পার্থক্য গড়েছে টপঅর্ডার, দায় নিলেন মুমিনুল

চট্টগ্রাম টেস্টে ব্যাটিংই ডুবিয়েছে বাংলাদেশ দলকে। ব্যাটিং উইকেটেও ব্যাটসম্যানরা বড় স্কোর গড়তে পারেননি। পাকিস্তানের শক্তিশালী বোলিং অবশ্য বড় ভূমিকা রেখেছে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার পেছনে। প্রথম ইনিংসে ৩৩০ রান করে ৪৪ রানের লিড পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫৭ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। তাতেই মূলত ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে মুমিনুল বাহিনী।

সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল হক

তবে ম্যাচে মূল পার্থক্য গড়েছে দুই দলের টপঅর্ডার। পাকিস্তানের ওপেনাররা দুই ইনিংসেই শতরানের জুটি গড়েছেন। সেখানে বাংলাদেশের ১ থেকে ৪ নম্বর ব্যাটসম্যান ছিলেন পুরোপুরি ব্যর্থ। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে টপঅর্ডার। আজ ম্যাচ শেষে মুমিনুলও স্বীকার করেছেন, টপঅর্ডারই পার্থক্য গড়েছে। ব্যাটিং ব্যর্থতায় নিজেই দায় নিলেন অধিনায়ক।

মঙ্গলবার ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল বলেছেন, ‘অবশ্যই পার্থক্য এখানেই গড়ে দিয়েছে। প্রথম ইনিংসে ৪০ রানে ৪ উইকেট নেই (আসলে ৪৯/৪)। দ্বিতীয় ইনিংসেও ওরকম (২৫/৪)। উপরের যদি এই অবস্থায় হয় তাহলে খেলায় ফেরা কঠিন। উপরে কেউ অবদান রাখলে খেলাটা অন্যরকম হতো।’

বাংলাদেশ ও পাকিস্তান প্রথম টেস্টে তাইজুলই একমাত্র পাওয়া

টপঅর্ডারের ব্যর্থতায় নিজের দায় স্বীকার করে মুমিনুল বলেন, ‘টপ অর্ডার আমিও আছি। টপ অর্ডারে বাকি সবাই ছিল অনভিজ্ঞ, আমিই একমাত্র ছিলাম ৪০টার বেশি ম্যাচ খেলা। কাজেই দায়টা আমার নিজের উপরই নিচ্ছি।’

টপঅর্ডারে বড় ইনিংস কেউ খেলতে পারলেই ম্যাচের পরিস্থিতি বদলে যেতে পারতো। এমনটাই মনে করেন মুমিনুল।

তিনি বলেছেন, ‘এক থেকে চার, আমিসহ। আমি বলব, আমার আরও দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করা উচিত ছিল। চার নম্বরে যদি বড় ইনিংস খেলতে পারবেন তাহলে ভাল দিক যেতে পারতাম। টেস্ট তো বটেই যেকোনো ফরম্যাটে ১০ ওভারের মধ্যে যদি ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেন তাহলে যতই চেষ্টা করেন, মোমেন্টাম দুই-তিন শ জুটি করলেও বিশাল রান হবে না। ফ্লাট উইকেটে ৩৩০ করে বোলিং করা কঠিন। তাও তাইজুল খুব ভাল করেছিল বলে আমরা ফিরতে পেরেছিলাম।’