মেয়েদের ক্রিকেটে চোখ তালেবানদের

যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যরা আফগানিস্তান ছেড়ে গেছেন অনেক দিন হবে। প্রায় বিনা যুদ্ধেই দুই দশক পর দেশ দখলে নিয়েছে তালেবানরা। আফগানিস্তানে পরিস্থিতি এখনো থমথমে। স্বাভাবিক হতে কত দিন সময় লাগবে তা এখনই বলা কঠিন। তবে তালেবানরা ক্ষমতায় আসায় অন্য অঙ্গনের মতো ক্রীড়াঙ্গনে যে একটা প্রভাব পড়বে সেই আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল।

একটা প্রভাব পড়বে সেই আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল

সেটাই সত্যি হতে যাচ্ছে। আফগানিস্তানের মেয়েদের ক্রিকেটে চোখ দিয়েছে ক্ষমতাসীন তালেবানরা। ছেলেদের ক্রিকেট নিয়ে আপত্তি না থাকলেও মেয়েদের বেলায় বাধ সাধলেন তারা। শুধু ক্রিকেট নয়, শরীর প্রদর্শন হয় এমন সব খেলা থেকে আফগান মেয়েদের নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে তালেবানরা। বুধবার এনিয়ে চরম ফতোয়া জারি তারা।

গতকাল অস্ট্রেলিয়ান একটি টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তালেবান সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রী আমলা আহমেদুল্লাহ ওয়াশিক বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয় না মেয়েদের ক্রিকেট খেলতে দেওয়া হবে। তাদের খেলা খুব জরুরি বিষয় নয়। খেলতে গিয়ে অনেক সময় তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ উন্মুক্ত হয়ে যেতে পারে। যা ইসলামে নিষেধ আছে।’

একটা প্রভাব পড়বে সেই আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল

তালেবান সরকারের ওই মন্ত্রী যোগ করেন, ‘এখন সারা বিশ্বের মানুষ খেলা দেখে। এ কারণে ইসলাম তথা ইসলামিক অ্যামিরেট (আফগানিস্তান) মেয়েদের ক্রিকেট খেলতে বারণ করছে। শুধু ক্রিকেট নয়, যে সমস্ত খেলায় শরীর দেখা যায় সেসব খেলাই মেয়েদের জন্য নিষিদ্ধ।’ অথচ আফগানিস্তানে মার্কিন সৈন্যরা থাকাকালীন মেয়েদের পর্যাপ্ত স্বাধীনতা ছিল। কিন্তু তালেবানরা ক্ষমতায় আসায় ফের কোণঠাসা হয়ে পড়লেন আফগান নারীরা।

শুধু ক্রীড়াঙ্গণ নয়, আফগানিস্তানে সমাজ সংস্কৃতির অন্যান্য জায়গাতেও নারীদের চলাফেরায় বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে তালেবানরা। তবে পর্দার মধ্যে অটল থাকলে যে কোনো জায়গায় মেয়েদের অংশগ্রহণে আপত্তি নেই বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর।