ইব্রাহিমোভিচ: আমিই পৃথিবীর সেরা

নানা কারণেই সুইডিশ তারকা ফুটবলার ইব্রাহিমোভিচকে আলাদা করে মনে রাখবে ফুটবল বিশ্ব। ৪০ ছুঁই ছুঁই বয়সে এখনো মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। ক্লাবের হয়ে ২২ বছর ধরে খেলে যাচ্ছেন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে। ঠোঁটকাটা স্বভাবের কারণেও তার রয়েছে আলাদা পরিচিতি। এই যেমন, গোল ডটকমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দ্ব্যার্থহীনভাবে বললেন, ‘আমিই পৃথিবীর সেরা’।

ইব্রাহিমোভিচ

যে বয়সে ইব্রাহিমোভিচ এখনো মাঠে, সেই বয়সে মেসি কিংবা রোনালদো মাঠে থাকতে পারবেন কিনা- এ নিয়ে অবশ্য সন্দেহ আছে ফুটবল বিশ্লেষকদের। তাই বলে খেলার কৌশল কিংবা পরিসংখ্যানের প্রশ্নে তারা কখনোই এই দুই লিজেন্ডের সঙ্গে ইব্রার তুলনা করতে চান না। কিন্তু ইব্রা নিজে মনে করছেন, তিনি মেসি-রোনালদোর চেয়ে কোনো অংশে কম নন বরং পৃথিবীর সেরা খেলোয়াড়।

ইব্রা জানেন, তার এমন মন্তব্যে অবধারিতভাবেই উঠে আসবে ব্যালন ডি অর প্রসঙ্গ। কারণ তিনি যে মেসি এবং রোনালদোকে পাত্তা দিচ্ছেন না, সেই দুজনের ঝুঁলিতে রয়েছে যথাক্রমে ৬টি ও ৫টি ব্যালন ডি অর।অন্যদিকে ইব্রা পাননি  একটিও। এ ব্যাপারে প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়ার আগেই দীর্ঘদেহী এই ফুটবলার বলছেন, খেলোয়াড়দের মধ্যে তুলনার ক্ষেত্রে ব্যালন ডি অর প্রাসঙ্গিক কিছু নয়।

গার্দিওলা ও মরিনহোর সঙ্গে ইব্রা

এরপর এই পুরস্কার নিয়ে আরও বড় বোমা ফাটালেন ইব্রা। বার্সেলোনা, জুভেন্টাস, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং পিএসজির সাবেক এই তারকা বলছেন, অনেকেই আমার ব্যালন ডি অর না পাওয়ার কথা তোলে। আমি মনে করি, আমি ব্যালন ডি অর মিস করিনি বরং ব্যালন ডি অরই আমাকে মিস করেছে!

বর্তমানে ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে মাঠের বাইরে থাকা ইব্রাহিমোভিচ আরও বলেন, প্রত্যেক খেলোয়াড় তার নিজস্ব সময় এবং প্রজন্মের জন্য খেলে থাকে। তাদের লক্ষ্যও আলাদা হয়। তাই তুলনায় যেতে আমি খুব বেশি রাজি নই। মেসি-রোনালদো তাদের মতো খেলছে, আমি আমার মতো। তারপরও তুলনা দিতে হলে বলবো- আমিই বিশ্বের সেরা ফুটবলার।