লিটনের চোখে খেলা দুই পক্ষেই আছে

চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৩৩০ রানের জবাবে শনিবার দ্বিতীয় দিন শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১৪৫ রান। এখনও ১৮৫ রানে পিছিয়ে আছে পাকিস্তান। তবে তাদের ওপেনিং জুটিই আভাস দিচ্ছে প্রথম ইনিংসে বড় স্কোরের পথে আছে দলটি।

লিটনের চোখে, খেলা দুই পক্ষেই আছে

দিনভর দুই সেশনে উইকেটের দেখা না পাওয়া বাংলাদেশের জন্য বোলিং দিনটি ছিল হতাশার। যদিও ম্যাচটা এখনও হাতছাড়া হয়নি মনে করেন লিটন দাস। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা এ ক্রিকেটার আজ বলেছেন, ম্যাচ এখনও দুই পক্ষের হাতেই আছে। তবে আগামীকাল সকালে দ্রুত ২-৩টি উইকেট নিতে হবে বাংলাদেশকে।

ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে ১১৪ রান করে আউট হয়েছেন লিটন দাস। ম্যাচের পরিস্থিতি জানতে চাইলে আজ দিন শেষের সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘প্রথম দিন যেটা ছিল, আমাদের মধ্যাহ্ন বিরতির আগে যখন ৪ উইকেট পড়ে যায় তখন হয়তো সবাই ধারণা করছিল বাংলাদেশ অল্পতে অলআউট হয়ে যাবে। ওখান থেকে আমি আর মুশফিক ভাই অনেক ভালো জুটি গড়ে কামব্যাক করেছিলাম। আমরা যখন দিন শেষ করেছি, আমাদের ইচ্ছা ছিল একটা ভালো সংগ্রহের দিকে নিয়ে যাব কাল (আজ)। কিন্তু এটাই ক্রিকেট। যেটা আগের দিন হয় সেটা পরের দিন হয় না।’

বাংলাদেশ-পাকিস্তান প্রথম টেস্ট, ফাইল ছবি

কাল সকালে দ্রুত উইকেট চান লিটন। তিনি বলেছেন, ‘পাকিস্তান ভালো অবস্থায় আছে, কারণ কোনো উইকেট হারায়নি। এই বোর্ডে যদি ২/৩ উইকেট থাকতো, এই রানে বা এর থেকে বেশি ১৬০ রানে ৩ উইকেট থাকত তাহলে স্কোর দেখতেও ভালো লাগত। তাহলে মনে হতো দুই দিকেই খেলা আছে। আমার মনে হয়, আমরা যদি কাল আর্লি মর্নিং ২-৩ উইকেট নিতে পারি তাহলে সিমিলার জায়গায় চলে আসবে। এখন পর্যন্ত খেলা দুই পক্ষেই আছে।’

ফলাফলের চিন্তা এখনই করছে না বাংলাদেশ। তবে প্রথম ইনিংসে ৪০০-৫০০ রান না করতে পারার আফসোস আছে টাইগার শিবিরে। লিটন বলেছেন, ‘এখন ফলের দিকে চিন্তা করা যাচ্ছে না। আমি আগেও বললাম, আমি ও মুশফিক ভাই যদি আরেকটু ভালো ব্যাটিং করতাম তাহলে ৪০০-৪৫০ রান থাকত। তাহলে ভিন্ন সিনারিও থাকতো। আবার বোলিংয়ে ২-৩ উইকেট নিতে পারতাম তাহলে সিনারিও ভিন্ন হতে পারতো। তবে এখনও খেলা দুই পক্ষে আছে। আমরা আগামীকাল এসে ২-৩ উইকেটে ব্রেক থ্রু এনে দিতে পারি…সংখ্যায় দেখলে রান রেট কিন্তু খুব একটা বাড়ছে না। উইকেটে কুইক রান করা কঠিন। ওদিক থেকে ধরলে খেলা দুই পক্ষে আছে। কালকের দিনের উপর অনেক কিছু নির্ভর করবে।’