মেসি পায়নি, পাচ্ছেন না রোনালদোও!

লিওনেল মেসিকে মনে করা হতো বার্সেলোনার ঘরের ছেলে। বিষয়টা এমন ছিল যে, ঘরের ছেলে কখনোই বাইরে যাবে না, ১০ নম্বর জার্সিও কাউকে দিতে হবে না। জাতীয় দলেও এ নিয়ে কাড়াকাড়ি করার কেউ নেই।

এ দুটি নম্বরের জার্সি এখন তাদের কাছে অতীত

মাত্র এক মাস আগেও এ চিন্তাটা স্বাভাবিক ছিল। গত এক মাসে ফুটবল বিশ্ব মোটামুটি একটা বড় ধাক্কা খেয়েছে মেসির দলবদলে। প্রতিবছরই আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে নিয়ে দলবদলের গুঞ্জন উঠতো। আবার থিতিয়ে যেতেও সময় লাগতো না। এবারও সময় নেয়নি, তার আগেই মেসির দলবদল বাস্তব হয়ে ধরা দিয়েছে।

নতুন দল পিএসজিতে গিয়ে অর্থ-সম্মান কোনোটাই কম পাচ্ছেন না মেসি। সমস্যা হচ্ছে, পুরাতন জার্সি নম্বরটা আর পাওয়া হলো না। লিগের নিয়মের মারপ্যাঁচে ১০ নম্বর জার্সি পাওয়া হয়নি। ১০ বাদ দিয়ে ৩০ নম্বর জার্সি নিয়ে মাঠে নামছেন তিনি।

সিআর-সেভেন ব্র্যান্ডে জমিয়ে ব্যবসা করেন রোনালদো

মেসির মতো হঠাৎ দলবদলে জুভেন্টাসের ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো হয়ে গেলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। নিজের পুরোনো দল, তাই একেবারে নতুন পরিবেশে গিয়ে পড়তে হবে না। তবে সমস্যা এখানেও সেই জার্সি নম্বর নিয়ে। মেসির কাছে ১০ নম্বরটি হয়তো আবেগের। পাঁচবারের ব্যালন ডি অর জয়ীর কাছে এটা আরো বড় কিছু। আবেগের সাথে সাথে রোনালদোর ‘সিআর-৭’ যে একটি ব্র্যান্ডও। এ ব্র্যান্ডে রীতিমত ব্যবসা খুলে বসেছেন ৩৬ বছর বয়সী খেলোয়াড়।

ম্যানইউতে আগেও সাত নম্বর জার্সি পরেই খেলতেন রোনালদো। প্রিমিয়ার লিগের নিয়ম অনুযায়ী অন্তত এ মৌসুমে তা আর পাওয়া হচ্ছে না রোনালদোর। মৌসুম শুরু হয়ে যাওয়ায় রেড ডেভিলদের সাত নম্বর জার্সিটা এখন এডিনসন কাভানির দখলে।

প্রিমিয়ার লিগের নিয়ম বলছে, মৌসুম শুরুর আগেই দলের প্রতিটি খেলোয়াড়কে জার্সি নম্বরসহ নথিভুক্ত করতে হবে। সেই মৌসুমে ক্লাব ছাড়লে তবেই একজন ফুটবলারের জার্সি অন্য কেউ পরতে পারবেন। নিয়ম অনুযায়ী যেহেতু ম্যানইউতে সাত নম্বর জার্সি পরছেন কাভানি, রোনালদোকে তাই অন্য কোনো নম্বর বেছে নিতে হবে।

জানা যাচ্ছে, ২৮ নম্বর বেছে নিতে পারেন রোনালদো। ছেলেবেলার ক্লাব স্পোর্টিং লিসবনে এই জার্সি পরে খেলতেন পর্তুগীজ যুবরাজ। শেষ পর্যন্ত সিআর সেভেনের গায়ে কোন জার্সি উঠে সেটা দেখার জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে সমর্থকদের।