বাবুলের চাকরি ফিরে পাওয়ার আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে

চাকরি ফিরে পেতে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোজাম্মেল হক খান। এছাড়া ওই আবেদনপত্র ইতোমধ্যেই রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মোজাম্মেল হক খান জানান, বাবুল আক্তার অব্যাহতি চেয়ে পদত্যাগপত্র দিয়েছিলেন। এখন তিনি নিজেই সেই পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন। আমরা সব নিয়মানুযায়ী রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়েছি। যে সিদ্ধান্ত আসে, সে অনুযায়ী কাজ করবো।

এর আগে গত ৩ আগস্ট বাবুল আক্তার কর্মস্থলে যোগদান করতে চাইলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা আর কাজে যোগদান করা সম্ভব নয় বলে তাকে জানান। এরপর পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের আবেদন জানান বাবুল আক্তার।

ওই আবেদনে বাবুল আক্তার বলেন, তিনি স্বেচ্ছায় নয় বরং তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশের মহাপরিদর্শক জানান, বাবুল আক্তার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। তাকে কেউ বাধ্য করেনি।

এর আগে বাবুল আক্তার চাকরি ছেড়ে দিলে বা না থাকলে সন্ত্রাসীরা বাবুল আখতারকে মেরে ফেলবে বলে মন্তব্য করেন তার শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, সে যদি হাজতেও যায়, তারপরও তাকে মেরে ফেলা হবে।

এদিকে কয়েকদিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন যে, তিনি বাবুল আখতারের স্বাক্ষর করা পদত্যাগপত্র হাতে পেয়েছেন। সেটা গ্রহণ করা হবে কিনা সে বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মোশাররফ বলেন, ‘এটা ইতিবাচক ব্যাপার। আমরা এখন জানতে পারলাম যে বাবুলের পদত্যাগপত্র দেয়া হয়েছে। এতোদিন তো সরাসরি কারো বক্তব্য পাওয় যায়নি।’ এ সময় মোশাররফ হোসেন হতাশা নিয়ে বলেন, ‘এখন ভাগ্যে যা আছে তাই হবে।’

সন্তানরা বাবুল আখতারকে তার মায়ের মৃত্যু নিয়ে নানা প্রশ্ন করে। বয়স বাড়লে তারা আরো প্রশ্ন করবে বলে মন্তব্য করেন বাবুল আখতারের শ্বশুর। তিনি আরো বলেন, ‘সন্তানরা বড় হয়ে যদি দেখে যে তাদের মায়ের খুনের পর তাদের বাবার চাকরি চলে গেছে। তাহলে তারা প্রশ্ন করবে। সন্তানরাই দেখা যাবে বাবুল আখতারকে খুন করবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘বাবুলের বাঁচার উপায় হলো তার চাকরি থাকা। তার মৃত্যু কিভাবে হবে জানি না। তবে যতোদিন বাঁচবে, চাকরি থাকলেই বাঁচবে। না হলে সন্ত্রাসীরা তাকে মেরে ফেলবে। বা তাকে হাজতে পাঠানো হলেও সে মারা যাবে।’

উল্লেখ্য, গত পাঁচ জুন চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ে এসপি বাবুল আখতারের স্ত্রী সন্তানকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার পথে খুন হন। এই ঘটনা কারা ঘটিয়েছে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য পায়নি পুলিশ। মোশাররফ হোসেন দাবি করছেন, বাবুল আখতারের চাকরি থাকা, না থাকা বা এ ধরনের কিছু বিষয় সামনে চলে আসায় তার স্ত্রী খুনের মূল ঘটনার কোনো তদন্ত হচ্ছে না।

আপনি আরও পড়তে পারেন

প্রতারণার নতুন ফাঁদ ‘মা মারা গেলো’!

মির্জা ফখরুলকে কামরুল: কাঁদতে হবে, অঝোরে কাঁদতে হবে

রামপাল গণবিরোধী প্রকল্প, সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া

ভূমিকম্পটির উৎপত্তি মিয়ানমারে

হলের জন্য আন্দোলন: জগন্নাথের শিক্ষার্থীদের নতুন কর্মসূচি