হোটেলে দুঃসাহসিক চুরি, নিরাপত্তা ঝুঁকিতে মেসি

পিএসজির তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসি প্যারিসে যে হোটেলে অবস্থান করছেন, সেখানে বড় ধরনের চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই মেসি ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। হোটেল কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছিল, মেসি হোটেল উঠার পর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু তারপরও এ ধরনের চুরি ঘটনা আর্জেন্টাইন এ ফুটবলারের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়ে গেলো। ডেইলি মেইল।

ব্যয়বহুল এ হোটেলে এমন চুরিতে নিরাপত্তাহীনতায় মেসির পরিবার

নিজের কোনো স্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করার আগ পর্যন্ত মেসি পরিবার নিয়ে প্যারিসের লে রয়েল মনসোতে ঠাঁই নিয়েছেন। তিন সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে মেসি হোটেলটির একটি সুইট ভাড়া করেছেন। এ জন্য প্রতিদিন ভাড়া বাবদ গুনতে হয় ১৭ হাজার পাউন্ড। অথচ এ হোটেলেই ঘটেছে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা।

মেসির কোনো কিছু চুরি গেছে, এমন খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, মেসিরা যে পঞ্চম তলায় অবস্থান করেন, তার ঠিক ওপরের তলার ব্যালকনি দিয়ে চোরেরা হোটেলটিতে প্রবেশ করে। ছাদ থেকে স্কি করে তারা হোটেলটিতে প্রবেশ করে। ওই তলার চারটি রুমে তারা হানা দেয়। ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা বলছে, তাদের হাজার হাজার পাউন্ড মূল্যের গয়না ও নগদ অর্থ চুরি হয়েছে।

মেসি যে বারান্দা দিয়ে সমর্থকদের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন, চোরও সেখান দিয়েই ঢুকে

ঘটনার এক ভুক্তভোগী দুবাইয়ের একজন নারী আর্থিক উপদেষ্টা। তিনি দৈনিক এক হাজার পাউন্ডের একটি রুমে ওঠেছিলেন। তার ৩,০০০ পাউন্ডের স্বর্ণের নেকলেস, ৫০০ পাউন্ডের কানের দুল এবং নগদ ২,০০০ পাউন্ড চুরি গেছে। পাশের রুমের আরেকজনের ঘড়ি চুরি গেছে।

হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গত বুধবার সন্ধ্যায় দুই মুখোশধারী ব্যক্তি ছাদ থেকে ষষ্ঠ তলার বারান্দায় নেমে ভেতরে ঢুকেছিল। প্যারিসের ক্লাবে যোগ দেওয়ার দিন এই বারান্দায় দাঁড়িয়েই অনুরাগীদের দিকে হাত নেড়েছিলেন মেসি।

পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভি ক্যামেরায় ছাদে দুজনকে দেখা গেলেও তাদের এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। হোটেল কর্তৃপক্ষ বলছে, এ  বিষয়ে তদন্ত চলছে।