ভারতের জন্য আরেকটি লজ্জা

আরো একটি লজ্জার ইনিংস উপহার দিল ভারত। শুধু ইংল্যান্ডের মাটিতেই এ নিয়ে ১০ বার শতরানের নিচে অলআউট হলো ভারতীয় ক্রিকেট দল। টেস্টে এ নিয়ে ২৬ বার ১০০ রানের নিচে অলআউট হলো ভারত। ১৯৭৪ সালে ইংলিশদের মাঠে সবচেয়ে কম ৪২ রানে অলআউট হয়েছিল তৎকালীন ওজিত ওয়াদেকারের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল।

কোহলিকে আউট করার পর অ্যান্ডারসনের উদযাপন

লিডসে চলতি টেস্টে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে সফরকারীরা। মাত্র ৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে প্রথমে যে ধাক্কা খায়, তা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি বিরাট কোহলিরা। এক পর্যায়ে ৫৮ রানে প্রথম সারির ৫ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় ভারত। যা শেষ পর্যন্ত আরেকটি লজ্জার সম্মুখীন করে দলটিকে। অর্থাৎ টপ অর্ডার চলে যাওয়ার পর আর কেউ উইকেট আগলে রাখতে পারেনি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের ফলে ৭৮ রানেই অলআউট হয় প্রথম দুই টেস্টে দাপট দেখানো ভারত।

ইংলিশদের জেমস অ্যান্ডারসন আর ওলি রবসনের গতির মুখে লোকেশ রাহুল, চেতেশ্বর পুজারা, বিরাট কোহলি, আজিঙ্কা রাহানে এবং ঋষভ পন্থ কেউ টিকতে পারেনি। একের পর এক সাজঘরে ফিরেছেন। এর মধ্যে একাই তিন উইকেট নেন স্বাগতিকদের অন্যতম সেরা পেসার অ্যান্ডারসন। রবসন নেন দুই উইকেট।

মাত্র ৫৮ রানে প্রথম সারির পাঁচ ব্যাটসম্যান হারিয়ে ভারতীয় দল যখন দিশেহারা তখন প্রতিপক্ষের চাপিয়ে দেওয়া বৃত্তবন্দি অবস্থা থেকে দলকে বের করার জন্য শুরু থেকেই প্রাণপণ চেষ্টা করেন ওপেনার রোহিত শর্মা। কিন্তু কেউ তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেনি। এক পর্যায়ে মধ্যাহ্ন বিরতির পর মাঠে নেমে বেশি সময় টিকতে পারেননি রোহিত শর্মাও। এর পর ৫ উইকেটে ৬৭ রান করা ভারতীয় দল শূন্য রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারায়। এক পর্যায়ে ৭৮ রানে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়ে যান মোহাম্মদ সিরাজ।

পাঁচ টেস্টের সিরিজের প্রথম দুটিতে দাপট দেখানো সফরকারীরা লিডসে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেই জেমস অ্যান্ডারসনের গতির মুখে বিব্রত অবস্থায় পড়ে যায়। নটিংহ্যামে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টির বাগড়ায় শেষ পর্যন্ত জয় পায়নি কোহলির ভারত। অবশ্য লর্ডসে ব্যাট-বলের দারণ নৈপুণ্য দেখিয়েছেন তারা। ফলে স্বাগতিকদের ১৫১ রানের বিশাল ব্যবধানে হারাতে সক্ষম হয় ভারত।