লিটনের প্রশংসা, সাদমান-সাইফে নাখোশ

চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে ১০৯ রানের জুটি গড়ে অবিচ্ছিন্ন পাকিস্তানের দুই ওপেনার আবিদ আলী ও আব্দুল্লাহ শফিক। দুজনেই হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। বিপরীত চিত্র বাংলাদেশ শিবিরে। দুই ইনিংসেই ব্যর্থ বাংলাদেশের ওপেনার সাদমান ইসলাম ও সাইফ হাসান। প্রথম ইনিংসে ১৯ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪ রানে বিচ্ছিন্ন হয়েছেন তারা।

লিটন, সাদমান, সাইফ ও রাসেল ডমিঙ্গো, ফাইল ছবি

সাগরিকায় তাদের ব্যাটিং, আউট হওয়ার ধরনে অসন্তুষ্ট বাংলাদেশের হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো। তবে প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি ও দ্বিতীয় ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করা লিটন দাসের প্রশংসা করেছেন তিনি। অদূর ভবিষ্যতে লিটনকে আরও উপরে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর চিন্তাও করছেন ডোমিঙ্গো।

সোমবার ম্যাচের চতুর্থ দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে লিটনের ব্যাটিং নিয়ে এই প্রোটিয়া কোচ বলেছেন, ‘গত ১৮ মাসে লিটনের গড় ৬০ এর মতো। আমাদের হয়ে দারুণ কিছু ইনিংস সে খেলেছে। ৬ বা ৭ নম্বরে তার জন্য ভালো একটি জায়গা আমরা খুঁজে পেয়েছি। লোয়ার অর্ডারে আত্মবিশ্বাসের সাথে সে ব্যাট করছে। আমরা জানি সে দারুণ একজন খেলোয়াড়। ছন্দ খুঁজে পেতে একটু সময় লেগেছে। গত বছরগুলোতে টেস্টে সে আমাদের বড় ইতিবাচক দিক। হয়তো আগামী বছরগুলোতে সে বাংলাদেশের হয়ে ৪ বা ৫ নম্বরে খেলতে পারে।’

রাসেল ডোমিঙ্গো, ফাইল ছবি

সাদমান-সাইফ উইকেটে টিকতেই পারেননি। হাসান আলী, আফ্রিদিদের বোলিংয়ের জবাবই ছিল না তাদের কাছে। যেন আত্মসমর্পণই করেছেন। ওপেনারদের ডোমিঙ্গো বলেছেন, ‘এটা হতাশাজনক। এই উইকেটে তারা যেভাবে আউট হয়েছে তা দেখে আমরা খুশি নই। সাদমান তার সবশেষ টেস্টে শতক হাঁকিয়েছে, কিন্তু তা খেলেছে ৫-৬ মাস আগে। নতুন বলে আমরা চাপে পড়ে যাচ্ছি। আমরা একটি মানসম্পন্ন বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে খেলছি।’

পরে অবশ্য দুই তরুণের পাশেই থাকলেন হেড কোচ। অনভিজ্ঞ বিবেচনায় তাদেরকে আরও কাজ করার তাগিদ দিলেন। ডোমিঙ্গো বলেন, ‘সাইফ মাত্র ওর ষষ্ঠ ম্যাচ খেলল। সে অনভিজ্ঞ। সাদমান হয়তো বড়জোর ১০টির মতো ম্যাচ খেলেছে। এই মানের বোলারদের বিপক্ষে ভালো করা ওদের জন্য কঠিন। তাই টেস্টে ওদের আরও অনেক কাজ করতে হবে।’