টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: দলীয় যত রেকর্ড

ওমানের মাস্কটে আগামী রোববার থেকে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আট দলের বাছাইপর্ব। প্রথম রাউন্ড পাড়ি দেওয়া চার দল ও র্যাঙ্কিং সেরা আট দল মোট ১২ দল নিয়ে শুরু হবে মূলপর্বের খেলা। আগামী ২৩ অক্টোবর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলবে বিশ্বকাপ। ব্যাট-বলের ধামাকা শুরুর আগে দেখে নেওয়া যাক টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলীয় রেকর্ডগুলো।

মোট ১২ দল নিয়ে শুরু হবে মূলপর্বের খেলা

এখন পর্যন্ত ছয়টি বিশ্বকাপ আয়োজন হয়েছে। একমাত্র দল হিসেবে সর্বোচ্চ দুবার ট্রফি জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এ ছাড়া শিরোপা জয়ের নজির আছে চারটি দলের- ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার। ২০০৭ সালে প্রথম বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। আর সবশেষ আসরের ট্রফি জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

এক ম্যাচে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ শ্রীলঙ্কার। জোহানেসবার্গে ২০০৭ বিশ্বকাপে কেনিয়ার বিপক্ষে ছয় উইকেটে ২৬০ রান করেছিল লঙ্কানরা। তাদের পেছনে আছে ইংল্যান্ড (২৩০/৮) ও দক্ষিণ আফ্রিকা (২২৯/৪)।

সর্বোচ্চ রান তাড়ায় সফল ইংল্যান্ড। মুম্বাইতে ২০১৬ বিশ্বকাপে আগে ব্যাট করতে নেমে চার উইকেটে ২২৯ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। অবিশ্বাস্যভাবে দুই বল ও দুই উইকেট হাতে রেখে থ্রিলার জয় তুলে নেয় ইংলিশরা।

বিশ্বকাপে সবচেয়ে কম রানে গুটিয়ে যাওয়ার বিব্রতকর রেকর্ডটি নেদারল্যান্ডসের। চট্টগ্রামে ২০১৪ বিশ্বকাপে ডাচদের ৬৩ বলে ৩৯ রানে গুটিয়ে দেয় শ্রীলঙ্কা।

রানের হিসেবে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় জয় শ্রীলঙ্কার। ২০০৭ সালে জোহানেসবার্গে ছয় উইকেটে ২৬০ রান তোলার পর কেনিয়াকে ৮৮ রানে গুটিয়ে দেয় লঙ্কানরা। তারা জেতে ১৭২ রানে।

বিশ্বকাপে সবচেয়ে কম রানের পুঁজি নিয়ে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০০৯ সালে লর্ডসে আগে ব্যাট করে সাত উইকেটে ১২৮ রান তোলে প্রোটিয়ারা। জবাব দিতে নেমে পাঁচ উইকেটে ১২৭ রান তুলতে সক্ষম হয় নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপে এক রানে জেতা ম্যাচ আছে আরো তিনটি।

এক ম্যাচে সর্বোচ্চ রান উপহার দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ড। ২০১৬ সালে মুম্বাইতে দুই দল মিলে ৩৯.৪ ওভারে ১২ উইকেটে ৪৫৯ রান করে।

বিশ্বকাপে সবচেয়ে কম ৭৯ রান হয়েছে শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডস ম্যাচে। ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে আগে ব্যাট করতে নেমে ৩৯ রানে অলআউট হয় ডাচরা। জবাবে এক উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় লঙ্কানরা।