আক্রমণাত্মক খেলার প্রতিশ্রুতি শান্তর

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পরবর্তী বাংলাদেশ দলে পরিবর্তনটা অবধারিতই ছিল। স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে টাইগারদের স্কোয়াডে এসেছে বেশকিছু পরিবর্তন। দলে ডেকে পাঠানো হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তসহ কয়েকজন তরুণকে।

নাজমুল হোসেন শান্ত, ফাইল ছবি

টেস্ট ক্রিকেটের জন্য বিবেচিত সাইফ হাসান প্রথমবার ডাক পেয়েছেন টি-টোয়েন্টি দলে। এই দুজনকে নিয়েই যতো বিতর্ক। কারণ দুজনই ঠাণ্ডা মেজাজের। টেস্ট ঘরনার। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের হয়ে পাঁচ টেস্ট খেলেছেন সাইফ। অপেক্ষা রঙিন পোশাকে অভিষেকের।

শান্ত অবশ্য তিন সংস্করণেই বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলেছেন। আটটি ওয়ানডেতে ৯৩ রান করেছেন তিনি। স্ট্রাইক রেট ৫৮.৮৬। তিন টি-টোয়েন্টিতে ১০৪.৩৪ স্ট্রাইক রেটে মোট ২৪ রান করেছেন। এমন একজনকে যখন টি-টোয়েন্টি দলের জন্য ফেরানো হয় তখন বিতর্ক হওয়াটাই স্বাভাবিক।

অথচ ঘরোয়া ক্রিকেটের মারমুখি দুই ব্যাটার তৌহিদ হৃদয় ও পারভেজ হোসেন ইমনকে দলে নেওয়া প্রয়োজন মনে করেননি নির্বাচকরা। এই বিতর্কের মধ্যেই আজ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন শান্ত মেজাজের শান্ত। যেখানে অঙ্গীকার করলেন আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার।

আজ অনুশীলন শেষে শান্ত বলেছেন, 'টি-টোয়েন্টি অবশ্যই রানেরই খেলা। আমি যখনই খেলি আমার লক্ষ্য থাকে আক্রমণাত্মক ক্রিকেটই খেলব। চিন্তা থাকে প্রথম বল থেকেই আগ্রাসী মেজাজে থাকার। তার মানে এই না যে, প্রতি বলেই মারতে থাকব। অবশ্যই বল বিচার করে খেলব।’

শান্তর মতে, পাকিস্তান সিরিজের জন্য দলে ডাক পাওয়া প্রত্যেকেরই সামর্থ্য আছে ব্যাটে ঝড় তোলার। তিনি বলেছেন, 'আমরা এখানে যারা আছি প্রত্যেকেই সামর্থ্যবান। প্রত্যেকটা ব্যাটারই দায়িত্ব নিয়ে খেলার মতো। আমাদের সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে। এখানে সিনিয়র বা জুনিয়র বলে কিছু নেই।'

কদিন আগে শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা দল ছিল পাকিস্তান। কিন্তু সেমিফাইনালে ম্যাথু ওয়েডের শেষের ঝড়ে শেষ হয়ে যায় বাবর আজমদের শিরোপা স্বপ্ন। বিশ্বকাপ খেলে দেশে না ফিরে সরাসরি বাংলাদেশ সফরে এসেছেন তারা। সফরে তিনটি টি-টোয়েন্টি ও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে পাকিস্তান।

সিরিজ শুরুর আগে আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে শান্ত বলেছেন, 'পাকিস্তান বিশ্ব ক্রিকেটে সেরা দলগুলোর একটি। বিপিএলে ওদের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে খেলার সুযোগ হয়েছে। এদিক থেকে আমরা একটু আত্মবিশ্বাসী যে, ওদের বোলার ও ব্যাটারদের মোকাবেলা করেছি। কাজেই অতো চিন্তার কিছু নেই। আমরা যেটা পারি সেটাই করার চেষ্টা করব।'

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ফিল্ডিং নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়েছে। নাজমুল দাবি করলেন, পাকিস্তান সিরিজের দলে থাকা প্রত্যেকেই ভালো ফিল্ডার, '‌ফিল্ডিংয়ের ব্যাপার নিবেদনের একটা বিষয়। আমরা যারা এখানে ফিল্ডার আছি, খুব ভাল একটা ফিল্ডিং দল। সবাই এটা উপভোগ করব। আশা করছি ভালো কিছু হবে।’

আগামী ১৯, ২০ ও ২২ নভেম্বর মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে।