পাকিস্তান-ভারতের ‘চিরস্মরণীয়’ ৬ ম্যাচ

চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আগামীকাল ভারতের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ম্যাচটিকে ঘিরে ক্রিকেট দুনিয়ার ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনার শেষ নেই। কোন দল জিতবে বা কে ম্যাচের আলো কেড়ে নেবেন- এসব বিষয় নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে হারের স্মৃতি কোনদিন ভুলতে পারবে না পাকিস্তান

সেই বিশ্লেষণে স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসছে এই দুই দলের সেরা কিছু ম্যাচের কথা। জেনে নেওয়া যাক সাদা বলের এমন সেরা ছয়টি ম্যাচ সম্পর্কে-

১. ১৮ এপ্রিল ১৯৮৬, শারজাহ: অস্ট্রাল এশিয়া কাপের ফাইনালে সেদিন আগে ব্যাট করে ২৪৫ রানের পুঁজি পায় ভারত। জবাবে ৬১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ধুঁকছিল পাকিস্তান। এরপর ক্রিজে এসে হাল ধরেন জাভেদ মিয়াদাদ। পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচে শেষ বলে ছয় মেরে পাকিস্তানের এক উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন মিয়াদাদ। ১১৪ বলে ১১৬ রানে অপরাজিত থাকেন সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার।

২. ১ মার্চ ২০০৩, সেঞ্চুরিয়ান: সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেও বিশ্বকাপের সেই ম্যাচটি শচিন টেন্ডুলকারের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। পাকিস্তানের দেওয়া ২৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস, শোয়েব আখতারের কাছে অনেকটাই দিশেহারা ছিল ভারত। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে দারুণ দৃঢ়তা দেখান শচিন। শোয়েবের শিকার হওয়ার আগে খেলেন ৯৮ রানের ইনিংস। এরপরও ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয় ভারত।

আগামীকাল ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে পাকিস্তান

৩. ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৭, ডারবান: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে আগে ব্যাট করে ১৪১ রানের পুঁজি পায় ভারত। সমান রানেই থামে পাকিস্তান। তবে বোল-আউট নিয়মে ভারতের কাছে হেরে যায় তারা।

৪. ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৭, জোহানেসবার্গ: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পাকিস্তানের সামনে ১৫৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড় করায় ভারত। দলীয় ৭৭ রানে ৬ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে যায় তারা। তবে মিসবাহ উল হকের অদম্য মানসিকতার কারণে লড়াই চালিয়ে যায় পাকিস্তান। শেষ ওভারে তাদের দরকার ছিল ১৩ রান। স্কুপ খেলতে গিয়ে শ্রীশান্তের হাতে ক্যাচ দেন মিসবাহ। তাতেই শিরোপা জয়ের আনন্দে ভাসে মহেন্দ্র সিং ধোনিরা।

৫. ২৫ ডিসেম্বর ২০১২, ব্যাঙ্গালুরু: দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে সেদিন পাকিস্তান জিতেছিল মোহাম্মদ হাফিজ ও শোয়েব মালিকের ব্যাটিং নৈপুণ্যে। ১৪৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। হাফিজ ৬১ রানে আউট হলেও ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন মালিক।

৬. ১৮ জুন ২০১৭, লন্ডন: ফখর জামানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে আগে ব্যাট করে সেদিন স্কোরবোর্ডে ৩৩৮ রান তুলে পাকিস্তান। ১০৬ বলে ১১৪ রান করেন ফখর। জবাব দিতে নেমে ১৫৮ রানেই গুটিয়ে যায় ভারত।