টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের খুঁটিনাটি: আপনি হয়তো জানেন না

দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। প্রতিযোগিতা শুরুর আগে দেখে নেওয়া যাক টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কিছু তথ্যা, যা আপনি হয়তো জানেন না।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের খুঁটিনাটি

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দুবার আয়োজন করতে পারেনি কোনো দেশ। তবে এক ভেন্যুতে সর্বোচ্চ ম্যাচ আয়োজনের রেকর্ডে বাংলাদেশের দুটি স্টেডিয়াম আছে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম এবং কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম রেকর্ড ১৫টি করে ম্যাচ (যৌথভাবে সর্বোচ্চ) আয়োজন করেছে। এই তালিকার তিনে থাকা ঢাকার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়াম দেখেছে ১৪টি ম্যাচ।

বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৩৫টি ম্যাচ খেলার রেকর্ড আছে শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার তিলেকরাত্নে দিলশানের। পাকিস্তান কিংবদন্তি শহিদ আফ্রিদি তার চেয়ে একটি ম্যাচ কম খেলেছেন।

বিশ্বকাপে দুটি দলের হয়ে খেলা ক্রিকেটার আছেন মাত্র দুজন। তারা হলেন ড্রিক নানেস ও রেলফ ফন ডার মার্ভে। প্রথমজন অস্ট্রেলিয়া ও নেদারল্যান্ডসের জার্সিতে বিশ্বকাপ খেলেছেন। দ্বিতীয়জন দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেদারল্যান্ডসের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

সবচেয়ে বেশি বিশ্বকাপ ট্রফি জিতেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডোয়াইন ব্রাভো, ড্যারেন স্যামি, ক্রিস গেইল, ডিনেশ রামদিন, মারলন স্যামুয়েলস, আন্দ্রে রাসেল, লেন্ডল সিমন্স, স্যামুয়েল বদ্রি, জনসন চার্লস ও সুনিল নারাইন। এই দশজনই ক্যারিবীয়দের ২০১২ ও ২০১৬ বিশ্বকাপ যাত্রার সঙ্গী ছিলেন।

বিশ্বকাপের সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার মোহাম্মদ আমির। ১৭ বছর ৫৫ দিন বয়সে পাকিস্তানের জার্সিতে বিশ্বকাপ অভিষেক হয়েছিল এই পেসারের। ১৭ বছর ১৬৯ দিন বয়সে বিশ্বমঞ্চে আবির্ভাব হয় আফগানিস্তান স্পিনার রশিদ খানের।

বিশ্বকাপের সবচেয়ে বেশি বয়সী ক্রিকেটার হংকংয়ের রায়ান ক্যাম্পবেল (৪৪ বছর ৩৪ দিন)। হংকং জাতীয় দলে খেলার আগে অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার হয়েও খেলেছিলেন তিনি। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় 'বুড়ো' ক্রিকেটারও অস্ট্রেলিয়ান। নাম ব্রাড হগ। তিনি অবশ্য ক্যাম্পবেলের মতো দেশ ছাড়েননি।

অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৩৩ ম্যাচ খেলেছেন ভারতের মহেন্দ্র সিং ধোনি। ১৮টি ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ড্যারেন স্যামি। তবে অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপে জয়ের হার বেশি কুমার সাঙ্গারারার (অন্তত ১০ ম্যাচ খেলা অধিনায়কদের হিসেবে)। শতকরা ৭১.৪২টি ম্যাচ জিতেছেন সাঙ্গা (১৪ ম্যাচ)। তার পেছনে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ (১৬ ম্যাচ, জয়ের হার ৬৮.৭৫ শতাংশ)।

বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ৩৫ ম্যাচ আম্পায়ারিং করেছেন পাকিস্তানের আলিম দার। ইংল্যান্ডের ইয়ান গৌল্ড ৩০টি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। সর্বোচ্চ তিনটি ফাইনালে আম্পারিং করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সায়মন টোফেল। দুটি ফাইনালে দেখা গেছে আলিম দারকে।

এক ম্যাচে সর্বোচ্চ অতিরিক্ত রান দেওয়ার রেকর্ডটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ২০০৭ সালে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অতিরিক্ত ২৮ রান দেয় ক্যারিবীয়রা। ২০১৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অতিরিক্ত ২৬ রান খরচ করে দক্ষিণ আফ্রিকা।