রিয়াল মাদ্রিদের স্বপ্নের মাইলফলক

ইউরোপিয়ান শীর্ষস্থানীয় ক্লাব প্রতিযোগিতায় প্রথম দল হিসেবে ১০০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করল রিয়াল মাদ্রিদ। বুধবার রাতে ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে শাখতার দানৎস্কর বিরুদ্ধে রিয়ালের স্বপ্নের গোলটি করেন করিম বেনজেমা। ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যাচটাও রিয়াল জিতেছে ২-১ গোলে।

১০০০তম গোলের স্মারক

দুই অর্ধে ম্যাচের দুটো গোলই করেছেন ফরাসি স্ট্রাইকার। স্বপ্নের গোলটা এসেছে ১৪ মিনিটে। তাতেই হলো অনন্য কীর্তি। ইউরোপিয়ান শীর্ষস্থানীয় প্রতিযোগিতায় প্রথম দল হিসেবে গোল সংখ্যায় চার অংক স্পর্শ করল রিয়াল। প্রতিযোগিতায় রিয়াল মাদ্রিদের গোল সংখ্যা এখন ১০০১টি।

ইউরোপের মঞ্চে গোল সংখ্যায় রিয়াল মাদ্রিদের ধারেকাছেও কেউ নেই। দুইয়ে থাকা জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ ৭৬৮টি গোল করেছে। স্প্যানিশ আরেক ক্লাব বার্সেলোনার গোল ৬৫৫টি। ৫২৯টি গোল আছে ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। তালিকার পাঁচ নম্বরে থাকা ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসের গোল ৪৬৮টি।

উড়ছেন বেনজেমা

ইউরোপিয়ান কাপ অর্থাৎ চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে সর্বোচ্চ ১০৬টি গোল করেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। রাউল গঞ্জালেসের গোল ৬৬টি। রাউলের চেয়ে চার গোল কম আছে বেনজেমার। আলফ্রেডো ডি স্টিফানোর গোল ৪৯টি। পাঁচে থাকা ফেরেঙ্ক পুসকাসের গোল ৩৫টি।

এই টুর্নামেন্টে রিয়াল মাদ্রিদের প্রথম গোলটি করেন সাবেক অধিনায়ক মিগুয়েল মুনজ। তার নেতৃত্বেই ১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লস ব্ল্যাঙ্কোসরা। ৮০০ ও ৯০০তম গোল করেছেন পর্তুগিজ যুবরাজ রোনালদো। গঞ্জালো হিগুয়েইন ৭০০তম গোলের নায়ক।

ডেভিড বেকহ্যামের সৌজন্যে রিয়াল ছুঁয়েছে ৬০০তম গোলের মাইলফলক। ৫০০তম গোল গুতির। ১০০তম গোলটি করেন ডি স্টিফানো। ২০০তম গোল পুসকাসের। ৩০০তম গোলটি করেন জেনসেন। ৪০০তম গোলের গণ্ডি ছুঁয়েছেন লোসাডা। ক্লাব ভক্তদের রোমাঞ্চ ও অপেক্ষা এখন ১২০০তম গোল নিয়ে।

১৯৫৫ সালে ইউরোপিয়ান শীর্ষস্থানীয় ক্লাব টুর্নামেন্ট চালু হয় ইউরোপিয়ান কাপ নামে। ১৯৯২ সালে প্রতিযোগিতার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ। এই টুর্নামেন্টে তাদের ট্রফি সর্বোচ্চ ১৩টি। দুইয়ে থাকা এসি মিলান সাতবার শিরোপা জিতেছে। সমান ছয়টি করে ট্রফি আছে লিভারপুল ও বায়ার্ন মিউনিখের।