দোষের খাতায় আইপিএল, প্রশংসা পিএসএলের

যে আইপিএলকে ধরা হয় ক্রিকেটের শীর্ষ ও সেরা লিগ, তাকে ফেলা হচ্ছে দোষীর তালিকায়। অন্যদিকে প্রায় চোখের আড়ালে থাকা পিএসএল পেয়ে যাচ্ছে অগণন প্রশংসা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের টানা তিন জয় আর ভারতের টানা দুই পরাজয়ের পর এসব কথা বলা শুরু হয়ে গেছে।

আইপিএল চ্যাম্পিয়ন

বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে আইপিএল শেষ করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড, বিসিসিআই। দেশের মাটিতে সম্ভব হয়নি, তাই সেটা উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় আরব ভূমিতে, ঠিক যেখানে বিশ্বকাপ হবে সেখানেই। এ আইপিএলের জন্য ভজকট লেগে যায় ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজেও। সেটা অসমাপ্ত রেখেই তড়িঘড়ি করে আইপিএলের দ্বিতীয় অংশ শুরু হয় এবং বিশ্বকাপের মাত্র কয়েকদিন আগে সমাপ্তি ঘটে।

এমন টানা শিডিউলে খেলোয়াড়রা ক্ষতিগ্রস্ত হবে কি না-এমন প্রশ্নে জবাব দেয়া হয়েছিল, এর মাধ্যমে বরং সেরা প্রস্তুতি নিতে পারবে কোহলি বাহিনী। বোর্ডের প্রভাব আর অর্থের ঝনঝনানিতে এর বেশি বিরোধিতা করতে পারেনি কেউ।

পিএসএল চ্যাম্পিয়ন

এবার বিশ্বকাপের শুরুতেই টানা দুই ম্যাচ হেরে যাওয়ার পর চাপা পড়া প্রশ্নগুলো আবারো জাগছে। এত প্রস্তুতির পরও কেন টপ ফেভারিট ভারতের এই দশা? এই প্রশ্নের অনেক উত্তরের অন্যতম হচ্ছে- টানা শিডিউলের চাপ, ক্লান্তি ও মানসিক অবসাদ।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ হারার পর গতকালের সেরা বোলার জসপ্রিত বুমরা ব্যর্থতার দায় চাপাতে চাইলেন আইপিএলের কাঁধেই। আইপিএলের পরপরই বিশ্বকাপের চাপের কথা উল্লেখ করে বুমরা বলেন, খেলোয়াড়দের বিশ্রামের দরকার হয়। টানা ৬ মাস খেলতে থাকা সহজ নয়। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর প্রয়োজন হয়।

‘বিসিসিআই চেষ্টা করেছে আমাদের সাহায্য করতে, কিন্তু সূচি কী হবে সেটা আসলে হাতে থাকে না।’ যোগ করেন বুমরা।

এদিকে, বিশ্বকাপে পাকিস্তানের টানা জয়ের পেছনে অনেকেই পাকিস্তান সুপার লিগ, পিএসএল-এর অবদান খুঁজে পাচ্ছেন। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোই বলছে, ২০১৫ সালে শুরু হওয়া পিএসএলে ভারত না খেললেও অন্যান্য দেশের তারকারা খেলে থাকেন। এই লিগ দিয়েই টি-২০ ক্রিকেটের চাপ নিতে শিখে গেছেন বাবররা।