তবু হতাশ বিরাট কোহলি

ম্যাচটা নিছক আনুষ্ঠানিকতার। হারলে সমস্যা নেই। জিতলেও খুব একটা ফায়দা নেই। রবিন লিগ রাউন্ডের ১৩তম রাউন্ডে এমনই সুবিধাজনক অবস্থায় থেকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মুখোমুখি হয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। নিয়মরক্ষার এই ম্যাচে অরেঞ্জ আর্মিদের কাছে চার রানে হেরে যায় বিরাট কোহলির দল।

হতাশ কোহলি

বুধবার রাতে আবুধাবিতে আনুষ্ঠানিকতার এই ম্যাচে হেরেও ভীষণ হতাশ ব্যাঙ্গালুরু। কারণ আইপিএল থেকে ছিটকে যাওয়া হায়দরাবাদের বিপক্ষে জয়ের সুবর্ণ সুযোগ ছিল কোহলিদের। কিন্তু ১৪২ রানের মামুলি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সাত উইকেটে ১৩৭ রান তুলতে সক্ষম হয় ব্যাঙ্গালুরু।

হায়দরাবাদের পক্ষে ৪৪ রান করেন জেসন রয়। ২৯ রান এসেছে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া অভিষেক শর্মা ১৩, প্রায়াম গার্গ ১৫, ঋদ্ধিমান সাহা ১০ এবং জেসন হোল্ডার ১৬ রান করেন। অরেঞ্জ আর্মিদের পক্ষে ৩৩ রানে তিন উইকেট নেন হার্শেল প্যাটেল।

শাহবাজ আহমেদ

বোলাররা লক্ষ্যমাত্রা নাগালে রেখেছিলেন। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বহীনতার কারণে ‘অল্প’ রান তাড়া করে জিততে পারেনি ব্যাঙ্গালুরু। এমনকি গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ঝড়ের পরও। অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার ২৫ বলে ৪০ রান করেন। এবি ডি ভিলিয়ার্স ১৩ বলে ১৯ রানে অজেয় থাকেন। নয় বলে ১৪ রান করেন শাহবাজ আহমেদ।

কিন্তু শেষ দিকে ঝড় তুলেও লাভ হয়নি। দেবদ্যূত পাডিক্কালের মন্থর গতির ব্যাটিং ডুবিয়েছে ব্যাঙ্গালুরুকে। ৪১ রান করতে গিয়ে এই ওপনোর খরচ করেছেন ৫২ বল। ওদিকে জিতেও লাভ হয়নি হায়দরাবাদের। আগেই বিদায় নিয়েছে তারা। ১৩ ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে দলানিতে দলটি। আর ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনে ব্যাঙ্গালুরু।

ম্যাচ শেষে হতাশা প্রকাশ করেছেন ব্যাঙ্গালুরু অধিনায়ক কোহলি। তিনি বলেছেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব ম্যাচটা শেষ করা উচিত ছিল। শেষ ওভারে ম্যাচ টেনে নেওয়া উচিত হয়নি। পাডিক্কাল এবং ম্যাক্সওয়েল চেষ্টা করেছিল। ম্যাক্সওয়েলের রান আউট ম্যাচের রঙ পাল্টে দিয়েছে। ডি ভিলিয়ার্স মাঠে থাকলে সবকিছু সম্ভব। কিন্তু ও ঠিক ছন্দে ছিল না।’