বিবর্ণ মুস্তাফিজ: উজ্জ্বল রাজস্থান

এবারের আইপিএল দুর্দান্ত বোলিং করছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু শনিবার রাতে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষের ম্যাচে মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখে ফেললেন বাংলাদেশি পেসার। চার ওভার বোলিং করে উইকেট পাননি। বরং রান দিয়েছেন ৫১। খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি রাজস্থান রয়্যালসের অন্য বোলাররাও।

রাহুল তিয়াতুয়া তিন উইকেট নিলেও রান দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ উদার ছিলেন। কিন্তু বোলারদের ব্যর্থতা পুষিয়ে দেন ব্যাটসম্যানরা। টপ অর্ডারের দৃঢ়তায় চেন্নাইর ছুড়ে দেওয়া বিশাল চ্যালেঞ্জ রাজস্থান জয় করেছে ১৫ বল ও সাত উইকেট হাতে রেখেই। এই জয়ে মুস্তাফিজেদের প্লে-অফ পর্বের আশা কিছুটা হলেও টিকে থাকল।

আবুধাবিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে চার উইকেটে ১৮৯ রান করে আগেই প্লে-অফ নিশ্চিত করা চেন্নাই সুপার কিংস। ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের বিস্ফোরক সেঞ্চুরির ওপর দাঁড়িয়ে বড় সংগ্রহ পেয়েছে চেন্নাই। মুস্তাফিজের শেষ বলে ছক্কা মেরে তিন অংকে পৌঁছান গায়কোয়াড়।

৬০ বলে নয়টি চার ও পাঁচ ছক্কায় ১০১ রানে অজেয় থাকেন চেন্নাই ওপেনার। ১৯ বলে ২৫ রান করেন ফ্যাফ ডু প্লেসি। ১৭ বলে ২১ রান করেন মঈন আলি। শেষ দিকে ১৫ বলে ৩১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন রবিন্দ্র জাদেজা। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের এনে দেওয়া শক্তিশালী সংগ্রহ আগলে রাখতে পারেননি চেন্নাই বোলাররা।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করেন রাজস্থানের দুই ওপেনার এভিন লুইস ও যাশাভি যাশভাল। ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে লুইসের বিদায়ে ভাঙে জুটি। ততক্ষণে স্কোর বোর্ডে জমা হয়ে গেছে ৭৭ রান। রাজস্থানের জয়ের পথটা মসৃণ হয়ে গেছে তাতেই। ১২ বলে দুটি করে চার ছক্কায় ২৭ রানে ফেরেন লুইস।

২১ বলে ৫০ রানে টর্নেডো ইনিংস খেলেন যাশভাল। ছয়টি চার ও তিন ছক্কায় ইনিংস সাজান তিনি। তবে রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন ব্যাট করেছেন কিছুটা ধীর গতিতে। ২৪ বলে চারটি চারে ২৮ রান করেন তিনি। অধিনায়কের স্ট্রাইক রেট ঘাটতি পুষিয়ে দিয়েছেন শিভাম দুবে। ৪২ বলে চারটি করে চার-ছক্কায় ৬৪ রানে অজেয় থাকেন তিনি।

দুবে-যাশভাল ঝড়ে চেন্নাই উড়ে গেলেও ম্যাচ সেরা হতে পারেননি কেউ। দল হারলেও দুর্দান্ত শতকের জন্য সান্ত্বনার ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন গায়কোয়াড়। তবে এই হারে খুব একটা ক্ষতি হয়নি চেন্নাইর। ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে এমএস ধোনির দল। সমান ম্যাচ ও পয়েন্টে দুইয়ে আছে দিল্লি ক্যাপিটালস।

তিনে থাকা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর ১১ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট। তাতে করে শীর্ষ তিন দলের প্লে-অফ প্রায় নিশ্চিত। যতো বিপত্তি চতুর্থ টিকিট নিয়ে। কারণ শীর্ষ তিন দলের পেছনে থাকা চারটি দলেরই ১২ ম্যাচে সমান ১০ পয়েন্ট। রানরেটে এগিয়ে চার, পাঁচ, ছয় ও সাতে আছে যথাক্রমে কলকাতা নাইট রাইডার্স, পাঞ্জাব কিংস, রাজস্থান রয়্যালস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।