রাহুল তাণ্ডবে উড়ে গেল চেন্নাই

লোকেশ রাহুলের মন খারাপ হতে পারে। পাঞ্জাব কিংস ভক্তদেরও আফসোস হতে পারে। ইস, চেন্নাই সুপার কিংস যদি আর কিছু রান করতো! চেন্নাই প্রত্যাশিত রান পায়নি। তাতে চলমান আইপিএল বঞ্চিত হলো পঞ্চম সেঞ্চুরি। দুই রানের জন্য তিন অংকে যেতে পারেননি রাহুল।

কেএল রাহুল বুঝিয়ে দিলেন, অনেকটা অনায়াসেই ম্যাচটি জিতেছে তারা

আজ দুবাই স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ফ্যাফ ডু প্লেসি ঝড়ের পরও কাঙ্ক্ষিত পুঁজি পায়নি চেন্নাই। নির্ধারিত ওভারে ছয় উইকেটে ১৩৪ রান তুলতে সক্ষম হয় এমএস ধোনির দল। রাহুল তাণ্ডবে এই রানের জবাব হেসেখেলেই দিয়েছে পাঞ্জাব।

সাত ওভার ও ছয় উইকেট হাতে রেখেই সহজ জয় তুলে নেয় পাঞ্জাব। এই হারে খুব একটা ক্ষতি হয়নি চেন্নাইয়ের। পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয়স্থানেই আছে তারা। ১৪ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট তাদের। এক ম্যাচ কম খেলে ২০ পয়েন্ট নিয়ে যথারীতি শীর্ষে আছে দিল্লি ক্যাপিটাল।

তবে ম্যাচটা জিতে নিজেদের কাজটা সেরে রাখল পাঞ্জাব কিংস। যদিও তাদের প্লে-অফ পর্বে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। আশা না রাখাই ভালো। কারণ আজকের অপর ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্স জিতলে কোনো সমীকরণই তাদের কাজে আসবে না।

এক্ষেত্রে পাঞ্জাবকে দুয়ো দিতে হবে কলকাতাকে। মঙ্গল কামনা করতে হবে রাজস্থান রয়্যালসের জন্য। এখানেও আছে বিপত্তি। তাই দুই দলের রানরেট এমন অবস্থানে থাকতে হবে, যাতে চারে উঠতে পারে পাঞ্জাব। যা কার্যত প্রায় অসম্ভব।

রাজস্থান জিতলে ১৪ ম্যাচে চার দলেরই পয়েন্ট হবে সমান ১২। অমন জটিল সমীকরণ পাঞ্জাবের পক্ষে যাওয়াটা প্রায় অসম্ভব। এমন প্যাঁচ মাথায় নিয়েই চেন্নাইর মুখোমুখি হয় প্রীতি জিনতার পাঞ্জাব। জয়ও পেয়েছে তারা। কিন্তু জয় ছাপিয়ে পাদ প্রদীপে উঠে এলো রাহুলের দীর্ঘশ্বাস।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট চালান পাঞ্জাব অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক ও ওপেনার রাহুল। ৪২ বলে অজেয় ৯৮ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেই ২২ গজ ছাড়লেন রাহুল। সাতটি চার ও আট ছক্কার ইনিংসটা তার হাতে তুলে দেয় ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

এ ছাড়া পাঞ্জাবের পক্ষে মায়াঙ্ক আগারওয়াল ১২ বলে ১২, এইডেন মার্করাম আট বলে তিন ১৩ ও শাহরুখ খান ১০ বলে আট রান করেন। পাঞ্জাবের পতন হওয়া চার উইকেটের তিনটি নিয়েছেন স্পিনার শার্দুল ঠাকুর। অন্যটার মালিক দ্বীপক চাহার।

এর আগে পাঞ্জাব বোলারদের বিরুদ্ধে প্রায় একাই লড়াই করেছেন ডু প্লেসি। দক্ষিণ আফ্রিকান এই ব্যাটসম্যান ৫৫ বলে ৭৬ রানের ঝড় তুলে বিদায় নেন। প্রোটিয়া তারকা ইনিংস সাজিয়েছেন আটটি চার ও দুই ছয়ে। বৃথাই গেছে ডু প্লেসির দারুণ ইনিংসটা।

এ ছাড়া রুতুরাজ গায়কোয়াড় ১৪ বলে ১২, ধোনি ১৫ বলে ১২ এবং রবিন্দ্র জাদেজা ১৭ বলে ১৫* রান করেন। চেন্নাইকে 'অল্প'তে বেঁধে ফেলতে একক কারোর ভূমিকা ছিল না। দুটি করে উইকেট নেন পাঞ্জাবের আর্শদীপ সিং ও ক্রিস জর্ডান। একটি করে শিকার রবি বিষ্ণু ও মোহাম্মদ শামির।