ইংলিশ তাণ্ডবে বিধ্বস্ত অস্ট্রেলিয়া

প্রথম দুই ম্যাচেই দাপুটে পারফরম্যান্স ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার। তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি দল দুটো। কিন্তু দুই জায়ান্টের লড়াইটা জমল না। ইংলিশ পেসে বিধ্বস্ত অস্ট্রেলিয়া গুটিয়ে গেল অল্পতে। রান তাড়ায় একচ্ছত্র আধিপত্য দেখালেন ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা।

আজ দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১২৫ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ৫০ বল ও আট উইকেট হাতে রেখে সহজ জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড। বলের হিসেবে টি-টোয়েন্টি এটা ইংলিশদের দ্রুততম তৃতীয় জয়। দাপুটে এই জয়ে চলামন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল প্রায় নিশ্চিত করে ফেলল ইয়ন মরগানের দল।

অজিদের ধসিয়ে দিয়েছেন তিন পেসার ক্রিস ওকস, ক্রিস জর্ডান ও টিমাল মিলস। প্রথম দুজন গুঁড়িয়ে দেন অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডার। ২১ রানের মধ্যে অজিরা হারায় চার উইকেট। ভয়ঙ্কর বিপর্যয়র আর সামলে উঠতে পারেনি তারা। তবে এক প্রান্ত আগলে রাখেন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ।

তার ৪৪ রানের ইনিংসের ওপর দাঁড়িয়ে মান বাঁচায় অস্ট্রেলিয়া। অজিদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান করেছেন অ্যাস্টন অ্যাগার। এ ছাড়া ম্যাথু ওয়েড ১৮ রানে আউট হন। শেষ দিকে প্যাট কামিন্স তিন বলে দুই ছক্কায় করেন ১২ রান। ছয় বলে একটি করে চার-ছক্কায় ১৩ রান তোলেন মিচেল স্টার্ক।

ইংল্যান্ডের পক্ষে চার ওভারে ১৭ রানে তিন উইকেট নিয়ে প্রত্যাশিতভাবেই ম্যাচ সেরা হয়েছেন জর্ডান। ২৩ রানে দুটি শিকার ওকসের। মিলস দুই উইকেট পেলেও রান দিয়েছেন ৪৫! ১৫ রানে লিয়াম লিভিংস্টোন নিয়েছেন এক উইকেট। আদিল রশিদ ১৯ রানে শিকার করেন একটি।

বোলারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অস্ট্রেলিয়াকে নাগালের মধ্যে বেঁধে রাখে ইংল্যান্ড। এরপর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সহজ জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। ঝড় বললে ভুল হবে, জস বাটলার যা করেছেন তা রীতিমতো তাণ্ডব। ৩২ বলে পাঁচটি করে চার-ছক্কায় ৭১ রানের টর্নেডো ইনিংসে অপরাজিত থাকেন এই ওপেনার।

জেসন রয় ২০ বলে ২২ রানে ফিরে গেছেন অ্যাডাম জাম্পার এলবির ফাঁদে পড়ে। আট বলে আট রানে থাকা ডেউইড মালান অ্যাস্টন অ্যাগারের শিকার হয়ে ফেরেন কিপার ওয়েডের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে। শেষ দিকে ১১ বলে দুই ছক্কায় ১৬ রানে অজেয় থাকেন জনি বেয়ারস্টো।