চ্যাম্পিয়নস লিগে এই বার্সেলোনা ‘ছোট দল’

দলের প্রাণভোমরা লিওনেল মেসি চলে গেছেন, বার্সেলোনার পারফরম্যান্সে তার প্রভাব পড়াটা অনুমিতই ছিল। ফুটবলবোদ্ধারাও সেই আশঙ্কার কথা বারবার বলেছেন। কোচ রোনাল্ড কোম্যান অবশ্য দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। কিন্তু বায়ার্নের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হারের পর তার সেই বিশ্বাসে নিশ্চয়ই বড়সড় আঘাত লেগেছে। মার্কা লিখেছে, চ্যাম্পিয়নস লিগে এই বার্সেলোনা একটি ‘ছোট দল’।

শিষ্যদের পারফরম্যান্সে হতাশ কোম্যান

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে ২০২১-২২ মৌসুমে নিজেদের প্রথম ম্যাচে গতকাল রাতে বায়ার্ন মিউনিখের মুখোমুখি হয় বার্সেলোনা। তার আগে গত বছর বায়ার্নের কাছে ৮-২ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়ে খেলোয়াড়দের প্রতি আক্রমণাত্বক হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন কোম্যান। কিন্তু বার্সা যা খেলল, সেটা ছিল ভীরু এবং অতিমাত্রার রক্ষণশীল।

স্পেনের খেলাধুলাবিষয়ক বিখ্যাত গণমাধ্যম মার্কা তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, এলচে, গেতাফে কিংবা আলাভেসের মতো দ্বিতীয় সারির দলগুলো ক্যাম্প ন্যুতে খেলতে এসে বায়ার্ন মিউনিখ, চেলসি কিংবা পিএসজির বিরুদ্ধে যেমন পারফরম্যান্স করতো, বার্সাও তেমনটাই করতে পারে। বায়ার্নের বিরুদ্ধে তাদের গতকালের পারফরম্যান্স অনেকটা সেরকই ছিল।

বায়ার্নের বিপক্ষে হারল বার্সেলোনা

বাভারিয়ানদের বিরুদ্ধে একটি শক্ত রক্ষণ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছে বার্সেলোনা। রবার্তো লেভানডফস্কি, লেরয় সানে, টমাস মুলার, জশুয়া কিমিচ, জামাল মুসিয়ালাদের ঠেকানোর পাশাপাশি কাউন্টার অ্যাটাকের চেষ্টা করেছে কোম্যানের শিষ্যরা। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি, সিঙ্গেল গোলও দিতে পারেনি তারা।

বুন্দেসলিগা জায়ান্টদের বিরুদ্ধে বার্সেলোনার রক্ষণের প্রতিরোধ ছিল ভালোই। এর জন্য কোম্যানকে দোষ দেওয়ার অবকাশ নেই। কিন্তু বায়ার্নের গোলপোস্টের কাছে এসে বল ঠিক জায়গায় রাখার ব্যাপারে তাদের ব্যর্থতা ছিল চোখে পড়ার মতো। যখন ঘুরে দাঁড়ানো খুব প্রয়োজন ছিল তখন ফ্রাঙ্কি ডি ইয়ং বেশ কয়েকটি ভুল পাস দিয়েছেন, যা ভুগিয়েছে বার্সাকে।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এই ম্যাচের পর তিন পয়েন্ট নিয়ে ‘ই’ গ্রুপের শীর্ষে আছে বায়ার্ন। সমান এক পয়েন্ট পাওয়া বেনফিকা এবং ডায়নামো কিয়েভের অবস্থান যথাক্রমে দুই ও তিন নম্বরে। কোন পয়েন্ট না পেয়ে সবার নিচে অবস্থান করছে বার্সা। সামনের ম্যাচগুলোকে কেমন খেলবে মেসির সাবেক ক্লাব, সেটাই এখন দেখার বিষয়।