অবিশ্বাস্য কিছু হয়নি, বড় ব্যবধানেই হারল বাংলাদেশ

চট্টগ্রাম টেস্টের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গেছে চতুর্থ দিনেই। জিততে হলে আজ অবিশ্বাস্য কিছু করতে হতো বাংলাদেশ। খুব স্বাভাবিকভাবেই তা পারেনি মুমিনুল হক সৌরভের দল। জয়ের আশা জাগিয়ে প্রথম টেস্টে টাইগাররা হারল আট উইকেটে। এই জয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেল পাকিস্তান।

বাংলাদেশ হারল বড় ব্যবধানে

আজ পঞ্চম ও শেষ দিনে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের দরকার ছিল ১০ উইকেট। পাকিস্তানের ৯৩ রান। চতুর্থ দিনে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫৭ রানে অলআউট হলে পাকিস্তান লক্ষ্য পায় ২০২ রানের। দুই ওপেনার আবিদ আলি ও আব্দুল্লাহ শফিকের দৃঢ়তায় সে লক্ষ্যে সহজেই পৌঁছে যায় পাকিস্তান।

স্বস্তি বলতে দুই ওপেনারকে সাজঘরে পাঠানো। তাদের ১৫১ রানের জুটি বিচ্ছিন্ন করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। শফিককে ঘূর্ণির ফাঁদে ফেলেন এই অফ স্পিনার। একটু পর বিদায় নিয়েছেন আবিদও। আগের দিন ৫৬ রানে অজেয় থাকা এই ওপেনার ফিরেছেন শতকের আভাস দিয়ে। আউট হন ৯১ রানে।

তাইজুল ইসলামের এলবির শিকার আবিদ। ১২ চারে ১৪৮তম বলে থামেন পাক ওপেনার। তার সঙ্গী শফিক ব্যক্তিগত ৫৩ রানে ইনিংস শুরু করে সাজঘরে ফেরেন ৭৩ রানে। ১২৯ বলে আট চার ও এক ছক্কায় ইনিংসটি সাজান শফিক। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর আজহার আলি (২৪*) ও অধিনায়ক বাবর আজম (১৩*) সারেন জয়ের আনুষ্ঠানিকতা।

এর আগে লিটন দাসের ক্যারিয়ারের প্রথম শতক ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ৩৩০ রানে থামে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। জবাব দিতে নামা পাকিস্তান বড় সংগ্রহের আভাস দিলেও তাদের ২৮৬ রানে গুটিয়ে দেয় টাইগাররা। মুমিনুলের দল লিড নেয় ৪৪ রানের। কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেনি স্বাগতিক শিবির।

সাগরিকার ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫৭ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। বোলাররা পুঁজি পান ২০১ রানের। চতুর্থ ইনিংসে এই রান তাড়া করা কঠিন। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে যেখানে ধসে পড়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার সেখানে আয়েসি ব্যাটিং করেছে পাকিস্তান। চতুর্থ দিনে দেড় সেশন হাত ঘুরিয়ে উইকেট পাননি বাংলাদেশের বোলাররা।

আজ পঞ্চম দিন বিনা উইকেটে ১০৯ রানে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা পাকিস্তানকেও তাই জয়ের জন্য ভাবতে হয়নি। ফলে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় চক্রের শুরুটা বাবরদের হলো জয় দিয়ে। আর পরাজয়ের তিক্ততায় নতুন অভিযানের সূচনা হলো বাংলাদেশের। আগামী শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট।

ম্যাচ সেরা হয়েছেন আবিদ

দুই ইনিংসে ব্যাটিং দৃঢ়তায় অনুমিতভাবেই ম্যাচ সেরা হয়েছেন ওপেনার আবিদ। প্রথম ইনিংসে ১৩৩ রান করেছেন তিনি। ফিরতিবার ব্যাটিংয়ে নেমে শতকের পুনরাবৃত্তির আভাস দিয়েও পারেননি আবিদ। স্বপ্নের ম্যাচে তার আফসোস শতক হাতছাড়া হওয়াটা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ৩৩০/১০ ও ১৫৭/১০।
পাকিস্তান: ২৮৬/১০ ও ২০৩/২।
ফল: পাকিস্তান ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: আবিদ আলি (পাকিস্তান)।
দ্বিতীয় টেস্ট: ৪-৮ ডিসেম্বর (মিরপুর, ঢাকা)।