সবার আগে শেষ চারে পাকিস্তান

ফর্মের তুঙ্গে থাকা পাকিস্তানের বিপক্ষে খর্বশক্তির নামিবিয়া পেরে উঠবে না এটা অনুমিতই ছিল। এবং হলোও তাই। তবে সম্মানজনকভাবেই হেরেছে তারা। আজ মঙ্গলবার আবুধাবিতে নামিবিয়াকে ৪৫ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এ নিয়ে টানা চার ম্যাচ জিতল বাবর আজমের দল।

সবার আগে শেষ চার নিশ্চিত করল পাকিস্তান

টস জয়ী অধিনায়ক প্রতিপক্ষের হাতে ব্যাট তুলে দেবে এটা যেন এই বিশ্বকাপের নিয়ম হেয়ে উঠেছিল। সেই প্রথা অবশ্য ভেঙেছেন বাবর আজম। সবাইকে বিস্ময় উপহার দিয়ে সতীর্থদের হাতে ব্যাট তুলে দেন বাবর। এরপর দুই উইকেটে ১৮৯ রানের পাহাড় গড়ে পাকিস্তান। জবাবে পাঁচ উইকেটে ১৪৪ রান তুলতে সক্ষম হয় নামিবিয়া।

ম্যাচের ফলটা নির্ধারণ হয়ে যায় প্রথম ভাগেই। পাকিস্তানকে বড় সংগ্রহের ভিত এনে দেন দুই ওপেনার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। উদ্বোধনী জুটিতে এই যুগল যোগ করেন ১১৩ রান। জুটি গড়ার পথে দুজনই তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। ৪৯ বলে সাত চারে ৭০ রানে ফেরেন অধিনায়ক বাবর।

সবার আগে শেষ চার নিশ্চিত করল পাকিস্তান

ফখর জামান এলেন আর গেলেন। পাঁচ বলে পাঁচ রানে ফেরেন তিনি। এরপর রিজওয়ান ও মোহাম্মদ হাফিজের তাণ্ডব শুরু। ৫০ বলে আট চার ও চার ছক্কায় ৭৯ রানে অপরাজিত থাকেন রিজওয়ান। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও উঠেছে তার হাতে। হাফিজ ১৬ বলে পাঁচটি চারে অজেয় থাকেন ৩২ রানে। পাকিস্তার পায় বড় সংগ্রহ।

বড় লক্ষ্যে অবশ্য ভড়কে যায় নামিবিয়া। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী আগ্রাসী ব্যাটিং করেছে তারা। তবে ওপেনার স্টিফান ব্রাডের ধীরগতির ব্যাটিংয়ের কারণে দেড় শ ছাড়াতে পারেনি নামিবিয়া। ২৯ বলে ২৯ রানে ফেরেন ব্রাড। ৩৭ বলে পাঁচ চার ও এক ছক্কায় ৪০ রান তোলেন ক্রেইগ উইলিয়ামস।

১০ বলে ১৫ রান এসেছে অধিনায়ক গারহার্ড ইরাসমুসের ব্যাট থেকে। শেষ দিকে ডেভিড ভিসা ৩১ বলে ৪৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। তিনটি চার ও দুই ছক্কায় ইনিংসটি সাজান তিনি। ভিসার এই ইনিংসটাই নামিবিয়ার হারের ব্যবধান অনেকটাই কমিয়ে আনে। পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ইমাদ ওয়াসিম ১৩ রানে নেন এক উইকেট।