সোহান-আফিফের ‘ছোট্ট’ অবদানেই খুশি বাংলাদেশ কোচ

নুরুল হাসান সোহান ও আফিফ হোসেন ধ্রুব মূলত লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান। স্লগ ওভারে ঝড় তোলার জন্যই দুজনের পজিশন নির্ধারণ করা হয়েছে। আফিফ শেষ দিকে কম-বেশি ঝড় তুললেও পুরোপুরিভাবেই ব্যর্থ সোহান। তবে উইকেটের সামনে ব্যর্থ হলেও পেছনে দাঁড়িয়ে ঠিকই পুষিয়ে দিচ্ছেন তিনি।

দলে এখন পর্যন্ত বড় অবদান রাখতে পারেননি। তবে দলের জয়ে ছোট-ছোট অবদান রেখেছেন তারা। সোহান গ্লাভস হাতে এবং আফিফ ব্যাট হাতে। তাদের এই ছোট্ট অবদানেই খুশি বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্বে তাদের কাছ থেকে আরো চান আফ্রিকান কোচ।

স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১২ বলে ১৮ রানে আউট হন আফিফ। পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে করেন ১৪ বলে ২১ রান। ইনিংস হয়তো আরো বড় হতে পারতো। কিন্তু পরিস্থিতির দাবি এবং বাংলাদেশের প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে ইনিংস বড় করতে পারেননি আফিফ। বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান অবশ্য চেষ্টার ত্রুটি রাখছেন না।

দলের প্রয়োজনে বাউন্ডারি মারতে গিয়ে তিন ম্যাচেই আউট হয়েছেন সোহান। তবে শেষ দুই ম্যাচে উইকেটরক্ষক ভূমিকায় দারুণ পারফর্ম করেছেন। দুজনের এই পারফরম্যান্সকে কার্যকরভাবে মূল্যায়ন করেছেন প্রধান কোচ। তাই দুজনের পারফরম্যান্সের বর্তমান যা অবস্থা তাতে অখুশি নন ডমিঙ্গো।

আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে সুপার টুয়েলভ মিশন শুরু হবে বাংলাদেশের। রোববার এই ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ডমিঙ্গো বলেছেন, 'আমার মতে এই সংস্করণে বাংলাদেশ দলের জন্য আফিফ ও সোহান উপযুক্ত। ওরা দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। লোয়ার অর্ডারে সোহান বিগ হিটার। আফিফ ভালো করছে। আশা করছি মূলপর্বে আরো ভালো করবে ওরা।'

দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ সোহানের কিপিং নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত, 'সোহান দুর্দান্ত উইকেটকিপিং করছে। স্টাম্পের পেছনে ১০-১২ রান বাঁচায়। যা ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়। ওদের দুজনের পারফরম্যান্সে আমি খুশি। এই মুহূর্তে ওরা হয়তো বেশি রান করতে পারছে না। কিন্তু যতটুকু ভূমিকা রাখছে এটা অনেক।'