জানুয়ারিতে ডমিঙ্গোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

বাংলাদেশের হেড কোচ হিসেবে রাসেল ডমিঙ্গোর অবস্থান বেশ নড়বড়েই বটে। বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর তাকে বহাল রাখলেও টিম ডিরেক্টর হিসেবে খালেদ মাহমুদ সুজনের হাতে কর্তৃত্ব তুলে দিয়েছিল বিসিবি। এর মাঝে তাকে বরখাস্ত করার গুঞ্জন উঠেছে। পুরনো চুক্তির শর্ত ধরে তাকে বিদায় দিতে যাচ্ছে বিসিবি। সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন বিসিবির এক পরিচালক। নিউজিল্যান্ড সিরিজই বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমে তার শেষ সিরিজ হয়ে যেতে পারে।

জানুয়ারিতে ডমিঙ্গোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

শনিবার বিষয়টা পুরোপুরি খোলাসা করেননি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তবে ডমিঙ্গোকে রাখা, না রাখার বিষয়ে জানুয়ারিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান তিনি।

ডমিঙ্গোকে নিয়ে বিসিবি সভাপতি আজ বলেছেন, ‘এই মুহুর্তে যদি জিজ্ঞেস করেন তাকে নিয়ে আগে যে চিন্তা-ভাবনা ছিল তাই আছে। আমরা বিশ্বকাপের রিপোর্টের অপেক্ষা করছি। আমি কোচ এবং খেলোয়াড়দের মধ্যে দূরত্বের বিষয়টি শুনেছি। কিন্তু কেউ আমাকে কিছু বলেনি। আপনি যদি সমস্যার গভীরে যেতে না পারেন, তবে সমস্যা সমাধান হবে না। আমরা জানুয়ারিতে এসব সিদ্ধান্ত নিব।’

রাসেল ডমিঙ্গো, ফাইল ছবি

করোনার কারণে কোচ পাওয়া কঠিন। ডমিঙ্গোকে ছেঁটে ফেলতে চেয়েও নানাভাবে ভাবতে হচ্ছে বিসিবিকে। আজ পাপন এমনটাই বললেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপ শুরুর আগমুহূর্তে ডমিঙ্গো আমাদের জানায়, সে খুব ভালো একটা অফার পেয়েছে, চলে যেতে চায়। জানতে চাচ্ছিল আমরা চুক্তি বাড়াব কিনা। চুক্তি বাড়ালে সে থাকবে। চুক্তি না বাড়ালে থাকবে না, ওই জায়গায় প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিবে। তখন যতটুকু সম্ভব খোঁজাখুঁজি করেছিলাম। পরে সিদ্ধান্তে আসলাম- এই সময়ের মধ্যে আমরা কোনো কোচ পাব না। যদি পাইও, বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে বা পরপরই নতুন কোচ আনা নিয়ে দ্বিধায় ছিলাম।’

পাপন আরও যোগ করেন, ‘বেশিরভাগ কোচ যাদের পাচ্ছিলাম তারা আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আসতে পারবে না। সব চিন্তা করে বোর্ড চিন্তা করল তার চুক্তি বাড়িয়ে নেওয়া হোক। ইতোমধ্যে বাড়িয়েও নিয়েছি।’