললে ওদের অ্যাটাকিং ফিল সেটআপ ছড়িয়ে যেত। আমার মনে হয় না কেউ অতিরিক্ত আগ্রাসী ছিল।’

বারবার সুইপ খেলার প্রবণতা নিয়ে বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান বলেছেন, ‘টার্নিং উইকেটে এলবিডব্লিউ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এমন উইকেটে সবাই সুইপের ওপরেই বেশি আস্থা রাখে। এজন্যই সবাই সুইপ খেলার পরিকল্পনা করেছে।’