বার্সা সভাপতি: অদ্ভুত লাগছিল, পছন্দ করিনি কথাও হয়নি

২০০০ সালে ন্যাপকিন পেপারে লিওনেল মেসির সাথে বার্সেলোনার চুক্তি হয়েছিল। এরপর কাতালান ক্লাবের জার্সিতে একটানা প্রায় ২১ বছর খেলেছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। মাঠের পারফরম্যান্স দিয়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। লিখেছেন সাফল্যের অনেক গল্প।

মেসি ও লাপোর্তা

গল্পের শেষটা হয়েছে ট্রাজেডি দিয়ে। স্প্যানিশ লা লিগার ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে নীতির মারপ্যাঁচে পড়ে শৈশবের ক্লাব বার্সা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন লিওনেল মেসি। পাড়ি জমিয়েছেন ফরাসি লিগ ওয়ানের ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেই, পিএসজিতে।

মেসির সাথে পিএসজির চুক্তি হয়েছে দুই বছরের। তাতেই হৃদয় পুড়েছে কোটি কোটি বার্সা ভক্ত-সমর্থকের। এসব কিছু এখন পুরনো খবর। এবার বার্সা সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা জানালেন, নিজেদের এক সময়কার সেরা খেলোয়াড়কে অন্য কোনো ক্লাবে দেখে অদ্ভুত লেগেছে তার।

লিওনেল মেসি

পিএসজিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মেসির সাথে কথা হয়নি লাপোর্তার। ই স্পোর্ট থ্রিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, মেসি এবং আমরা উভয় পক্ষই কষ্ট পেয়েছিলাম। কারণ এমন পরিস্থিতি আমরা কেউ চাইনি। আমি তখন থেকে মেসির সাথে কথা বলিনি। পিএসজিতে ওর অভিষেক দেখেছি। অন্য দলে তাকে দেখে অদ্ভুত লাগছিল। আমি এটা পছন্দ করিনি।’

মূলত আয় থেকে ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণে লা লিগার ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে নীতির সাথে সামঞ্জস্য করতে ব্যর্থ হয়েছিল বার্সা। পরবর্তীতে খরচ কমাতে খেলোয়াড় ছেড়ে দেওয়া এবং বেতন কমানোর দিকে মনোনিবেশ করে তারা। এর অংশ হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদে পাঠানো হয়েছে ফরাসি তারকা অ্যান্টনি গ্রিজম্যানকে। লাপোর্তা মনে করেন, তাদের খরচ এত বেড়ে গিয়েছিল যে, কোনভাবেই মেসিকে রাখা সম্ভব ছিল না।

এই বিষয়ে লাপোর্তা বলেন, ‘গ্রিজম্যানকে অন্য ক্লাবে পাঠানো এবং চার অধিনায়কের বেতন কমানোর পরও মেসি থাকতে পারতো না। এরপরও বেতন কমানো আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ পরের বছর আমরা আরো উচ্চাভিলাষী হতে পারি।’